নদীর ধারে কলসি নিয়ে একটি মহিলার বসে থাকার কাল্পনিক চিত্রাঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা নতুন আর্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। এই আর্টটি আমি দুইদিন ধরে অঙ্কন করেছি, এখন একটু চাপে থাকার কারণে আর সময় দিয়ে উঠতে পারছিনা। যাইহোক এই অঙ্কনটা আমি একটা কাল্পনিক চিন্তাধারার মাধ্যমে তৈরি করেছি। আমি আসলে যখন অঙ্কন করেছি আর তখন যা যা চিন্তায় এসেছে সেটাই অঙ্কনের মাধ্যমে তুলে ধরেছি। এখানে অঙ্কনটিতে আমি যেটা দেখিয়েছি যে একজন মহিলা কলসি নিয়ে নদীর ধারে একটি গাছের নিচে বসে আছে এবং সাথে আরো কিছু দৃশ্য তুলে ধরেছি। অঙ্কনটি আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। এখন অঙ্কনের মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।


☫উপকরণ:☫

আর্ট পেপার
বোর্ড
স্কেচ পেন্সিল
পেন
কালার পেন্সিল
রাবার

✦এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো---

❖প্রথম ধাপে আমি একজন মহিলার ছবি পরিপূর্ণভাবে অঙ্কন করে নিয়েছিলাম এবং এখানে আমি মহিলাটি বসে থাকার ভঙ্গিতে আছে এমনটা অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।

❖দ্বিতীয় ধাপে মহিলাটি বসে আছে একটি ঢিবির উপরে এমনটা অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। এরপর পাশে একটি কলসি এঁকে দিয়েছিলাম এবং পিছনে একটা গাছের মতো অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। ঢিবির দুই পাশে বর্ডার টেনে রেখেছিলাম।

❖তৃতীয় ধাপে দূরে একটি শিব মন্দিরের মতো দেখতে অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। অন্য পাশে একটি হাঁস জল দিয়ে চরে বেড়াচ্ছে এমন দৃশ্য অঙ্কন করেছিলাম এবং সাথে দুটি পদ্ম ফুলের মতো দেখতে অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। এরপর যে গাছটা অঙ্কন করেছিলাম তাতে পাতার দৃশ্যের মতো অঙ্কন করে দিয়েছিলাম এবং শেষে কলসির গায়ে একটু ডিজাইন করে দিয়েছিলাম।

❖চতুর্থ ধাপে অঙ্কন করা সমস্ত বিষয়গুলোতে পেনের কালী দিয়ে আরো ভালোভাবে বিষয়গুলোকে ফুটিয়ে তুলেছিলাম।

❖পঞ্চম ধাপে কালার দিয়ে আকাশের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলাম। এখানে গোধূলীবেলার দৃশ্যের মতো কিছুটা দেখানোর চেষ্টা করেছিলাম।

❖ষষ্ঠ ধাপে গাছটিকে সম্পূর্ণভাবে কালার করে দিয়েছিলাম।

❖সপ্তম ধাপে মন্দিরটিকে সম্পূর্ণভাবে কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর কলসিটিতে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖অষ্টম ধাপে মহিলাটির মুখমন্ডল, হাত এবং ব্লাউজে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর অন্য পাশে কালার দিয়ে সবুজ মাঠের মতো দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলাম।

❖নবম ধাপে মহিলাটির কাপড় এবং পায়ের দিকে কালার দিয়ে পরিপূর্ণ করে দিয়েছিলাম।

❖দশম ধাপে মহিলাটি যে ঢিবির মতো স্থানে বসে আছে সেটাতে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖একাদশ ধাপে হাঁসের গায়ে সম্পূর্ণ কালার দিয়ে দিয়েছিলাম এবং যেখানে চরে বেড়াচ্ছে সেখানে কালার দিয়ে জলের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলাম। এরপর দুটি পদ্ম ফুলে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম এবং এখানেই অঙ্কনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছিলাম।

আর্ট বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

দাদা আজকে চিত্রের মাধ্যমে আপনি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সেই পুরনো দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন। আগে গ্রামের মহিলারা নদী থেকে কলসি করে পানি নিয়ে আসত। আজকে আপনি খুবই সুন্দর ও দক্ষতার সাথে একদম অরজিনাল চিত্র অঙ্কন করে আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন। আসলেই চিত্রটি আপনি গত দুইদিন ধরে অঙ্কন করেছেন। অনেকটা সময়ের অভাবে এরকম হচ্ছে। যাইহোক আপনি গ্রামীণ প্রকৃতি কলসি নিয়ে নদীর পারে বসে থাকা একটি মেয়ের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন। সত্যি দাদা আজকে আপনার চিত্রটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।

 2 years ago 

দাদা আপনার কল্পনাতে এত সুন্দর মেয়ে মানুষ আসে সেটা তো আগে জানতাম না। দিদি জানলে তিন চার দিন আপনার খাওয়া দাওয়া এবং বাড়িতে যাওয়া বন্ধ করে দিবে। অঙ্কনটার মধ্যে কোন কিছু ত্রুটি রাখেননি। মেয়েটার পায়ে তোড়া হাতে বালা সব কিছুই দিয়েছেন। নদীর মধ্যে পদ্ম ফুল আবার রাজ হাসঁও আছে। আপনার কল্পনা অনেক সুন্দর ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

গ্রামীণ সৌন্দর্য গুলো আমার কাছে সবসময় ই একেবারে আলাদা।আর তা যদি হয় এতো সুন্দর আর্ট তবে তো কথাই নেই আসলে।

 2 years ago 

নদীর ধারে কলসি নিয়ে একটি মহিলার বসে থাকার চিত্র অংকন দেখে মনে হচ্ছে আপনার জন্য মনে হয় এরকম কেউ বসে আছে দাদা🤪🤪। পুকুর পাড়ে প্রিয় মানুষটির প্রতীক্ষায় বসে আছে মহিলাটি। তবে যাই বলুন না কেন দাদা আপনার অংকনের হাত কিন্তু অসাধারণ। আপনার অংকন করা প্রত্যেকটি চিত্র যেন নতুন নতুন চমক। অসাধারণ একটি চিত্র অংকন করেছেন দাদা। আপনার অংকনের দক্ষতা এবং নিপুণতা সবাইকে মুগ্ধ করে। অসাধারণ এই চিত্রটি অংকনের পদ্ধতি সকলের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল দাদা।

 2 years ago 

ওরে বাবা !! 😳😳😳😳🙄🙄এটা আমি কাকে দেখছি 😍😍,, আমাদের বৌদি নাকি 🤪🤪! জল তো বোধ হয় অনেক দূর গড়িয়েছে দাদা। তবে এই যুগে এসে ঘাটে জল আনতে দিতে যাওয়া যাবে না আর 😉, দিনকাল ভালো না তো 😀।
ছবিটা কিন্তু মারাত্মক এঁকেছেন 👌👌। কালার কম্বিনেশন এর তারিফ করতেই হবে। গ্রামের আবহাওয়ার একটা ছাপ অনেক চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।

 2 years ago 

দাদা আপনি গত দুইদিন ধরে আর্ট করেছেন ৷ তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে কতটা সময় লেগেছে ৷ তবে আপনি অসাধারণ এবং কী নিখুঁত ভাবে আর্ট করেছেন ৷ একদম প্রতি জায়গায় পারফেক্ট ৷ অনেক সুন্দর করে নদীর ধারে কলসি নিয়ে একটি মহিলার বসে থাকার চিত্র টি ৷

 2 years ago 

বরাবরের মতই দৃষ্টিনন্দন হয়েছে।সেই আগেকার দিনের গ্রাম্যবধুদের কলসীকাখে নিয়ে জল আনার দিনগুলো ফুটে উঠেছে।নিখুত ভাবে আপনি গ্রাম্যবধু আর নদীর পাড়ের পরিবেশ ফুটিয়ে তুলেছেন।রঙ গুলোও একদম পারফেক্ট।ধন্যবাদ দাদা চোখ জুড়ানো একটি চিত্রকর্ম শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

দাদা আপনার ছবি আমার খুব ভালো লেগেছে। মেয়েটি মনে হচ্ছে যেন আসল একটা মেয়ে। মনেই হচ্ছে না যে এটা ছবি। আপনার পরিশ্রম বিফলে যাইনি। ছবির ফিনিশিং সেটা বলে দিচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

দাদা,এত চাপ নিয়েন না তো🤓।দাদা এটা মহিলা না কি মেয়ে তাই বলেন।পানি আনতে যেয়ে বসে আছে কেন,তার বয়ফ্রেন্ডের জন্য🤣🤣 নাকি, তাও কলস তার পিছনে রেখে দিয়েছে হা হা।যাই হোক দারুন এঁকেছেন ছবিটা।মনে যা এসেছে তাই এঁকেছেন বিদায় মনে হয় বেশি ভালো হয়েছে।দাদা আপনি ভালো রান্না জানেন,ভালো আর্ট করতে জানেন,আর কি কি জানেন বলেন তো দেখি? ধন্যবাদ

 2 years ago 

সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে গ্রামীন চিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আমার কাছে এই ধরনের গ্রামীণ দৃশ্য বেশি ভালোই লাগে। তার সাথে বিশেষ করে মহিলাটি গাছের নিচে কলসি নিয়ে বসে থাকার বিষয়টি সত্যি অসাধারণ লাগছে। আপনার চিত্র সব সময় বেশ ভালো হয়ে থাকে। তাছাড়া সব সময় নিখুঁতভাবে আঁকার চেষ্টা করেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60704.11
ETH 2452.38
USDT 1.00
SBD 2.62