"পুকুরে জেলেদের মাছ ধরা দেখার অনুভূতি "১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৫-০৯-২০২২)
যখন আমি পুকুর পাড়ে গেলাম গিয়ে দেখি জেলেরা পুকুরে জাল নামিয়ে দিয়েছে। এবং মাঝখানে একটু অংশবিশেষ ফাঁকা রেখেছে। একটি করে হাড়ি দিয়েছে যাতে মাছগুলো ঝাপিয়ে না যেতে পারে। পুকুরের গভীরতা অনেক বেশি এবং অনেক লম্বা তাই জাল প্রায় ১০০ হাতের প্রয়োজন হয়েছিল।
এই ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কয়েকজন মানুষ জাল টেনে পাড়ের দিকে ভিড়াচ্ছে।এইভাবে আস্তে আস্তে করে পুকুরের সব মাছগুলো জালের মধ্যে আটকে রাখবে এবং তারা এক পর্যায়ে জালগুলো থেকে হাঁড়িগুলো বের করে দেবে এবং মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি করবে
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন জাল গুলো দুই দিক থেকে কোলে ভিড়িয়ে নিয়েছে এবং মাছগুলোকে জালে আবদ্ধ করে ফেলেছে। এখন এরা চারদিকে গোলাকার হয়ে মাছগুলো ধরে হাড়িতে রাখবে।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন জাল থেকে মাছগুলো ধরে একটি বড় হাঁড়িতে রেখেছে। এই হাড়ির মধ্যে অনেক গুলো মাছ রয়েছে। এসব মাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে, পাঙ্গাস মাছের, পোনা, সিলভার কাপ, মৃগেল মাছ, তেলাপিয়া মাছ, ইত্যাদি।
হাঁড়ির মাছ গুলো ঘাসের উপর ঢেলে নিব কারণ বিভিন্ন মাছের বিভিন্ন প্রকার দাম হয়ে থাকে। যেমন সিলভার মাছ কিনতে ১২০ টাকা করে বিক্রি হয়। এবং রুই মাছ গুলো ২০০ টাকা বিক্রি হয় তেলাপিয়া মাছ গুলো ১৩৫ টাকা করে বিক্রি হয়। সুতরাং মাছের দাম বিভিন্ন হওয়াতে মাছগুলো প্রথমে স্কেল এর মাধ্যমে ওজন করে নিতে হয় বেছে বেছে।
ডিজিটাল স্কেলের সাহায্যে ওজন দেয়া হচ্ছে। আসলে হাড়িরএকটি ওজন আছে সেই ওজন টাকে শূন্য করে নিতে হয়। এরপরে মাছগুলো ঢেলে মাছের ওজন দিতে হয়। আসলে ডিজিটাল স্কেলে মাছ পরিমাপ করলে যে বিক্রি করে সে ঠকবে না যে কিনে সে ঠকবে না এটাই এর বিশেষত্ব।
এই মাছগুলো খালি হাড়িতে মাছ তুলে দেবে এবং এই ডিজিটাল স্কেল এর উপরে রেখে সঠিক ওজন দিবে। মাছ বিক্রি করার সময় আমরা ডিজিটাল স্কেল ব্যবহার করে থাকি।
মাছ মাপা শেষ হয়ে গেলে, এই মাছ বাজারে বিক্রি করার জন্য মাছ ক্রেতা মাছ নিয়ে বাজারের মুখে হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপনারা এই ভাইটিকে দেখে বুঝতে পারছেন। ক্রেতা এ পুকুর থেকে মাছ ক্রয় করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন। আমাদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণ পুকুরে মাছ চাষ হয়। এজন্য বাইরেও ক্রেতা গুলো আমাদের এখানে প্রতিদিন এই মাছ ক্রয় করার জন্য আসে।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন ব্লগ।আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি।সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
দৃশ্য খুবই সাধারণ হলেও সৌন্দর্য অস্বাভাবিক মাত্রার।
আমাদের পুকুরেও এভাবে মাছ ধরা হয়।জালের ভেতর মাছের ছুটোছুটি দেখতেও ভালো লাগে।
যেন জীবন্ত দৃশ্য দেখলাম।শুভ কামনা রইলো ভাইয়া❤️🖤
পুকুর পাড়ে সৌন্দর্য গুলো অনেক সুন্দর হয় ভাই।
ছোটবেলায় নানা বাড়িতে গেলে এরকম দৃশ্য অনেকবারই দেখেছি তবে বড় হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সময়টাও যেন পাল্টে গেছে। এখন আর নানা বাড়িতেও যাওয়া হয় না আর এরকম দৃশ্যও দেখা হয় না। এরকম পুকুরে মাছ ধরা এবং সেই মাছ টাটকা টাটকা রান্না করে খাওয়ার মজাই আলাদা। ভাই আপনি খুব সুন্দর করে পুকুরে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্যটুকু এবং সেই সাথে আপনার অনুভূতিটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাই আমাদের এলাকায় অনেক পুকুর। আমরা কিন্তু সব সময় টাটকা মাছ খেয়ে থাকি।
আপনাদের ওখানে গেলে মনে হয় প্রচুর টাটক টাটকা তাজা মাছ পাওয়া যাবে। এমন চাষকৃত তাজা মাছগুলো কিন্তু বেশ ভালো লাগে। তারা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মাছ বাজারজাত করে। প্রথমে তারা চাষ করে তারপর খাওয়ার খাওয়ায় বিভিন্ন উপায়ে মাছগুলোকে ধরে এরপর ওজন করে এবং বিভিন্ন মাছের বিভিন্ন দামে বিক্রয় করে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি ভাইয়া।
জি আপু আমরা মাছের চাষ করে থাকি বিভিন্ন প্রকারের।এবং সেগুলো বাজারে বিক্রি করে থাকি।
আমাদের দাদা বাড়িতে এরকম একটা পুকুর ছিল। ছোট থাকতে আমরা যখন দাদা বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন পুকুর থেকে মাছ ধরত। আমরা সেগুলো দেখতাম এবং উপভোগ করতাম। সামনাসামনি মাছ ধরার দৃশ্য খুবই সুন্দর এবং টাটকা টাটকা মাছ খাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম। এখন আর খুব একটা যাওয়া হয় না। আর টাটকা টাটকা মাছ ও খাওয়া হয় না। আপনার পোস্টটি দেখে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল।
মাছ খাওয়ার থেকেও মাছ ধরার অনুভূতিটা কিন্তু অনেক দারুন মাছ ধরতে বেশ ভালই লাগে
পুকুরে জেলেদের মাছধরা অনুভূতিটি পরে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। সুন্দরভাবে শেয়ার করার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই