স্ট্রীট ফুড || আকতার এর জুস কর্ণার @বনানী
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে একটি স্টীটফুড রিভিউ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।
বিগত কয়েক দিন ধরে আবারো প্রচন্ড গরমে দিন কাটাচ্ছে ঢাকাবাসী। যেমন তীব্র রোদের তাপ, তেমনি বীভৎস ভ্যাপসা গরম।এমন গরমে যারা বাহিরে কাজ করেন, তাদের অবর্ণনীয় কষ্ট হয়, বলাই বাহুল্য। কিছুদিন আগে সকাল ১১ টার দিকে একটু কাজে বের হতে হয়েছিল।আমি আর আরেক অফিস কলিগ সায়মা আপু মিলে বের হয়েছিলাম। তো কাজ শেষে ফেরার সময় দুজনেরই গরমে অবস্থা কাহিল, জল তেষ্টা পেয়েছিলো খুব। সায়মা আপুই বললো, সামনে তার পরিচিত একটা জুসের ভ্যান আছে, আপু আগেও খেয়েছে ওখান থেকে জুস খাওয়া যায়। আমি আবার বাহিরে সরাসরি জুস টাইপ খাবার গুলো সচরাচর খাই না। আপুকে বললাম না আপু আমি খাবো না। আপু আমার কনসার্ন বুঝে আপু আস্বস্ত করলো, আপু আগেও বেশ কয়েকবার খেয়েছে। ওরা পরিষ্কার পানিই ব্যবহার করে। আপুর কোন অসুবিধা হয় নি। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম যে -খাই, একবার ট্রায় করে দেখাই যাক। এই জুসের ভ্যানটি বনানীতে স্টার কাবাবের সামনের রোডটায় বসে৷ বনানী " Cha & Chill" দোকানের এর ঠিক পাশেই।
ভদ্রলোক একটি ভ্যানে বেশ অনেক প্রকারের ফল নিয়ে জুসের ব্যবসা করছেন। এর মধ্যে রয়েছে তরমুজ, ড্রাগন ফল, আনারস, লেবু, পাঁকা পেঁপে, স্টবেরী, মিন্ট ইত্যাদি। ভ্যানেই দামের লিস্ট দেয়া রয়েছে। আমাদের অর্ডারের আগে মিক্সড ফলের জুস দিলেন দুইজনকে, আনারসের জুস দিলেন একজনকে। আমরা ঠিক করলাম লেবুর জুস ই খাবো, রিফ্রেশিং লাগবে তাতে। দুজনে দুইটি লেবুর জুস অর্ডার দিলাম। তার কাছে দেখলাম তিনটি ব্লেন্ডার জার। ফলের স্বাদ যেনো মিক্স না হয়, তার জন্য একেকটায় একেক ফলের জুস বানান। আমি আবার চিনি একটু কম পছন্দ করি, সায়মা আপু একটু বেশি চিনি পছন্দ করেন। উনাকে বলায় উনি সুন্দর করে আগে আমারটা দিলেন, তারপর সায়মা আপুকে এক্সট্রা চিনি এড করে আবারো ভালো করে ব্লেন্ড করে দিলেন। প্রথম সীপ খাওয়ার পরেও ভীষণ ভালো লেগেছে সিম্পল লেবুর জুস টা। উনি আবার এতে বেশ অনেকখানি লেবু ব্যবহার করেছেন, সাথে বীট লবণ, মিন্ট, রফরের টুকরো আরেকটা কী জানি সিক্রেট মিক্সার মিক্স করে জুসটি বানিয়েছেন। যা আসলেই ভীষণ মজার ছিলো। পথের ক্লান্তি নিমিষেই অনেকখানি গায়েব হয়ে গিয়েছিলো 😇।
আজকের লেখা এ পর্যন্তই থাকলো। এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
বাহিরে জুস জাতীয় খাবার আমিও পছন্দ করি না। পানির ভয়ে। আবার কেনা প্যাকেট এর জুসও খাই না । তবে আমরা যারা বাহিরে কাজ করি না ,তাদের জন্য এটা মেইন্টেন করা সহজ ।কিন্তু যারা বাহিরে কাজ করেন তাদের পক্ষে কস্ট কর।তবে আপনার পোস্ট পড়ে মনে হয়েছে,বেশ পরিস্কার করেই চাচা জুস বানান। আপনার স্ট্রিট জুস খাওয়ার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু। বাহিরের জুস টাইপ খাবার গুলো এভোয়েড করতে পারলেই বেশি ভালো হয়। আবার প্যাকেটের জুসেও যেমন অতিরিক্ত সুগার তেমন অতিরিক্ত ক্যামিকেল...
আহা!! লেবু মিশ্রিত বরফ কুচি দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা এমন জুস খেলে পথের ক্লান্তি নিমিষেই গায়েব হয়ে যাওয়ার কথা আপু। প্রচন্ড রোদে, ভ্যাপসা গরমে এমন লোভনীয় ও ঠান্ডা ঠান্ডা জুস খেতে পারলে সত্যিই প্রাণটা একদম জুড়িয়ে যায়। আমারও গরমের তীব্রতা একদমই সহ্য হয় না। তাই প্রায় সময় আমার বাসাতেই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের জুসগুলো তৈরি করে খাই। তবে বাসায় তৈরি জুস এর থেকে, আমার বিশ্বাস ওই ভ্যানওয়ালার জুসের স্বাদ অনেক অনেক বেশি পাওয়া যাবে। তবে ওই জুস কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সে বিষয়ে গ্যারান্টি না দিতে পারলেও, বাড়িতে তৈরি জুসের গ্যারান্টি অবশ্যই দিতে পারব। যাইহোক আপু, আকতারের জুস কর্নার থেকে জুস খেয়ে আপনার সুন্দর অনুভূতিটুকু তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যা ভাই, এমন ধরনের জুস গুলোয় কিন্তু আহামরি অন্য ইংগ্রেডিয়েন্ট বেশি ব্যবহার হয় না। বাসায় যদি বানানো যায়, এটিই সবচেয়ে ভালো। মনও শান্তি, আবার স্বাস্থ্যগত চিন্তাও নাই।