আমাদের ইন্ডিয়া ট্যুর শুরু
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিনের ছুটি নিয়েছি কমিউনিটি থেকে। ইন্ডিয়া ঘুরতে যাচ্ছি। সেখানে নেট প্রবলেম থাকবে। হোটেল ছাড়া বাইরে নেট পাবো কিনা সন্দেহ। গিয়ে একটি সিম নেওয়ার ইচ্ছা আছে। যদি পাই তো ভালো। না পেলে তো সমস্যা। এজন্যই অগ্রিম ছুটিটা নিয়ে রেখেছি। যদিও চেষ্টা করবো প্রতিদিন পোস্ট করার। কারণ এই ব্লগে জয়েন হওয়ার পর থেকে আমি একবার ছাড়া আর কখনোই ছুটি নেইনি এবং পোস্টও মিস দেইনি। এই পোস্ট করা প্রতিদিনকার তিনবেলা খাবারের মত হয়ে গিয়েছে। একদিন পোস্ট করতে দেরি হলে কেন যেন অস্বস্তি লাগে। মনে হয় কি যেনো করিনি। এ জন্য বেশ কয়েকটি পোস্ট রেডি করে রেখে দিয়েছি।
প্রায় একমাস আগে টিকিট কেটে রেখেছিলাম। কিছুটা টেনশনে ছিলাম যে সবাই এ সময় সুস্থ থাকতে পারবো কিনা। আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ আছি এবং আজকে রওনা দিয়েছি। এখন ট্রেনে বসে এই পোস্ট লিখছি। ৯:৩০ এ ট্রেন ছাড়ার কথা ছিলো। ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়ে। আমাদের বাসার খুব কাছেই। ১০/১৫ মিনিট লাগে গাড়িতে। আমরা ৭:৪৫ এ বাসা থেকে বের হয়েছি। ইমিগ্রেশন এর ঝামেলা থাকে সেজন্য আগে বের হওয়া। ইমিগ্রেশন শেষ করে আমরা ৯ টায় ট্রেন এ উঠি। মোটামুটি ভালোই লোকজন ছিলো। ৯:৫০ এ ট্রেন ছাড়ে।
ভাগ্য খারাপ হলে যা হয়। আজকেই এই সময় এমন তুমুল বৃষ্টি হতে হলো। ভাগ্য ভালো ছাতা নিয়ে গিয়েছিলাম। না হলে তো ট্রেন এ উঠার আগেই কাক ভেজা হয়ে যেতাম। আমরা কেবিনে সিট কেটেছি। যাতে বাচ্চারা সহ আরামে ঘুমিয়ে যেতে পারি। কিন্তু ট্রেন চালু হওয়ার পর যে দুলুনি শুরু হয়েছে ঘুম হবে বলে মনে হয় না। আর লোকাল ট্রেন এর মত জায়গায় জায়গায় থামছে। অন্যান্য ট্রেন যাওয়ার জন্য। না জানি কখন পৌঁছাবে। কি আর করার এখন একটা ঘুম দেয়ার চেষ্টা করি।
সবাই দোয়া করবেন যেন সুস্থ মতো ঘুরে ফিরে আসতে পারি। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ট্যুরের সাথে ফটোগ্রাফিও শুরু হি হি হি। শুভ হোক আপনাদের যাত্রা এবং আমাদের মতো সুখকর হোক ইন্ডিয়া ভ্রমণ।
এত সুন্দর জায়গায় ঘুরতে যাব আর ফটোগ্রাফি না করলে কি চলে। এজন্য এখন থেকে শুরু করে দিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মৈত্রী ট্রেনও লোকাল ট্রেনের মতো যাচ্ছে! ট্রেন বেশি দুললে ঘুমানো বেশ কস্টকর ।যারা ট্রেনের দুলানীতে ঘুমাতে পারে না তাদের জন্য ট্রেন জার্নি বেশ কস্টকর। তবে আমি বেশ আরাম করে ঘুমাই ট্রেনে। দোয়া করি সবাই সুস্থ্য ভাবে ফিরে আসেন আনন্দের ইন্ডিয়া ভ্রমন শেষে।যাত্রা শুভ হোক।
এই ট্রেনটা বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় বেশি দুলেছে। ইন্ডিয়া ঢোকার পর আর অতটা দুলেনি । হয়তো লাইনের কারণে । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
তবে সবার জন্য সুস্থতা এবং শুভকামনা রইল। খুব ভালো ট্যুরের মাধ্যমে যেন অনেক কিছু দেখতে পারি আমরা। আসলে কেবিন নেওয়া শুধু নামে কেবিনে ঠিক মত ঘুম হয় না। কেবিনের বালিশে যখন মাথা রাখবেন তখন মনে হবে যে দুনিয়াটা ঘুরে যাচ্ছে। জিন্দেগীতেও আমি আর যাব না শুধু শুধু টাকা নষ্ট করা ছাড়া আর কিছু নেই কেবিন নেওয়া। এমনিতে বাইরের লোকজনের কাছ থেকে একটু আলাদাভাবে থাকা যায় সেটাই সুবিধা। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
আমার কাছে তো অতটা খারাপ লাগে না। তাছাড়া বাচ্চারা বেশি আরামে ঘুমাতে পারে। চেয়ারে বসে থাকার থেকে কিছুটা শুয়ে থাকা যায় । ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
দোয়া করি আপু ইন্ডিয়া ভ্রমণ শেষ করে সুস্থ ভাবে নিজ দেশে ফিরে আসেন। ট্রেনে ওঠার সৌভাগ্য মাত্র একবার হয়েছে। তাই ট্রেনের ঝাঁকুনি সম্পর্কে বেশি একটা অভিজ্ঞতা নেই। আশা করি, আপনাদের ইন্ডিয়া ভ্রমণের খুব সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পাবো। সবশেষে বলবো, আপনাদের যাত্রা শুভ হোক।
আমারও বিয়ের আগে ট্রেনে ওঠার সৌভাগ্য হয়েছিল না। আমাদের ওইদিকে ট্রেন তেমন চলে না জন্য। কিন্তু রাজশাহী থাকা অবস্থায় বেশ ট্রেনে যাতায়াত করেছি। খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বৃষ্টি তো আজ চারদিন ধরে বেশ ভালোই হচ্ছে একটানা। ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ৯ঃ৩০ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে যায় ভারতের উদ্দেশ্যে আর সেই ট্রেনে গিয়েছেন। দোয়া করি সুস্থ ভাবে কোন ঝামেলা ছাড়াই পৌঁছে যান।
জি ভাইয়া ঝামেলা ছাড়াই পৌঁছে গিয়েছিলাম আবার ঝামেলা ছাড়াই ফেরত এসেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।