পুলিশ আসমিকে ধরা নিজের চোখে দেখা। ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাঁককে
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুল্লিলাহ ভালো আছি। আমার ছেলে গতকাল একটু সুস্থ হয়েছে তার জন্য আজ একটু ভালো লাগে।কিন্তু ছেলেটা অসুস্থ হয়ে যেন তার জেদ অনেক বেড়ে গিয়েছে। একটুতেই অনেক রেগে গিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। একবার কান্না শুরু করলে আর থামেই না তখন অনেক মেঝাঝ খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু মা বলে কথা নিজেকে অনেক কষ্টে সামলাতে হয়। যাই হোক কাজের কথায় আসি।
আমি কিছুদিন আগে আমাদের পাশের বাড়ির চাচাকে খুন করার ঘটনা শেয়ার করেছিলাম। সেই খুনীদের কিভাবে পুলিশ ধরেছে তা আমি নিজের চোখে দেখেছি সেই ঘটনা শেয়ার করবো। যখন সব দিকে জানাজানি হয়ে গেল খুনের ঘটনা তখন সব খুনিরা পালিয়েছে। ওরা ৭জন ছিল আর ৪জন বিবাহিত ছিল এবং তাদের ছেলে মেয়েও আছে। এর মধ্যে আবার একজন বড় খুনী যাকে সবাই আগে থেকেই অনেক ভয় পেত। তার নাম রতন সে নিজের বউকে তার শালির জন্য খুন করেছিল। এরপর সে অনেক বছর জেল খেটেও ছিল। জেল খেটে এসে সে অনেক বছর ভালোই চলাফেরা করেছিল। কিন্তু এখন সে আবারও দ্বিতীয় খুন করে।
একজন আবার আমার পাশের বাড়ির চাচাতো ভাই ছিল। তার দুটি মেয়ে এবং একটি ছেলে ছিল। তাকে যখন পুলিশ ধরতে আসে তখন সব দেখে ছিলাম। এর আগে আমি কখনো আসামি ধরার এমন দৃশ্য বাস্তবে দেখিনি। তখন জৈষ্ঠ্যমাস ছিল ঐ খুনী তার ঘরে থাকে এটা আমরা কেউ জানতাম না।তার বউ তাকে লুকিয়ে রাখতো। ঘরের ভিতরে পাটাতন ছিল তার উপরে সে ছিল। তার বউ খুব ভালো ছিল কিন্তু তার স্বামী যতই খারাপ হোক না কেন স্বামী বলে কথা। তাই সে ঐ সময়টায় সবার বিরুদ্ধে গিয়ে তার স্বামীকে লুকিয়ে রেখেছিল।
একদিন আমাদের পাশের বাড়ির এক ছেলে তা দেখে ফেলে আর ঐ খুনীদের ধরার জন্য তখন পুলিশ ছদ্মবেশে আমাদের এলাকায় ঘুরাঘুরি করতো। তখন ঐ ছেলেকে একদিন ছদ্মবেশি পুলিশ জিজ্ঞেস করেছে তাকে দেখেছে কি না। তারপর সে পুলিশকে সব বলে দেয়। এরপর থেকে ছদ্মবেশি পুলিশরা শুধু ঐ বাড়ির উপর নজর রাথতো। এরপর একদিন সন্ধ্যায় সেই খুনি বাড়িতে লুকিয়ে ছিল পুলিশ এই খবর পেয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে ঐ বাড়ি ঘিরে ফেলে। এরপর তাকে ঘর থেকে বের হয়ে আসতে বলে। কিন্তু তার বউ ঘর থেকে এসে বলে সে বাড়িতে নেই পালিয়েছে। এরপর পুলিশ তাকে সামনে থেকে সরে যেতে বলে।
প্রথমে তার বউ যেতে চায়নি এরপর একটু সরতেই সেই খুনি ঘর থেকে বের হয়ে দৌড় দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু ১৫জন পুলিশের সাথে একজন মানুষ কি আর পারে। সাথে সাথে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার বউ ছেলেমেয়েরা খুব কান্না করে। এভাবে এক এক করে সব খুনিদের ধরেছিল। কিন্তু বেশি দিন তাদের সাজা হয়নি। তবে কথায় আছে আল্লাহর বিচার আল্লাহ দুনিয়াতে দেখিয়ে দেয়। যেদিন তারা খুন করেছে সেই দিন থেকে প্রতিটা খুনীর সংসার ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে।
একজনের বউ মারা গিয়েছে, একজনের ছেলে মেয়ে খারাপ পথে চলে গিয়েছে আবার কয়েক বছর পর এক খুনী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। এভাবেই সবার সংসার শেষ হয়ে গিয়েছে। কথায় আছে কাউকে কষ্ট দিলে সেই কষ্ট এক সময় নিজের জীবনে ফিরে আসে। তা আজ আসুক বা অনেক বছর পরে আসুক আসবেই। আশা করি আমার আজকের এই ঘটনা পড়ে আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। যদি আমার পোস্টে কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপু টাইটেল একটু ভুল হয়েছে। এখানে আসামী হবে।
গল্পটি পড়ে খুবই ভয় লাগল। কিভাবে যে মানুষ পারে মানুষকে খুন করতে। ঠিক বলেছেন আপু মানুষ কখন কাউকে কষ্ট দিয়ে বেশিদিন ভালো থাকতে পারে না। আল্লাহর বিচার আল্লাহ একদিন করে। কয়দিন একটা মানুষ তার নিজের এলাকায় লুকিয়ে থাকতে পারে। অবশেষে আপনার সেই চাচাতো ভাই খুনি ধরা পড়েছে।
আমাদের দেশে আইন ঠিকই আছে কিন্তু আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই। তাইতো আসামিদের ঠিকমতো সাজা হয় না,আর তাদের সাহস দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই অপরাধ করতে তারা দ্বিধাবোধ করে না এবং তাদের মধ্যে কোন ভয়ও থাকে না। কিন্তু উপরে একজন আছে যিনি দেরি করে হলেও সঠিক বিচার ঠিকই করেন। কিন্তু সেটা আমরা বুঝেও বুঝিনা। যাইহোক আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক।