বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে । আজ আমি মূলত বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া দাওয়া করার কিছু অনুভূতি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে এসেছি। মূলত বেশ কিছুদিন আগে ঢাকায় যখন বোনের বাসায় গিয়েছিলাম, তখন বোনের সঙ্গে আমরা সবাই মিলে শপিং এ গিয়েছিলাম। বাচ্চাদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা করার পর, আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কোন একটি রেস্টুরেন্ট থেকে রাতের খাবার খেয়ে যাব। তখন প্রায় রাত দশটা বেজে গিয়েছিল। তখন আমরা বেইলি রোডের বার্গার এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্টে গেলাম। সেখানে মজার মজার কিছু খাবার খেয়েছিলাম । সেই অনুভূতিই এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

---

বেইলি রোডের বার্গার এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া-দাওয়া করার অনুভূতি

---

আমরা যখন রেস্টুরেন্টে পৌঁছালাম তখন সেখানে যাবার পর দেখলাম রেস্টুরেন্ট টি মোটামুটি বেশ ফাঁকাই ছিল লোকজন খুব একটা ছিল না ।আমরা আমাদের সুবিধামতো জায়গায় যেয়ে বসলাম। তারপর ম্যেনু কার্ড দেখে পছন্দের কিছু খাবার অর্ডার করলাম। খাবার অর্ডার করে আমরা বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করছিলাম ।যেহেতু রাত দশটার বেশি বেজে গিয়েছিল সবারই বিশেষ করে বাচ্চাদের খিদে পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরেও খাবার দেয়ার নাম ছিল না। যার কারণে আমার বোনের হাসবেন্ড অর্থাৎ ভাইয়া একটু রেগে গেলেন ।তিনি ওয়েটার কে ডেকে বললেন পাঁচ মিনিটের মধ্যে যদি আপনারা খাবার পরিবেশন না করেন আমরা তখনই চলে যাব ।লোকরা কথাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যস্ত হয়ে পড়ল আমাদের খাবার সার্ভ করতে। কেননা আমাদের পরে যারা এসেছে তাদের খাবারও দিয়ে দেখেছি। যার কারণে মেজাজটা একটু বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল সবারই।

---

রেস্টুরেন্টে বসে বসে বাইরের দৃশ্য দেখছিলাম ।বাইরে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ছিল। যেখানে সুলতান্স ডাইন ছিল। আমরা ভাবছিলাম এখান থেকে যদি রাগ করে উঠে চলে যাই তাহলে সুলতানস ডাইনে যাব কাচ্চি খেতে।যাইহোক পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তারা খাবার পরিবেশন করল। খাবার দেখে আমাদের রাগ পানি হয়ে গেল। আসলে মাঝে মাঝে ভালো ব্যবহারে কাজ দেয় না। ব্যবহার একটু খারাপ করলে সার্ভিস ভালো পাওয়া যায়। যাই হোক আমরা খাবার খেতে শুরু করলাম।

---

প্রথমেই তারা চিকেন নাচোস পরিবেশন করল। যেহেতু বেশ কয়েকটি আইটেমের খাবার অর্ডার করা হয়েছিল তারা চাইলে আগে কিছু খাবার সার্ভ করতে পারতো ।যাইহোক এদের চিকেন নাচোস খেতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছিল। আমাদের ফরিদপুরে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়েছি তার তুলনায় এখানের টি অসম্ভব মজার ।বেশ মজা করে সবাই মিলে চিকেন নাচোস খেয়েছিলাম।

---

যেহেতু এই রেস্টুরেন্টের নাম ছিল বার্গার এক্সপ্রেস সেহেতু তাদের বার্গার তো খেয়ে দেখতেই হয়। যার কারণে বার্গার অর্ডার করা হয়েছিল ।যদিও বাচ্চারা বার্গার একটু বেশি পছন্দ করে তাদের কথা চিন্তা করেই মূলত বার্গার অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। এদের বার্গারটা খেতেও কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছিল ।বেশ মজার ছিল খেতে।

---

আমরা সেট ম্যেনু অর্ডার করেছিলাম যেখানে ছিল ফ্রাইড রাইস ও চিকেন স্টেক। এটি খেতেও বেশ ভালো লেগেছিল। যদিও আগে অনেক কিছু খাওয়া হয়েছিল যার কারণে এই ফ্রাইড রাইস খাওয়াটা ভীষণ কষ্টকর হয়ে গিয়েছিল সবার জন্য। যাই হোক সবাই একটু একটু খেয়ে তারপর খাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে পরিবারের সবাই মিলে যখন একসঙ্গে কোথাও খাওয়া-দাওয়া ,ঘুরতে যাওয়া হয় তখন অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। সেদিন কার সময়টা সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছিল।আজ আবারো সেই মুহূর্ত মনে করতে বেশ ভালো লাগলো। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে।

---

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:	@wahidasuma
ডিভাইস:	OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy