মহাষষ্ঠীতে মা দুর্গার প্রতিমার কিছু প্রতিচ্ছবি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
✦সবাইকে শুভ মহাঅষ্টমীর অনেক শুভেচ্ছা✦
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে আমি মহাষষ্ঠীর কিছু ছবি শেয়ার করবো। ষষ্ঠী ছিল গত শনিবার। ষষ্ঠীর দিন থেকেই মূলত দূর্গা পূজা শুরু হয়ে থাকে। ওইদিন ভেবেছিলাম কলকাতার দিকে যাবো আর এতে পুজাও দেখা হবে আর সাথে কিছু জায়গা ঘুরে কমপ্লিট করা হবে কিন্তু ঠিক করে ওইদিন বৃষ্টি আসতে হলো। কলকাতায় এক বন্ধুর কাছে ফোন করে আসতে বলি আর খবরটা মন্দ আসলো, যেদিকটায় প্রতিমা দেখতে বেরোবো সেইদিকেই শুরু হলো। যাইহোক কি আর করার ওই কথা শুনে একটু মন ভেঙে গেলো কারণ একটা প্ল্যান করে রেখেছিলাম নবমী অব্দি কলকাতায়।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
বৃষ্টির কথা শুনে আমি শুয়ে ঘুম দিলাম এরপর সন্ধ্যার দিকে উঠে দেখি আমাদের এদিকেও বৃষ্টি শুরু হলো টিপ্ টিপ্ করে। তবে এই বৃষ্টি আবার সবদিকে হয়নি, কোথাও কোথাও হয়েছে। যাইহোক এরপর বৃষ্টি আমাদের এদিকে টিপ্ টিপ্ করে অনেকক্ষন ধরে হতে লাগলো, আমি আর কি করি ভালো লাগছে না, ফলে শুয়ে পড়লাম আবার। এর মধ্যে দূরের থেকে এক বন্ধু রাত ১০ টার দিকে আসলো আর বললো চল দেখি পাড়া দিয়ে কিছু প্রতিমা, প্যান্ডেল আর লাইটিং দেখে আসি দেখি কেমন করেছে এদিকটায়।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এখন এতো দূর থেকে এসেছে আর নাওতো করা যায়না, তাই বন্ধুটাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম আমাদের পাড়া দিয়ে কয়েকটা প্রতিমা দেখানোর জন্য। আমাদের এখানে পাড়ার দিকে সব ক্লাবের আন্ডারে করে থাকে কিন্তু সেইরকম গুরুত্ব দিয়ে কোনোকিছু করে না দূর্গা পূজার সময়, কিন্তু টাকা নেওয়ার সময় ৫০০-১০০০ টাকার চাঁদা ধরিয়ে দেবে সবার বাড়ি বাড়ি। প্রতিমাও সেইভাবে করে না আর প্যান্ডেলও না, প্যান্ডেল বলতে গেলে পাড়ার একদম ভিতরের দিকে মোটেও করিনি। মোটামুটি কিছু করার মতো করে দিয়ে রেখেছে শুধু অঞ্জলি দেওয়ার জন্য, ষষ্ঠী - বিজয় দশমী পর্যন্ত অঞ্জলি দেওয়া চলে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
তবে স্টেশন এর ওখান থেকে প্যান্ডেলগুলো ভালোই সাজায় আর প্রতিমাও ভালো গড়ায়, কারণ ওটা একটা মেইন পয়েন্ট। আর তাছাড়াও ওখানে একবারে প্রায় কালী পূজার জন্য অর্ধেকটা এরেঞ্জ করে রাখে, নাহলে দূর্গা পূজার পরে হাতে মাত্র ১৫ দিন সময় থাকে, ফলে এর মধ্যে এতো বড়ো পূজার সবকিছু এরেঞ্জ করে রাখা মুশকিল হয়ে যায়। যাইহোক আমাদের পাড়া দিয়ে যখন দেখতে বেরিয়েছিলাম পূজা তখন শেষ হয়ে যায়, একটু আগে গেলেও প্রসাদ খাওয়া যেত।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আমাদের বাড়ির পাশের প্রথম ক্লাবে গিয়ে সেখানে কিছু সময় বসে ছিলাম আর মাকে দর্শন করে কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম। সেখান থেকে কিছু সময় পরে অন্য প্রতিমা দেখার জন্য রওনা দিলাম। রাস্তায় লাইটিং দিয়েছে ভালো, পুরো রাস্তা কভার করে দিয়েছে। তবে ভিতরের দিকে ছোটোখাটো প্যান্ডেল তৈরি করলেও ঝাড়বাতিগুলো দিয়েছে ভালো, আর ঝাড়বাতিগুলো প্যান্ডেলের ভিতরে লাগালে দেখতে বেশ সৌন্দর্যমন্ডিত হয়ে থাকে , বেশ ভালো লাগে দেখতে। এরপর আমরা সেখান থেকে রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে আরেকটি প্রতিমা দেখতে পেলাম যেখানে পূজা শেষে সবাই বসে গল্প করছিলো আর আমরা প্রণাম করে ছবি তুলে চলে আসি।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
মোড়ে মোড়ে সব ক্লাবে করেছে কিন্তু ওই সময়ে পূজার পরে অনেক ক্লাবে গেট বন্ধ করে দেয় ফলে সামনে পড়লেও অনেকটা দেখা হয়নি। যাইহোক এরপর আমরা দেখতে স্টেশন চত্বর অব্দি গিয়েছিলাম এবং সেখানে বড়ো একটি প্যান্ডেল দেখতে পেলাম আর এইটা দেখে অনেকটা ভালো লেগেছিলো। এই জায়গাটায় প্রতিবছর প্রায় নতুন কিছু করে থাকে প্যান্ডেলের দিকে হোক আর প্রতিমার দিক থেকেই হোক। ভালো খরচ করে স্টেশনের থেকে প্যান্ডেলগুলোতে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
যাইহোক আমি প্যান্ডেলের কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম এবং পরে ভিতরে গিয়ে ঝাড়বাতি আর মায়ের কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম। এখানে সবাই বেশ মজা করছিলো। ঢাক, ঢোলের আওয়াজে বেশ আনন্দ মুখরিত ছিল চারিদিকে। মাত্র ৪-৫ টা দেখেই মিশন ইন্ড করে দিয়েছিলাম কারণ ট্রাউসার পরে ওর পরে আর যাওয়া সম্ভব না পূজার সময়। এই প্যান্ডেলের থেকেই এখন সামনের দিকে যত যাওয়া যাবে সব বড়ো বড়ো প্যান্ডেল দেখা যাবে।
All photos what3words location: https://w3w.co/storyboards.fangs.clinical
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | রেডমি নোট ৭ |
---|---|
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি |
লোকেশন | পশ্চিমবঙ্গ, ইন্ডিয়া |
তারিখ | ০১.১০.২০২২ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আজকে খুবি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে প্রতিটা মন্ডপ অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। এই প্যান্ডেল গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমাদের সিরাজগঞ্জে অনেক সুন্দরভাবে প্যান্ডেল করেছে। যার কারণে গতকাল রাতে আমি গিয়েছিলাম ফটোগ্রাফি করতে আমার বন্ধুর সাথে। আজকে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যিই এত সুন্দর ভাবে প্যান্ডেল সাজানো যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
অষ্টমীতে আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে প্রতিটা মন্ডপের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর ভাবে মন্ডপগুলো সাজিয়েছে এবং ডেকোরেশন করেছে দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ছিল দেখার মতো। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
প্রথমে আপনাকে পুজোর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি দাদা। মাঝে মাঝে বৃষ্টি আমাদের কাছে প্রত্যাশিত। আবার মাঝে মাঝে বৃষ্টি আমাদের কাছে একেবারেই অপ্রকাশিত। কারণ যখন আমরা বিশেষ কোনো জায়গায় যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করি তখনই হুট করে বৃষ্টি চলে আসে। আসলে যখন বৃষ্টির দরকার তখন আসে না আর যখন কোথাও বেরোনোর দরকার হয় ঠিক তখনই হাজির হয়ে যায়। কি আর করার প্রকৃতির নিয়ম মেনে নিতেই হবে। তবে অবশেষে আপনি আপনার বন্ধুর সাথে বেরিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। নিজের পাড়ার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পুজো মন্ডপে গিয়েছেন এবং প্রতিমাগুলোর ছবি সুন্দরভাবে তুলেছেন দেখে সত্যি ভালো লেগেছে। এত সুন্দর প্রতিমা গুলো হয়তো কখনো দেখার সৌভাগ্য হতো না যদি আপনি এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার না করতেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। পুজোর প্রতিটি মুহূর্ত ভালো কাটুক এই কামনা করি।
পূজার সময় বৃষ্টি হলে তো আপনাদের পূজাই মাটি হয়ে যাবে। পূজার সময় আসল মজা তো বিভিন্ন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে দেখা। বৃষ্টি হলেতো তা সেটা সম্ভব নয়। যাইহোক বন্ধুদের থেকে আসার উপলক্ষে এলাকার পুজো গুলো আপনার দেখা হয়ে গেল। কিন্তু আমার কাছে মনে হল যে এই মণ্ডপগুলো তুলনামূলকভাবে আলোকসজ্জা অনেক কম । ডেকোরেশন ও মোটামুটি মনে হয়েছে সেদিন কলকাতার পূজা মন্ডপ গুলোর কাছে। এই পূজা মন্ডপ গুলো খুবই সিম্পল হয়ে গিয়েছে। দেরি করে যাওয়ার কারণে প্রসাদ ও মিস করলেন। আশা করি পরবর্তীতে আরো ভালো কিছু মণ্ডপের ছবি দেখতে পারবো।
যা বৃষ্টি টা সব পন্ড করে দিলো। কী একটা অবস্থা। স্টেশন চত্বরের ঐ মন্দিরের প্যান্ডেল এবং প্রতিমা টা আমার কাছেও বেশ অন্যরকম লেগেছে আপনার ছবিগুলোর মধ্যে। বেশ সুন্দর ছিল আপনার শারদীয় ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ দাদা আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
প্যান্ডেলের মধ্যে ঝাড়বাতি গুলো আমার ও সুন্দর লাগে।কারণ আলোটা সুন্দর আসে আর দেখতেও ভালোলাগে।
নমস্কার
দাদা পুজো তো বেশ ভালোই কাটতেছেন ৷ আসলে আপনাদের দেশে যে ভালো পুজো হয় ৷ তা আবারও ভালো ভালো দেখতে পেলাম ৷ প্রতিটি প্রতিমা সত্যি অনেক সুন্দর লাগছিল ৷ আর মন্ডব লাইটিং সব ছিল দেখার মতো ৷ ষষ্ঠী তেই মনে হয় অনেক ঠাকর দেখছেন ৷
প্রত্যেকটা ছবি অসাধারণ ছিল দাদা. আমাদের এলাকাতেও প্রতিবছরই চাঁদা তুলে পরবর্তীতে এই পূজার আয়োজন করা হয়। তবে আমাদের এলাকায় খুব জাঁকজমকভাবেই এই দূর্গা পূজা সম্পন্ন হয়। এবার আমি এলাকার পূজা মিস করছি।
দাদা প্রথমে শারদীয় শুভেচ্ছা রইল। অসাধারণ লাগলো দাদা আপনার প্রতিমা গুলো দেখে। আপনার মাধ্যমে মায়ের অসাধারণ কিছু প্রতিমা দর্শন করে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দাদা, আপনাকে মহাঅষ্টমীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।আপনি মহাষষ্ঠীতে বন্ধুর সঙ্গে রাত 10 টার সময় বেরিয়ে ছিলেন ওইসময় একটু ভিড় কম থাকে মনে হয়!সত্যিই দাদা বৃষ্টি প্ল্যান করা জায়গাগুলি ভেস্তে দেয়।এই বছর আমিও সব পূজা বৃষ্টির মধ্যে দেখেছি।তাছাড়া লোকাল পাড়ার প্রতিমাগুলি অপূর্ব হয়েছে ,আসলে পাড়ার প্রতিমাগুলি প্যান্ডেল না করলেও ভালো করে।৫০০-১০০০ টাকার চাঁদা নিয়ে ভালোভাবে অঞ্জলী দেওয়া যায় এটাই অনেক।বারাসাত কালীপূজার জন্য বিখ্যাত বলে কথা আগে থেকেই কাজ শুরু তো দেবেই না হলে শেষ করা খুবই মুশকিল।অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা মায়ের প্রতিমাগুলি।দুর্গা মাকে আমার শতকোটি প্রণাম জানাই।আশা করি আপনার পূজা ভালো কাটছে।