ফটোগ্রাফি:- ভিন্ন ধরনের কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি
আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
০৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
০৫ রবিউল আওয়াল ১৪৪৫ হিজরি। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
আমি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনাদের সামনে একটি করে অর্গানিক ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। যদিও অর্গানিক ফুল কিন্তু দেখতে কিন্তু ভীষণ সুন্দর। আজকে আমি ওই অর্গানিক খুলে সবগুলো এক এই একটি ফটোগ্রাফির মধ্যেই তুলে ধরেছি। আসলে আমি রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে দেখি ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে আর তার মধ্যে রয়েছে এতগুলো অর্গানিক ফুল। যে লোকটি এই অর্গানিক ফুল বিক্রি করছিল উনাকে সেখানে দেখছিলাম না হয়তোবা কোন কাজে পাশে ছিল। এই অর্গানিক ফুল গুলো দেখতে এত সুন্দর লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না। আপনারা ফটোগ্রাফির মধ্যে দেখেই বুঝতে পারছেন যে আসলে কতটা সুন্দর লাগছিল। তাই দেখা মাত্র একটি ফটোগ্রাফি করলাম। আরে ফটোগ্রাফি করার পরে আমি এখানে একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখলাম এই অর্গানিক ফুলের ফটোগ্রাফির পাশাপাশি কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য এর মাঝে ফুটে উঠেছে এটা খুব সুন্দর লাগছে। অর্গানিক এবং প্রকৃতি যেন একত্রে ফুটে উঠেছে।
এই ফলটি সম্পর্কে আমাদের সবারই জানা আছে। এই ফলটির নাম হল মালটা ফল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। মালটা ফলের জুস তৈরি করে খেতে বেশ ভালো লাগে। রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে দেখে এই মালটার ফলগুলো। প্রথমে ফটোগ্রাফি করার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু যখন মোবাইলে ধরলাম তখন এত সুন্দর লাগছিল ফটোগ্রাফি না করে পারছিলাম না। বর্তমানে আমাদের দেশে এ মালটার প্রচুর উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের দেশের চাহিদাকে পূরণ করে বাইরের দেশেও শোনা যাচ্ছে এখন বিক্রি করা হচ্ছে এই মালটা ফল। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি প্রয়োজন। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে হলেও এ ধরনের ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া।
ইনি হলেন ফল ব্যবসায়ী। উনার সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম। বর্তমানে মানুষের অর্থনৈতিক মন্দা এবং ফলের দাম বেশি হওয়াতে ক্রেতারা তেমন আর ফল ক্রয় করে না। চাচার কাছ থেকে একটা বিষয় জানতে পারলাম এখন আর আগের মতো ফল বিক্রি হয় না। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে গরীব মানুষ পর্যন্ত ফল খুবই কম ক্রয় করে থাকে। আসলে ক্রয় করবে কি করে। এইতো কয়েক বছর আগে এক কেজি আঙ্গুর ফল খেয়েছি ১২০ টাকা করে। আর সে আঙ্গুর ফল এখন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। সব থেকে ভালো আপেল কিনে খেয়েছি ১৮০ টাকা কেজি। আর সে আপেল এখন সাড়ে তিনশ টাকা। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে বলে ব্যবসিকরা অনেকটা নির্জীব হয়ে পড়েছে। তাদেরও আগের মতো সেই বেচাকেনা নেই। তাই এভাবে বসে বসে সময় কেটে যাচ্ছে এই ব্যবসায়ীদের।
ফল ব্যবসায়ের মতো ইনিও একজন ব্যবসায়ী। শহর অঞ্চলের রাস্তার পাশে এই ধরনের ব্যবসায়ী অনেক দেখা যায়। বর্তমান সময়ে পূর্ণ দ্রব্যের অধিকত দাম হওয়ার কারণে ইনাদের ও বেচাকেনা কমে গেছে। মানুষের অভাব অনটন গুলো এখন বাইরে থেকে বোঝা যায়। আপনি রাস্তাঘাটে যখন চলাফেরা করবেন দেখবেন প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে একটা হতাশা কাজ করছে। মধ্যবিত্ত গরীব মানুষ ভালোভাবে খেতে পারে না। ব্যবসায় যে তাদের ব্যবসা নেই। মানুষের ইনকাম কমে গেছে কিন্তু খরচ বেড়ে গেছে। আপনি এই ব্যবসায়ীকে দেখেন উনার মুখ দেখলে বোঝা যাচ্ছে উনার বেচাকেনা কম। আর এভাবেই বাংলাদেশে হাজারো মানুষ হতাশার মধ্যে ডুবে রয়েছে।
এই ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে আপনাদেরকে একটা মেসেজ দিতে চাই। যারা কুষ্টিয়া কোট স্টেশনে গিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই খেয়াল করে দেখেছেন স্টেশন থেকে ডান হাতে অথবা বাম হাতে এখানে আমি বোঝাতে চেয়েছি যাওয়ার সময় বাম হাতে এবং আসার সময় ডান হাতে দেখবেন একটা দোকান রয়েছে। এই দোকানে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের গাছরা জাতীয় জিনিস। অর্থাৎ ভেষজ উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি এই সমস্ত ঔষধ। এসব ওষুধগুলো কিন্তু মানুষের জন্য অনেক উপকার। আসলে গাছ গাছরা যে কতটা শক্তি এ সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে তারা ঠিক বুঝতে পারছেন। আপনাদের যদি কোন শাড়ি কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনারা এই ব্যক্তির কাছে এসে নিজেদের চিকিৎসা নিতে পারেন। উনার কাছে আমি একটু লক্ষ্য করে দেখলাম সব ধরনের গাছ গাছড়ার ওষুধের জিনিস রয়েছে। মানুষের কিছু অভ্যন্তরেও ওই অসুখ হয়ে থাকে যেগুলো এর ওষুধের মধ্য দিয়ে সুস্থতা লাভ করতে পারে।
যখন আমি এই ফটোগ্রাফি করেছিলাম তখন আমি বাসের মধ্যে ছিলাম। রাস্তার পাশে জমিগুলোতে ধানের সবুজ শ্যামল রঙে ভরে গেছে। রাস্তার পাশে লাগানো হয়েছে কিছু কলা গাছ। আরেকটু দূরে চোখ দিলে দেখা যায় কোন একটা ফ্যাক্টরি তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে খানের ডে খুবই সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য ফুটে উঠেছে। এই ফটোগ্রাফিটা আমি যদিও বাসের মধ্যে থেকে তুলেছি কিন্তু খুবই দারুণ একটি ফটোগ্রাফি হয়েছে। এখানে প্রাকৃতিক যে সৌন্দর্য সেই সৌন্দর্যটা ফুটে উঠেছে। আর সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো আমাদেরকে বিমোহিত করে। সৌন্দর্যের আর এক নাম হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। |
---|
ডিভাইসের নাম | Poco |
---|---|
মডেল | M2 |
ফটোগ্রাফার | @tuhin002 |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
আজকেও আমি কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সামনে শেয়ার করলাম। ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভিন্ন ধরনের কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । অনেক ভাল লাগছে ছবি গুলো সুন্দর উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইলো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/ABashar45/status/1704301866627268991?t=25Cnv6i7zVettQ_olvpS_g&s=19
আপনার ভিন্ন ধরনের তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আপনি ভিন্ন জায়গা থেকে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি করেছেন যা দেখেই বুঝতে পারছি। তারপরে আবার ফটোগ্রাফি গুলোর বর্ণনাও অনেক সুন্দর শেয়ার করেছেন যার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট মনোমুগ্ধকর ছিল এটাই বলতে হচ্ছে।
যে আপু আমি ফটোগ্রাফি গুলা বিভিন্ন জায়গা থেকে তুলেছি। ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি করলে দেখতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভিন্ন ধরনের এত সুন্দর সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। এরকম সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখলে ভালো লাগে প্রতিনিয়ত। আসলে আমি এই ধরনের ফটোগ্রাফি করতে যেমন পছন্দ করি, আমার কাছে ফটোগ্রাফি দেখতেও খুব ভালো লাগে। প্রাকৃতির সৌন্দর্যর ফটোগ্রাফিও করেছেন আপনি যা অনেক সুন্দর ছিল।
চেষ্টা করেছি ভাই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো পড়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তুহিন ভাইয়া এই পোষ্টের মাধ্যমে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। এবং বাস্তব কিছু কথা তুলে ধরেছেন। আসলেই একটু খেয়াল করলেই সবার চোখেমুখে হতাশা দেখা যায়। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অনেকের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেকেই উৎকন্ঠায় থাকে যে দিন কীভাবে পার করবে এমন পরিস্থিতিতে।
আসলে আপু চারদিকে পরিস্থিতি যেভাবে অবনতি হচ্ছে তাতে মানুষের দুর্যোগ বেড়ে যাবে। জানিনা এই দুর্যোগে হাত থেকে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে কিনা । ধন্যবাদ চমৎকার করে মন্তব্য করেছেন।
খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। এই ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে আপনি বাস্তবতার অনেকগুলো বিষয় তুলে ধরেছেন। যা একদমই অসাধারণ। অসংখ্য ধন্যবাদ ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাই ফটোগ্রাফির মধ্যে আমি বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনার এই পোস্টটিতে শেয়ার করা রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে । প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি বেশ যত্ন করেই তুলেছেন যা দেখে বোঝা যাচ্ছে। ফটোগ্রাফি গুলোর নিচের বর্ণনা অনেক সুন্দর ছিল। ওভারঅল বেশ ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি মূলক এই পোস্টটি দেখে। ফটোগ্রাফিতে মালটা ফল দেখে খাওয়ার ইচ্ছা হল আমার।
আমি চেষ্টা করছি ভাই যে কোন কাজ করতে গেলে যত্নশীল হয়ে করার জন্য। কথায় বলে যত্ন করলে রত্ম মেলে। আরে কথার উপর বিশ্বাস করেই আমি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আর বাকিটা আল্লাহ ভরসা ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেশ সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি
পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। বিভিন্ন ধরনের ফল দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে ইচ্ছা করলেও এই ফল কিনে খেতে পারছি না। যে দাম তাতে খাওয়ার মত পরিস্থিতি আমাদের নেই। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন খুব বিপদগ্রস্ত রয়েছি।
খুব সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ হয়। সবার ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লাগে দেখতে। আজকে আপনার ফটোগ্রাফিও অসাধারণ ছিল।
আমার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু আপনাকে।