কালী পূজায় ঘোরাঘুরি-পর্ব ২
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে কালী পূজার আরেকটি পর্ব শেয়ার করবো। আগের পর্বে আমি দেখিয়েছিলাম বারাসাত কেবিন আর শক্তি সংঘের প্যান্ডেল আর প্রতিমা। আজকে অন্য দুটি দেখাবো। তো শক্তি সংঘে দেখার পরে আমি গিয়েছিল রাইসিং ষ্টার ক্লাব এর পুজো দেখতে। এখানে যাওয়ার আসলে উদেশ্য ছিল না প্রথমে কিন্তু যে প্যান্ডেলটি দেখতে যাচ্ছিলাম সেটাই যাওয়ার পথে মেইন রোডের পাশে এই পুজো প্যান্ডেলটি চোখে পড়ে, তাই একবারে দেখে নিয়েছিলাম।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই ক্লাব এর পুজো প্যান্ডেলটি ছোটোখাটোর মধ্যে প্রতিবারেই ভালো করে আর অনেকবার পুরস্কারও পেয়েছে এই ক্লাব। অন্যান্য বারের থেকে এই বছর প্যান্ডেলটি অনেক জাকজমকপূর্ণ করেছে সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এই ক্লাব এ আমি তেমন একটা দেখিনি, বড়োজোর আগে ১-২ বার দেখেছি কিন্তু এই বছর যতটা ভালো করেছে অন্যান্যবার এতটা ভালো করে করে না, আর এই ক্লাবের দিকে তেমন লোকজনও আসেনা। তবে এই তারিখ দেখলাম এই প্যান্ডেলটি দেখার জন্য লাইন পড়েছে ভালোই।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আর এই ক্লাবের এখানে একটা বড়ো মন্দিরও আছে, সবাই পুজোও দিতে আসে এমনি অনান্য সময়ে। এই ক্লাবে আরেকটা বিষয় হচ্ছে পুজোর সময় সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে থাকে, বেশ নামিদামি গায়কদের আয়োজন করে থাকে, কিন্তু পুজো দেখার ধূমে আর শোনা হয়ে ওঠে না তেমন। এখানে প্যান্ডেলটি পুরোপুরি বাঁশের কঞ্চি চেঁচে সাজিয়েছে। এখানে হাতি সহ অন্যান্য যেসব প্রাণীদের ডিসাইন সাজিয়েছে সব হাতের কারুকার্য, সবকিছু পাতার মতো হাত দিয়ে বুনেছে। পাতা জাতীয় কিছু দিয়ে করা একরকম কিন্তু বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বুনা কঠিন ব্যাপার।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
প্রথমে আমি ভেবেছিলাম পাতি দিয়ে তৈরি করা কিন্তু পরে ধারে কাছে গিয়ে দেখলাম কঞ্চি দিয়ে বুনেছে। আর তার আশেপাশে অন্যান্য ছোট ছোট বিভিন্ন ধরণের মূর্তি রয়েছে যেগুলো দেখতে আরো ভালো লাগছিলো আর সৌন্দর্যটাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে প্যান্ডেলের। প্যান্ডেলের ভিতরে মায়ের মূর্তিটাকেও সেইভাবে সাজিয়েছে, খুবই সুন্দর লাগছিলো। আর প্যান্ডেলের বাইরের মতো ভিতরেও ডিসাইন অসাধারণ করেছে সেটা ছবিতে দেখতেই পাচ্ছেন। ছোটোখাটোর মধ্যে এক কোথায় বলতে গেলে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে তাদের আয়োজনটি। আর এখানে আবার মেলাও বসিয়েছে, মেলার মধ্যে কিছুক্ষন থেকে চলে এসেছিলাম।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
রাইসিং ষ্টার ক্লাবের পুজো প্যান্ডেল দেখার পরে চলে এসেছিলাম রেজিমেন্ট ক্লাব এর পুজো প্যান্ডেল দেখতে। মূলত এই প্যান্ডেলটিই টার্গেট ছিল আগে, কারণ এই প্যান্ডেলটিকে নিয়ে সবাই ভালো বলাবলি করছিলো তাই এইটা দেখার জন্য অনেক আগ্রহী ছিলাম। রেজিমেন্ট ক্লাব এমনি প্রতিবারেই নিত্যনতুন নিয়ে আসে আর বড়ো করেই হয়। এই বছরও তার ব্যতিক্রম না, অনেক বড়ো করেই করেছে সবকিছু আর ডিসাইনটাও সাজিয়েছে চমৎকার।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই রেজিমেন্ট ক্লাব এর প্যান্ডেল দেখার জন্য পুজোর আগেরদিন থেকেই ভিড় জমিয়েছে, কারণ আমি রাতের দিকে যখন তাও প্রায় ১২ টা কি ১ টার দিকে তখন দেখি এই প্যান্ডেলে লাইন, আমি দেখে বলি কি রে পুজো এখনো শুরু হয়নি আর এর মধ্যেই লাইন দেওয়া শুরু করেছে সবাই। তাও ওইদিন আবার আবহাওয়া খারাপ ছিল, গুড়িগুড়ি বৃষ্টিও হচ্ছিলো, আমি একপ্রকার দেখে অবাক হয়েছিলাম যে এখন এই অবস্থায় এই ভিড় হচ্ছে না জানি পুজোর পরের দিন থেকে কি অবস্থা হবে। এই প্যান্ডেলটি দেখার জন্য আসলেও প্রচুর লোকজন এসেছিলো আর লাইনটাও ছিল বেশ বড়ো।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
তবে এইবার তুলনামূলক একটু লোকজনের লাইন বেশি হওয়ার কারণ একটাই ছিল, কারণ এইবার কারো জন্য কোনো ভিআইপি টিকিট বা লাইনের কোনো সুযোগ ছিল না, সব গড়ে একসাথে লাইন দিয়ে দেখতে হয়েছে। ফলে কোনো কোনো লাইন যে কত হাজারের গায়ে গিয়ে এইবার পৌঁছিয়েছে তার কোনো আন্দাজ কেউ করতে পারিনি, তাও সবাই অনেক ঠেলাঠেলি করে দেখেছে। এক কোথায় বলতে গেলে লাইনে জাস্ট দাঁড়িয়ে থাকতে হবে আর কিছু করা লাগবে না, পিছন দিক থেকে বাকিরাই ঠেলে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবে হা হা।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দেখার এটাই একটা দারুন মজা হয়। এখানেও পুজো দেখতে অনেক সময় লেগেছে, লাইনটা প্রচুর ছিল, তবে লাইন ভালো টেনেছিল তাই ৩০ মিনিট লেগেছিলো প্যান্ডেলের ভিতরে ঢুকতে। প্যান্ডেলটি সাজিয়েছে বিভিন্ন ধরণের জিনিস দিয়ে, ঢোকার মুখেই ড্রাগনের মতো একটা থিম তৈরি করেছে, এছাড়া আশেপাশে ফ্যান এবং অন্যান্য কারুকার্যের মাধ্যমে সাজিয়েছে সুন্দরভাবে। প্যান্ডেলের ভিতরের দিকেও ডিসাইন ভালোভাবে সাজিয়েছে সাথে মায়ের মূর্তিটাকেও ভালো সাজিয়েছে।
All photos what3words location: https://w3w.co/yell.storybook.wishing
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি |
লোকেশন | বারাসাত, পশ্চিমবঙ্গ |
তারিখ | ২৫.১০.২০২২ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
কালী পূজায় ঘোরাঘুরি দ্বিতীয় পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ। ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলে আপনি অনেক আনন্দের সাথে এবার কালীপুজো উপভোগ করেছেন। এবং সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফব আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পুজো দিয়েছেন আসলে সকলকে সাথে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পুজো দেওয়া মজা রয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে। এখন তৃতীয় পর্বে ফটোগ্রাফি দেখার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
বাঁশের কঞ্চি চেঁচে তৈরি করা বিভিন্ন কারুকার্য এবং প্রতিমা গুলো সত্যিই দারুণ হয়েছে। বাঁশের তৈরি হাতি দারুন লাগছে দেখতে। আজকে বড় দাদার শেয়ার করা পোস্টের মাধ্যমে বাঁশের কারুকার্য করা কিছু প্রতিমা দেখেছিলাম। এবার আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ জুড়িয়ে নিলাম। সত্যি দাদা এরকম কারুকার্য ভরা প্রতিমা ও মূর্তিগুলো দেখলে শিল্পীর গান শুনতে ভালো লাগে না। আসলে যত ভালো গানই শিল্পীরা গাক না কেন চোখ ধাঁধানো সব কারুকার্য গুলো মন কেড়ে নেয়। সত্যি দাদা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। এভাবেই হয়তো ধীরে ধীরে পুজোর আমেজ কেটে যাবে। কিন্তু পুজোয় কাটানো মুহূর্তগুলো এবং স্মৃতিগুলো থেকে যাবে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল দাদা।
বাঁশ দিয়ে যে বানিয়েছে তা সত্যি একেবারে বুঝাই যাচ্ছেনা।বেশ সুন্দর দেখতে বিশেষ করে পুতুল গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে।
আপনার ছবি পোস্ট দেখে বুঝলাম যদিও অনেক ঠাকুর দেখা হয় নি তাই আফসোস হচ্ছিলো। এখন আর হচ্ছে না। কারণ আপনি বা রুপাইয়ের পোস্ট করা ছবি তে বাকি ঠাকুর দেখে নিলাম। সত্যিই বারাসতের কালীপূজো অনন্য।
রাইসিং ষ্টার ক্লাবের পুজো এই বার আর দেখা হলো না আমার। আসলে বন্ধুবান্ধব সাথে থাকলে যা হয় আর কি। ঠিকঠাক করে কোন প্যান্ডেলেই পুজো দেখা যায় না। তবে তোমার শেয়ার করার দ্বিতীয় অর্থাৎ রেজিমেন্ট ক্লাব এর পুজো প্যান্ডেল দেখেছি। তবে আমি যখন গিয়েছিলাম তেমন একটা ভীড় ছিল না মোটামুটি পাঁচ মিনিটের ভিতরেই প্যান্ডেলে ঢুকতে পেরেছিলাম। এখানকার সব থেকে আকর্ষণীয় যে ব্যাপার ছিল সেটা হচ্ছে পাঞ্জাবীদের ঢোল পেটানো। তুমি ব্যাপারটা খেয়াল করেছো কিনা জানিনা।
রাইসিং ষ্টার ক্লাব এর পুজো গুলো খুব সুন্দর বানিয়েছে। কঞ্চি কেটে এভাবে বানানো তো বেশ কঠিন। তার মানে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে একেকটি প্রতিমা বানানোর পেছনে। তাছাড়া দাদা উপরে যে বিভিন্ন কালারের ঝিরি ঝিরি জিনিসগুলো কি দিয়ে বানানো। খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। এত এত পূজা মণ্ডপ দেখে শেষ করা যায় না আর গানের আয়োজন কখন দেখবে লোকজন। হাজারের উপরে লাইন এত ধৈর্য মানুষের। তারপরেও তো খুব কম সময়ে পৌঁছে গিয়েছেন। এত বড় লাইন তো হবেই আগের দিন থেকে লোকজন দাঁড়িয়ে আছে দেখার জন্য। এই প্যান্ডেলটির সাজসজ্জা একটু অন্যরকম। সেজন্যই হয়তো এত ভিড় হয় । এত ভিড়ের মধ্যে ফটোগ্রাফি কেমনে করেছেন দাদা?
প্রথমেই ধন্যবাদ দাদা মাতৃদর্শন এর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।আমার প্রথম ক্লাবের আয়োজন টি দারুন লেগেছে। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প বাশ শিল্প দিয়ে দারুন ভাবে প্রতিমা এবং বিভিন্ন জীবজন্তু বানিয়েছে।যা দেখতেও দারুন লাগছে।পরের ক্লাবের আয়োজন ও সুন্দর ছিল।ধন্যবাদ দাদা আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দেখার মজাই সত্যি অন্যরকম। এইবারের কালীপুজোতে আমিও লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো প্যান্ডেল গুলো দেখেছি। ঠিক বলেছেন আপনি এই বছর ভিআইপি পাশের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পুজো প্যান্ডেলে ঢোকার লাইনে একটু ভিড় বেশি হয়েছিল। লাইনে শুধু গিয়ে দাঁড়ালেই হচ্ছিল বাকি কাজ পিছনের লোকজন করে দিচ্ছিল। ঠেলতে ঠেলতে পুজো প্যান্ডেলের মধ্যে পৌঁছে দিচ্ছিল তারা। এই ঘটনাগুলো আমার সাথেও ঘটেছে এই বছর কালী পুজোতে ঘুরতে গিয়ে।
আসলে দাদা আপনাদের ওদিকে কালি পূজা বেশ ভালোই করা হয় ৷ কালি মায়ের মূর্তি আর মন্ডপের সাজসজ্জা বেশ চমৎকার ৷ আমাদের এদিকে কিন্তু ততটা ভালো হয় না ৷ আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে আমি যদি গিয়ে কালি মায়ের মূর্তি দর্শন করতে পারতাম বেশ ভালো লাগতো ৷ ধন্যবাদ দাদা আপনাকে মায়ের মূর্তি গুলো সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য ৷ আপনার মাধ্যমে বেশ চমৎকার চমৎকার পূজা মান্ডপের মায়ের মূর্তি গুলো দর্শন করতে পারলাম ৷ ধন্যবাদ আপনাকে
কালী পূজায় ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন দাদা, সত্যিই দারুন আনন্দ করেছেন এবার। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি করা প্রতিমা আমি এই প্রথম দেখলাম। এটা একেবারেই নতুন এবং অসম্ভব কারুকার্য পূর্ণ একটি শিল্প মনে হলো আমার কাছে। এটা একটা দূরদান্ত আইডিয়া ছিল। আর আলোকসজ্জা এবং পারিপার্শ্বিক সবকিছু থেকে সত্যিই চোখ সরানো মুশকিল হচ্ছিল। আমাদের এদিকে এতো সুন্দর করে সাজাতে কখনো দেখিনি। চোখ সার্থক হলো দাদা, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀