অনেকদিন পর বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করা ও ঘুরাঘুরি পর্ব-দুই
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে আবারও আমার আনন্দের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে এসেছি।আসলে অনেকদিন পর আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করেছি । সেই মুহূর্তটা আমার জন্য সত্যি অনেক আনন্দের ছিল। কেননা আমার বান্ধবীর সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক বছর পর দেখা যার কারণে অনুভূতিটা একটু অন্যরকম ছিল।আমরা সবাই মিলে গিয়েছিলাম ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট।সেখানে বেশ কিছু সময় আমরা ঘুরে বেড়িয়েছি এবং আড্ডা দিয়েছি। তারই কিছু মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
অনেকদিন পর বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করা ও ঘুরাঘুরি পর্ব-দুই
আসলে আমরা যখন ওখানে গিয়ে পৌঁছেছিলাম তখন সাড়ে চারটার বেশি বেজে গিয়েছিল। আর এখন খুব তাড়াতাড়ি সন্ধ্যে হয়ে যায় যার কারণে খুব বেশি সময় আমাদের হাতে ছিল না ।তারপরেও আমরা যতটুকু সময় ছিলাম সারাক্ষণ কথা বলতেছিলাম । কেননা অনেক দিনের জমানো কথা এত অল্প সময়ে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। গল্পের সঙ্গে সঙ্গে কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। যেগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ফটোগ্রাফিও করেছি। ফটোগ্রাফির এই জায়গাটা নদী গবেষণার ভেতরে। দুইপাশে পুকুরের মতো মাঝখান দিয়ে একটি রাস্তা । সেই রাস্তাটির গেট গাছ দিয়ে এত সুন্দর করে বানানো ।সত্যি চমৎকার জায়গা যার ভেতরে একটি ছেলে ও মেয়ে ফটো সেশন করছিল।
এটি হচ্ছে নদী গবেষণার ভিতরে একটি লেকের মত ।যার চার পাশ দিয়ে বিভিন্ন গাছ লাগানো ছিল। আবার বসার জন্য বেঞ্চও ছিল ।যেখানে লোকজন বসেছিল। জায়গাটা সত্যি চমৎকার ছিল। বিকেল বেলায় বেশ ভালো সময় কাটানোর জায়গা ।আমরা এর পাশ দিয়ে হাঁটা হাঁটি করেছিলাম ।বেশ ভালো লেগেছিল। সেদিনকার আবহাওয়াটাও বেশ ভালো ছিল।
এটি চমৎকার একটি রাস্তা ছিল যার দুই পাশ দিয়ে গাছ ছিল ।এই রাস্তা ধরে বহু দূর হেঁটে যাওয়া যায়। আমরা কিছুদূর হেঁটে গিয়েছিলাম। পাশে পুকুর থাকায় সত্যি চমৎকার লেগেছিল। রাস্তাটাও বেশ সুন্দর ছিল। অনেকেই এখান দিয়ে হাঁটা হাঁটি করছিল।
এখানে বেশ কয়েকটি বকুল গাছ দেখতে পেলাম ।বকুল গাছে বকুলের ফল হয়েছিল কিন্তু কোন ফুল দেখতে পাইনি। তবে যখন ফুল ধরে তখন এই জায়গাটা আমার মনে হয় বকুল ফুলের ঘ্রাণে চারিদিকে মুখরিত হয়ে যায়। কেননা বেশ কয়েকটি ঝোপালো বকুল গাছ ছিল। দুর্ভাগ্য যে আমরা এখন বকুল ফুল দেখতে পাই নি।
আর এই গাছগুলো কি হঠাৎ করে দেখলে বোঝা সম্ভব নয় ।আমি প্রথমে ভেবেছিলাম আগাছা ।পরে জানতে পারলাম দীর্ঘ জায়গা নিয়ে হওয়া এই গাছগুলো হচ্ছে লজ্জাবতী লতা গাছ। যখন আমি জানতে পেরেছিলাম তখন প্রতিটা গাছকে লজ্জা দিতে দিতে আমার হাত ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য ছোট ছোট দুটি চারা আমি উঠিয়ে আমার বাসায় এনে লাগিয়েছি। গাছগুলো আমার ছাদে লাগানো আছে , বেচেঁ গিয়েছে। মাঝে মাঝে গাছগুলোর কাছে যেয়ে গাছগুলোকে টোকা দিয়ে লজ্জা দিতে ভীষণ ভালো লাগে।
বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর হঠাৎ করে বৃষ্টি চলে এলো। যেহেতু আমার সঙ্গে আমার মেয়ে ছিল তাই বৃষ্টিতে ভেজার কোন সুযোগ ছিল না। তাই তাড়াহুড়ো করে আমরা ওখান থেকে ফিরতে শুরু করলাম ।তবে আমি চেয়েছিলাম ওখান থেকে সরাসরি বাসায় চলে আসতে ।কিন্তু আমার বান্ধবী আসতে দিল না ।ও জোর করল যে সবাই মিলে ফুচকা ,চটপটি খেয়ে আসি ।তারপর ওখান থেকে আমরা দুটি অটো নিয়ে বেশ কিছু দূরে একটি চটপটি ও ফুচকার দোকানে গেলাম। সেই গল্প আপনাদের সঙ্গে আরেকদিন শেয়ার করব ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন: | নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
যতদিন চলে যাবে তত পাশের মানুষগুলো যেন পুরাতন হয়ে যাবে। আর তাদের থেকে অনেক দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যায়। তারপরেউ প্রিয়জনদের সেই মুখ দেখার ইচ্ছে জাগে। অনেকদিন পর বান্ধবীর দেখা পেয়েছেন এবং একত্রে ঘোরাঘুরি করতে পেরেছেন যেনে অনেক অনেক ভালো লাগলো। হয়তো বৃষ্টির কারণে বাসায় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন, তার পরেও বান্ধবীর সাথে যে কিছুটা সময় ধরে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এতে হয়তো আপনার বান্ধবী অনেক খুশি হয়েছে এবং আপনারও অনেক ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন যত দিন যাবে কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে দূরত্ব ততই সৃষ্টি হবে। যাই হোক আপনার মন্তব্যটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পর বান্ধবীর সাথে দেখা হলে অনেক ভালো লাগে। আর অনেক জমানো কথা বলা হয়। আসলে বর্তমান সময়ে আমরা সবাই এতটাই ব্যস্ত যে কারো সাথে সেভাবে দেখাই হয় না। ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো আপু। বকুল ফুলের যেহেতু বীজ হয়েছে তাই তো ফুলের দেখা পাননি। আর লজ্জাবতী গাছ গুলো দেখে আমারও খুবই ভালো লাগলো। লজ্জাবতী গাছগুলো স্পর্শ করতে আমারও খুবই ভালো লাগে। আর হঠাৎ বৃষ্টি সব পরিকল্পনা বানচাল করে দেয়। হয়তো আরো কিছুটা সময় কাটাতে পারতেন। যাই হোক শেষে সবাই ফুচকা চটপটি খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আপু।
হ্যাঁ খুব বৃষ্টির কারণে তাড়াতাড়ি ওখান থেকে চলে আসতে হলো ।না হলে বেশ ভালই লাগছিল ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে অনেক দিন পরে বান্ধবীর সাথে দেখা হলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর হাজারো জমানো কথা যা বলে শেষ করা যায় না স্বল্প সময়ে। আর এই আনন্দঘন মূহুর্তের সময় অনেক তারাতাড়ি চলে যায়।যাইহোক আপনি বান্ধবীর সাথে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কাটানোর সময় গুলো খুব দ্রুতই কেটে যায় ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
নদী গবেষণায় এখন কি ঢুকতে দেয়? মাঝখানেতো ঢুকতে দিত না। যাইহোক অনেকদিন পর বান্ধবীর সঙ্গে এত অল্প সময়ে কি সব কথা বলে শেষ করা যায়। লজ্জাবতী লতা গাছগুলো দেখলে এই এক অবস্থা লজ্জা না দিয়ে ভালো লাগে না। যাই হোক আপু বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। কোন বান্ধবী এসেছিল?
হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন নদী গবেষণায় মাঝখানে ঢুকতে দিত না ।এখন শুধু শুক্রবারে ঢুকতে দেয়। আর আমার বান্ধবী রনী এসেছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বেশ কয়েক বছর পর বান্ধবীর সাথে দেখা। আপনারা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন তা আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বেশ বুঝতে পেরেছি।এতো সুন্দর পরিবেশে সবাই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। আপনার মতো আমিও লজ্জাবতী গাছকে টুক করে ছোঁয়া দিয়ে লজ্জা দেই।বৃষ্টি শুরু হলে আপনারা বের হয়ে ফুচকার দোকানে গেলেন ফুচকা ও চটপটি খেতে।আসলে ঘুরাঘুরি করতে গেলে কিছু খাওয়া-দাওয়া করলে বেশ ভালোই লাগে।
আসলে আপু বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করা খাওয়া-দাওয়া করা একটা অন্যরকম আনন্দ। আর লজ্জাবতী গাছে টোকা দেওয়ার মধ্যে তো অনেক বেশি আনন্দ থাকে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।