|| যে সব দেশে সেনাবাহিনী নেই ||
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশাকরি সকলে ভালোই আছেন। আর যদি না থাকেন, তাহলে আজকের লেখা একটু হলেও মন ভালো করতে পারে আপনার।
পরস্পরের প্রতি আক্রমণ আর হিংসার এই পৃথিবীতে কিছু দেশ আছে, যারা সেনাবাহিনী খাতে খরচ করেননি। দেশে কোনো সেনাবাহিনী রাখেননি। সেনাবাহিনী না রেখেও সে সব দেশ কতটা সুরক্ষিত আছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আজকাল পৃথিবীতে হিংসা বেড়েছে অনেক। এ যুগে কাউকে ভরসা করা যায়না। পৃথিবীতে সবাই যেনো আক্রমণের জন্য বসে আছে। পৃথিবীর সকল দেশই সুরক্ষা খাতে সব থেকে বেশি খরচ করে। আমাদের হয়তো এই বিষয়টা অজানা নয়। এই পৃথিবীতে বেশ কিছু দেশ আছে যারা মানব প্রীতি বজায় রেখেছে। তাদের কাছে ভালোবাসায় সব। যুদ্ধ থেকে সরে গিয়ে তাদের এই পদক্ষেপ মানবজাতিকে ভালোবাসা ও প্রেম ছড়ানোর শিক্ষা দেয়। এ ক্ষেত্রে সম্রাট অশোকের কথা মনে পড়ে যায়। তিনিও প্রথমে যুদ্ধ নীতিতেই বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু কলিঙ্গ যুদ্ধের সময় তিনি দেখলেন রক্তাক্ত মৃত অবস্থায় পড়ে বহু সৈন্য। এই দৃশ্য দেখে খুবই কষ্ট পেলেন সম্রাট। তাঁর হৃদয় দুঃখে ভরে উঠলো। এই রক্তবন্যা দেখার পর তিনি প্রতিজ্ঞা নিলেন আর কখনো যুদ্ধ করবেন না। এবং পরবর্তীতে তিনি কোনদিন আর যুদ্ধ করেননি।
ভ্যাটিকান সিটি। পৃথিবীর সব থেকে এই ছোট্ট দেশ। এই ছোট্ট দেশটি পৃথিবীর বিরাট তাবড় তাবড় দেশগুলোকে শিখিয়ে দেয় জীবনের আসল মানে। ভালোবাসার মানে। এই ছোট্ট দেশটির কোনো সেনাবাহিনী নেই।
প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে তৈরি একটি দেশ হলো কিরিবাটি। এই দেশ টির কোনো সেনাবাহিনী। এই দেশটির জনসংখ্যা ও খুব কম। দেশের সরকার কোনভাবেই সুরক্ষা খাতে পয়সা খরচ করেননি। এই দেশে কেবল কিছু পুলিশ আছে যারা নৌকো করে জনসাধারণকে দেখে বেড়ান। কে কেমন আছে, কোন অবস্থায় এই সমস্ত বিষয় দেখভালের জন্য।
ডোমিনিকা। এক সময় দেশটি নানান ভাবে যুদ্ধের সাথে জড়িয়ে থাকতো। ব্রিটেনের বহু যুদ্ধে এই দেশের নাম পাওয়া যায়। প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভরা এই দেশটি এখন কোনরকম যুদ্ধের সাথে জড়িত নেই। দেশে নেই কোনো সেনাবাহিনী। প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ভালোবাসা ও প্রেমের হিসেবে দাঁড় করিয়ে রেখে পৃথিবীকে এক নতুন বার্তা দিয়েছে। এই বর্ণময় দেশ আজ পৃথিবীকে কেবল ভালোবাসার হাত বাড়ায় আর বুকে টেনে নেয়।
সেনাবাহিনী নেই এমন আরেকটি দেশ হল অ্যান্ডোরা। এই ছোট্ট দেশটি ফ্রান্স ও স্পেনের মাঝে অবস্থিত। এছাড়াও আছে লিচেস্টাইন, এই দেশেরও নেই কোনো সেনাবাহিনী।
একটা প্রশ্ন থেকে যায়, এই দেশগুলো সেনাবাহিনী রাখেননি, এমন অবস্থায় দেশগুলো কেমন আছে? তাদের উপর আক্রমণ হলে তারা কি করে? আদেও কি আক্রমনের মধ্যে পড়তে হয়? এই হিংসাময় পৃথিবীর মাঝে তাদের কি ভয় হয়না? তবে আপনাদের বলি, সেনাবাহিনী না রেখেই স্বচ্ছন্দে থাকা যায়না, একটা ভয় থাকেই! তবে এই দেশগুলো ভালোবাসার জন্য, প্রেমটাই আসল এই তত্ত্ব পৃথিবীকে জানানোর জন্য এই ত্যাগ টুকু করেছে। পৃথিবীতে কিছু পরিবর্তন আনলে কিছু ত্যাগ করতে হয়, কিছু ভয়কে দূরে ঠেলে তবেই একটা পরিবর্তন আসে। তবে এখনও অব্দি এই দেশগুলোর ওপর কোনো আক্রমণ হয়নি। বরং তাদের প্রেমে ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছে পৃথিবী। তাদের ভালোবাসায় পৃথিবীর বহু মানুষই স্নাত হয়েছেন।
বন্ধুরা আজ এই অব্দি রইল। আবার নতুন একটা লেখা নিয়ে আগামীকাল হাজির হব। ততক্ষণ ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাবো এই জন্য যে নতুন কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা আমার এতটা ধারণা ছিল না। আসলে মাঝেমধ্যে এসব জাতীয় গল্প গুলো পড়তে খুব ইচ্ছে করে নতুন জ্ঞান অর্জন করার জন্য। খুব ভালো লাগলো ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। আবারো নতুন কিছু নিয়ে আসবো। ভালো থাকবেন ।
শেষটা তো দারুণ বললেন ভাই। আসলেই পৃথিবীর দেশগুলো যেখানে ক্ষমতা জাহির করায় ব্যস্ত।একে অন্যের প্রতি আধিপত্য বিস্তার করতে ব্যস্ত তখন এই দেশগুলোর লক্ষ্য ঠিক বিপরীত মুখি।তবে এসব দেশের যে সেনাবাহিনী নেই সেটা আমার জানা ছিল না। ভাই ভালো পোস্ট ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।।
হ্যাঁ গোটা পৃথিবীর সকল দেশের চিন্তা ভাবনা এমন হলে খুব ভালো হয়। ধন্যবাদ।
অনেক নতুন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেলাম আপনার পোষ্ট পড়ে।সত্যিই কিছু মানুষের ত্যাগ দেশটাকে সফলভাবে পরিচালনা করতে পারে যেখানে ভাড়া নেওয়ার মতো সেনাবাহিনীর প্রয়োজন পড়ে না।তাছাড়া দেশগুলি ছোট হলেও তাদের চিন্তাশক্তি বা মানসিকতা অনেক উন্নত আমাদের দেশের থেকে ও।সুন্দর লিখেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ সেটাই , কিন্তু সকলের মানসিকতা এক হলেই এমন টা হাওয়া সম্ভব। গোটা পৃথিবী টাই ঠিক হয়ে যাবে । ধন্যবাদ মন্তব্য রাখার জন্য।