আজ আমি আবার অনেকদিন পরে বাবার বাড়িতে আসার নতুন একটি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি। সব সময় যখন বাবার বাড়িতে আসি তখন পদ্মা সেতু পার হয়ে তারপর আমাদেরকে আসতে হয় আর এই পদ্মা সেতু আমাদেরকে সবসময় ফেরি দিয়েই পার হতে হয়েছে। আর বাসা থেকে বের হয়ে গাবতলীতে আসতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যেত তারপর বাসে করে আবার ফেরিঘাটে আসতে আরো অনেক সময় লেগে যেত। এভাবে করে কমপক্ষে চার ঘন্টা আর উপরে সাত আট ঘন্টাও লেগে যেত। কিন্তু এখন আমাদের এই ভোগান্তি অনেকটাই কমে গিয়েছে মাত্র দুই ঘণ্টাতেই আমরা এখন চলে আসতে পারি। এখন আমাদের পদ্মা সেতু হয়ে গিয়েছে যেটার উপর দিয়ে আমরা নিমিষেই পার হয়ে যেতে পারি। |
বিশাল পদ্মা নদী আর এই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে এই প্রথম আমরা পার হয়ে বাবার বাড়িতে এসেছি। বেশ কিছুদিন আগে সেতুটি উদ্বোধন হয়েছে এবং লোকজনের চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে কিন্তু আমরা খানিকটা দেরি করেই পদ্মা সেতুটা দেখেছি এবং পার হয়েছি সেটা একটি নতুন অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য। |
আমি আর আমার ছোট বোন আমরা একাই এসেছি। তার আগে একদিন দুইদিন আগে আমার হাজব্যান্ড গিয়ে বাস কাউন্টারে গিয়েছে টিকিটের খোঁজ নিতে সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম যে এখান থেকে ফরিদপুরের গাড়ি ছাড়ে না তাই সে চলে এসেছে। তারপর পরের দিন আবার আমিসহ আমরা তিনজন মিলে গেলাম কাউন্টারে টিকিট আনতে সেখানে গিয়ে দেখলাম যে এখান থেকে এসি গাড়ি ছাড়ে বিআরটিসি কিন্তু তারা অগ্রিম টিকিট দেয় না, যখন আমরা যাব তখনই টিকিট কাটতে হবে তাই আমরা নিরুপায় হয়ে আবার বাসায় ফিরে আসলাম। পরের দিন রেডি হয়ে বসে রইলাম আমার বোন আসলো আমাদের বাসায় সেখান থেকে আমরা একটি উবার নিয়ে আবার চলে গেলাম বাস কাউন্টারে। সেখান থেকে আমরা চারটা টিকিট নিয়ে বাসে উঠে বসলাম আর আমার হাজব্যান্ড আমাদেরকে বিদায় দিয়ে চলে আসলো। তারপর আমাদের যাত্রা শুরু হল। |
বাসে উঠলেই নরমালি আমি সবসময় ঘুমিয়ে পড়ি কিন্তু আজ আর আমার ঘুম আসলেও আমি কষ্ট করে জেগে আছি কারণ পদ্মা সেতু দেখতে হবে এই আশায়। কিন্তু বাসের ভেতর থেকে তেমন একটা বাইরের পথ দেখা যাচ্ছে না তারপরও যেটুকু দেখলাম কিছু ছবি তুলে রাখলাম তবে খুব ভালো দেখতে পারিনি যদি নেমে দেখতে পারতাম তাহলে হয়তোবা সেতুটা এবং রাস্তাটা অনেক ভালো উপভোগ করতে পারতাম। অবশেষে আমরা দুই ঘন্টা পরে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম। |
আমরা অল্প সময়ে বাসায় পৌঁছে গিয়েছি তবে বেশ কিছু জিনিস আমি এখানে মিস করেছি আগে যখন ফেরিতে করে পদ্মা পার হতাম তখন পদ্মার বিশাল নদীটা একেবারে মাঝখান থেকে দেখতে পারতাম খুবই ভালো লাগতো। আর রাস্তাঘাটে যে বিভিন্ন ধরনের জিনিসগুলো হকাররা বিক্রি করতো সেটা আমি খুব মিস করেছি। তবে অল্প সময়েও আমরা চলে আসতে পেরেছি এটা অনেক ভালো লেগেছে। এখন অল্প কিছু ছবি আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করছি। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
একটা জিনিস জানতে চাই ভাইয়াকে এখন মিস করছেন? ভাইয়াকে একা একা রান্না করে কিভাবে খাবে?
আপু হ্যাঁ আমার মনে হচ্ছে আপনি যদি পদ্মা সেতুর উপরে হাঁটতে পারতেন তাহলে হয়তো আর একটু ভালো উপভোগ করতে পারতেন। যেহেতু বাসে করে গিয়েছেন সেহেতু এটি আর সম্ভব ছিল না। যাই হোক আপনি তো তাও উঠতে পেরেছেন আমি তাও পারিনি।🥺
সত্যি আপু অনেকদিন পর বাবার বাড়িতে আসার মজাই অনেক আলাদা। আপনি পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে এসেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু। আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ওখান থেকে কিছু ফটো আপনার মোবাইলে তুলে। আপনি আর আপনার ছোট বোন এসেছেন এই বিষয়টাও জেনে অনেক ভালো লাগলো।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে নিজের বাড়িতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। বাবার বাড়ি মেয়েদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। পদ্মা সেতুতে যাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে। কোন একদিন যাবো ইনশাল্লাহ। আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু পদ্মা সেতু তৈরি হবার পর থেকে ভোগান্তির পরিমাণটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে বাবার বাড়িতে গেলেন বিষয়টি জেনে ভালোই লাগলো। আমারও ইচ্ছা রয়েছে পদ্মা সেতুতে ভ্রমণ করা কিন্তু এটা আমাদের এলাকাতে নয় তাই যেতে পারছিনা।
প্রথম পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে বাড়ি যাওয়ার অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই প্রথম প্রথম পদ্মা সেতুর উপরে ভ্রমণ করা সকলের ইচ্ছা রয়েছে। আমারও ইচ্ছা রয়েছে। কবে যে ইচ্ছা পূরণ হবে বলতে পারছি না। তবে আপনার অনুভূতি জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো।