মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কিছু সময়।। 10% beneficary for @shyfox & 5% abb-school ❤️

হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি আজকে আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি স্বাস্থ বিষয়ক পোষ্ট শেয়ার করবো। আর স্বাস্থ বলতে বড় মানুষের স্বাস্থ নয়। বাচ্ছাদের স্বাস্থের বিষয়ে আলোকপাত করবো।

এই মাসের চার তারিখ রোজ শুক্রবার আমি ঢাকায় আসি। ঈদের পর থেকে প্রায় এক মাস আমাদের বাড়িতেই ছিলাম। সাত আট মাস ঢাকায় থাকার পরে এক মাস বাবার বাড়িতে থেকে একটু রেস্ট নিয়ে আসলাম। মেয়েদের বাবার বাড়ি ছাড়া আপন বলতে আর কেউ নেই। স্বামীর বাড়িতে থাকলেও সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। এটা শুধু আমার একার ক্ষেতে নয় বরং সবার ক্ষেত্রেই। তবে সেটা নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। যেহেতো মানুষ হিসাবে দুনিয়াতে এসেছি কাজ করতেই হবে। আর মানুষ কাজ করলে কেউ ছোট হয়ে যায় না।

গত তিন তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল বেলা আমার এক ভাবি আমকে এসে বলতেছে তুমি তো শুক্রবারে ঢাকা চলে যাবে। চলো আজকে একটু মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে ঘুরে আসি। আমি বললাম কেন,সেখানে যাওয়ার কারন কি..। ভাবি বললো তোমার ভাতিজাকে টিকা দিতে যাবো। আমি মনে মনে চিন্তা করলাম যেহেতো আগামীকাল চলে যাবো আর ভাবি এভাবে বলতেছে তাহলে ভাবির সাথে একটু যায়। কারন আবার কখন আসি না আসি তার কোন ঠিক নেই।

আমি কিছুক্ষন চিন্তা ভাবনা করে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে ভাবি চলেন। এই ভাবির দুই মেয়েকে আমি আবার প্রাইভেট পড়িয়েছিলাম। তাই ভাবির সাথে আমার মধুর সম্পর্ক রয়েছে। আমাকে ভাবি অনেক বিশ্বাস করে,আদর করে। আমরা সকাল বেলা নাস্তা করে বাসার সামনে থেকে রিকশা নিয়ে সোজা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি তখনও টিকা দেওয়া শুরু হয়নি। আর তেমন মানুষও আসে নাই। ভাবিকে একটি খালি চেয়ারে বসতে বললাম।

আমি এই জাগায় আরো কয়েকবার এসেছি ভাগিনা ও ভাগনিদেরকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো ও টিকা দেওয়ার জন্য। আপনারা সবাই জানেন যে সংক্রামক ব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে প্রত্যেক বাচ্ছাদেরকে এই টিকা দেওয়া জরুরী। আর ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুদের ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ১টি করে লাল রঙের এ ক্যাপসুল খাওয়ানো জরুরী। ভিটামিন 'এ' দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

ভাবিকে চেয়ারে বসিয়ে আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে হঠাৎ কলেজের কথা মনে পড়লো। এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি আবার আমাদের কলেজের পাশেই। তাই আমি টিকা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে একটু কলেজে গেলাম। কলেজে গিয়ে দেশি বাংলা ম্যাডাম ক্লাস করে বের হয়ে গেছে। যেহেতো বৃহস্পতিবার তাই আর ক্লাস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমি ম্যাডাম আর আমার কয়েকজন বান্দবীর সাথে দেখা করে আবার টিকা কেন্দ্রে চলে আসলাম। এসে দেখি ভাবি বাবুকে টিকা দিয়ে বসে আছে। আমি বললাম ভাবি আপনার কাজ শেষ তাহলে আমাকে ফোন দিবেন না....। ভাবি বললো যেহেতো তুমি কলেজে গেছো অবশ্যই কোন কাজ আছে। তাই কল দেয়নি। আর তুমি তো এসেই পড়েছো। চলো আমরা কিছু খেয়ে চলে যায়।

তারপর আমি আর ভাবি এক দোকানে গিয়ে বেল পুরি খেলাম। খাওয়ার সময় ভাবিকে জিঙ্গেস করেছি টিকা দেওয়ার সময় আবির কান্না করছে না কি। ভাবির ছেলে তথা আমার ভাতিজার নাম আবির। ভাবি বললো কান্না তো করবেই। টিকা দিলে সব বাচ্ছারাই কান্না করে। তবে বেশি কান্না করে নাই। তারপর আরো বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে বেলপুরি খাওয়া শেষ করলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভাবিকে জিঙ্গেস করলাম আর কোন কাজ আছে না কি। ভাবি বললো নাহ,আর কোন কাজ নেই। তারপর আমরা আরেকটি রিকশা নিয়ে সোজা বাসায় চলে গেলাম ।

বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের ছোট্ট আয়োজন। যদি কোথাও কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন। আমি পরের পর্বে ভুল গুলো সংশোধন করে নিবো। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।