অপরের কাজে নিজের অভিজ্ঞতা। ১০% লাজুক খ্যাকের জন্য) by @tuhin002
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৪ - ০২ - ২০২৩)
জীবনে চলার পথে অনেক কিছুর অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে। যেকোনো সময় মানুষ যেকোনো কিছু সম্মুখীন হতে পারে। মানুষের জীবন চলার পথে বাধা বিঘ্ন থাকতেই পারে। আর এই সব সময় যদি নিজের কোন অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সেই অভিজ্ঞতাটাকে কাজে লাগিয়ে সেই বাধা বিঘ্ন গুলো খুব সহজে অতিক্রম করা যায়।বেশ কিছুদিন আগে এরকমই দুইটা অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি আজকে আপনাদের সামনে শেয়ার করব। এ দুই অভিজ্ঞতার মধ্যে একটা ড্রাগ লাইসেন্স আর একটি বিড়ালের আচড়।বিড়ালের আচড়ের কথা শুনে হয়তোবা আপনার ভাবছেন এটা আবার কি ? একজন বিড়ালের পোষার অনেক শখ।তো সে বিড়ালের আদর করতে গিয়েছিল একটা ছোট বেড়ালে বাচ্চাকে হঠাৎ তার হাতে নখ দিয়ে আচড় মারে। আর এর জন্য তাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য কুষ্টিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।যাহোক প্রথমে আমি ড্রাগ লাইসেন্স সম্পর্ক আপনাদের সামনে আমি তুলে ধরব।
বর্তমান সময়ে নামধারী ডাক্তারের শেষ নেই। সবাই যেন এখন ডাক্তার হয়ে গেছে। সব থেকে বড় কথা কি জানেন এখন আমরা নিজেরাই তো ডাক্তার হয়ে গেছি যারা রোগী সাধারণত। আপনি কোন ফার্মেসিতে যাবেন গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। দেখবেন ম্যাক্সিমাম মানুষজন এসে আপনাকে বলবে আমাকে এই বড়ি দেন ও বড়ি দেন। মনে হয় যেন এরাই ডাক্তার। আমি এটা দেখে আশ্চর্য হয়ে যায়। যে মানুষ এখন কতটা আপডেট কতটা মানুষ সামনে নিজেকে ধাবিত করেছে। আর সবথেকে বড় কথা মানুষের সামান্যতম কোন রোগ হলেই যেন তারা ডাক্তারের কাছে যেতে একটুকু পিছু হটে না। যা হোক আমি আপনাদের ড্রাগ লাইসেন্স সম্পর্কে কিছু তথ্য দিব। আসলে ড্রাগ লাইসেন্স হলো ঔষধ বিক্রি করার জন্য আপনাকে একটি লাইসেন্স করতে হবে। আর এই লাইসেন্সের মাধ্যমে কোন ওষুধ বিক্রি করতে পারবেন। যদি আপনার লাইসেন্স না থাকে যে কোন সময় প্রশাসন আপনাকে যে কোন সমস্যা মধ্যে ফেলতে পারে। যদি আপনার ওষুধের দ্বারায় কারো কোনো ক্ষতি হয় তাহলে আপনি পুরোটাই দায়ভার নিতে হবে। আর এজন্য লাইসেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। আর এই লাইসেন্স করার জন্যই আমি গিয়েছিলাম কুষ্টিয়াতে। আমার একজন পাশের মানুষের জন্য। এই লাইসেন্সটি করতে হবে আসলে দুর্নীতিটা যেন সারা দেশে ছুঁয়ে ছেয়ে গেছে। উনি কোনভাবেই স্বাভাবিকভাবে লাইসেন্স করে দিতে চাইছিল না। যখন কিছু টাকার লোভ দেখালাম তখন উনি খুব সহজে বলল আচ্ছা কোন সমস্যা নেই আপনি কিছুদিনের মধ্যে আসেন এসে এটা নিয়ে যায়। আসলে এভাবে দেয়া তো কোন নিয়ম নাই। এভাবে দিলে খুবই সমস্যা আসলে মানুষ শুধু টাকার পিছনে ছুটছে আর ছুটছে। টাকাটা কিভাবে আয় হচ্ছে সেটা দেখার কোন বিষয় না। যাক ওনার কাছ থেকে আমাদের এই ড্রাগ লাইসেন্সটা নেয়া সম্পূর্ণ করলাম এবং পরবর্তীতে আমার যে কাজ ছিল সেই কাজ আমরা গেলাম যদি ঐদিন আমার পুরা কাজটি সম্পন্ন হয়নি আরো একদিন আসার জন্য তিনি বলেছিলেন।
যখন আমরা কুষ্টিয়া হাসপাতালে যাওয়ার সময় রাস্তার মধ্যে পাঁচ সাত মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম। বিশাল লম্বা লাইন। আমি এটা দেখে তো বলেই ফেলি যে ঢাকা শহরে চলে এসেছি,এ যে বিশাল জ্যাম।যদিও আমি সম্পন্ন ভাবে ফটোগ্রাফি করতে পারি নি। কারন দেড় মিটার লম্বা অটো বাইকের লাইন পড়ে গিয়েছিল। পরে আমার সাথে যে পাশে ছিল সে বলছে ভাই এত বড় লাইন আমি ওকে বললাম ঢাকা শহরে এটা সম্ভব এখন দেখছি কুষ্টিয়াতে এমন হয়। যাহোক ওখান থেকে আমরা কিছু সময়ের মধ্যে বের হয়ে আসলাম একজন ট্রাফিক পুলিশ ছিল উনি আস্তে আস্তে জ্যাম ছেড়ে দিল।
আমার জীবনে প্রথম আমি কুষ্টিয়া হাসপাতালে আসলাম। আসলে কেউ চায় না যে এ হাসপাতালে আসুক।আমি কুষ্টিয়া হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পরে দেখি একটি অ্যাম্বুলেন্সের পাশে মানুষ দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করছে। আমার বুঝতে বাকি রইল না যে, অবশ্যই কেউ মারা গেছে। তারপর আমি তাকিয়ে গিয়ে দেখি একজন মানুষ মারা গেছে। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাচ্ছে তার স্বজনেরা কাঁদছে। আমি এর আগে শুনেছি কুষ্টিয়া হাসপাতালে প্রত্যেক দিন দুইটা তিনটা করে মানুষ লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আসলে হাসপাতালে এতো রুগীর আসে যে তার মধ্যে দু-একটি মরবে এতে কোন সন্দেহ নেই। যাই হোক বিয়েরের আসর দিয়েছিল আমার পাশে যে লোকটি ছিল সে তাকে তাকে নিয়ে আমি কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভেতরে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম।
আমরা যখন জরুরী বিভাগের সামনে ছিলাম তখন আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখলাম এত পরিমান মানুষের ভিড় এত মানুষ আমি আগে কখনো দেখিনি কারণ আমি হাসপাতালে সেভাবে কখনো যাইনি। যদিও গিয়েছে সেটা হচ্ছে আমাদের নিজ উপজেলায়। পরে আমি তার সাথে করে ভেতরের দিকে প্রবেশ করলাম। সামনে গিয়ে দেখে এক্স রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি রুমের সামনে অনেক মানুষ লাইন করে দাঁড়িয়ে আছে। আমি দেখে বুঝতে পারলাম এখানে যা সম্ভব নয় তাই আমি দাঁড়িয়ে থাকলাম তার সামনের দিকে অগ্রসর হলো। প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরে সে তার কাজটি সম্পন্ন করে আসলো। আমি তাকে বললাম এত দেরি হল যে সে বলল ভাই এত পরিমাণ ভিড় ছিল যে সহজে কাজটি করা সম্ভব হয়নি। অবশ্য এই ছিল তা দ্বিতীয় ডোজের টিকা। যদিও প্রথম ঠিকা সে নিজেই গিয়ে দিয়ে এসেছিল। আমি তাকে বললাম তীর্থ ডোজ কবে দিবে? সে বল ভাই এক মাসের মধ্যে লাস্ট ডোজের ঠিকানা সম্পন্ন করতে হবে। আসলে আমরা জানি কোন বিড়াল বা কুকুরে যদি কামড়ে দেয় তাহলে এই টিকাটা দেয়া অবশ্যক। কারণ তা না হলে জীবন নাশের কারণ হতে পারে।
প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @tuhin002 🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | poco M2 |
ক্যামেরা | camera-13MP |
আমার বাসা | গাংনী, মেহেরপুর |
লোকেশন | https://w3w.co/boomerang.flatter.tugged |
সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন ব্লগ।আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি।এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়।আমি আমি বর্তমানে একজন বেকার এবং চাকরির খোঁজে রয়েছি।এ ছাড়াও আমার একটি বাগান আছে।আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি।মাছের চাষ আমার প্রধান পেশা।এছাড়াও আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।।
জীবনের সব জায়গাতে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে বিড়ালের আচরে ভ্যাকসিন নিতে হবে যেটা সাবধানতা অবলম্বন করা। আমি অনেকবার আঁচড় খেয়েছি কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়া লাগেনি তবুও সাবধানতা বসত ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। তাছাড়া লাইসেন্স ঔষধি দোকানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেক ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন কুষ্টিয়া শহরে ভালো লাগলো।
সাবধানতা বজায় রেখে চলাফেরাই হলো বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার কথাগুলো মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জীবনে সব কাজরই অভিজ্ঞতা দরকার ।কখন কোনটা কাজে লাগে বলা যায় না। আর আমরা এখন এমন অবস্থায় আছি যে , কোন কাজ করতে গেলেই টাকা ছাড়া হয় না। তবুও আপনার কাজটি হয়েছে এটাই একটা ভাল বিষয়। অনেক অনেক শুভ কামন আপনার জন্য।
বর্তমানে বিষয়টা এমন হয়েছে যার টাকা আছে তার দুনিয়ায় সব আছে। গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।