দিয়া বাড়িতে ঘুরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগে ওয়াহিদা আপু এসেছিল তখন আমরা বেশ ঘোরাঘুরি করেছিলাম। সেই ঘোরাঘুরি করতে করতে আমরা মেরেট্রেলে উঠেছিলাম। মেট্রোরেলে করে আমরা দিয়া বাড়ি গিয়েছিলাম। মূলত মেট্রোরেলে উঠার উদ্দেশ্য ছিল, কিন্তু কোন এক জায়গায় যেতে হবে। সেজন্য সবাই সিদ্ধান্ত নিল যে এই ফাঁকে দিয়া বাড়িতে ঘুরে আসা যাবে। বের হওয়ার পর রাস্তায় খুবই জ্যাম ছিল। জ্যাম পার হয়ে সচিবালয় স্টেশনে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা। সেখানে টিকিট কেটে অপেক্ষা করছিলাম ট্রেনের জন্য। ট্রেন আসার পর ভিতরে ওঠার পর ভয়াবহ পরিস্থিতি। কারণ তখন অফিস ছুটির টাইম ছিল জন্য এত ভিড় ছিল। বসার জায়গা তো দূরের কথা দাঁড়ানোর পর্যন্ত জায়গা ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর কয়েকটা স্টেশন পার হওয়ার পর কিছুটা ফাঁকা হল।তারপর আমরা বসতে পেরেছিলাম। বসার পর বেশ ভালোই লাগছিল। তারপর আমরা উত্তরা স্টেশনে নেমে পড়লাম। সেখান থেকে রিক্সা নিয়ে চলে গিয়েছিলাম দিয়াবাড়িতে।
রিক্সাওয়ালা আমাদের দিয়াবাড়ি লেকের পাড়ে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে নামতে নামতে মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। যখন নেমেছিলাম তখন কিছুটা আলো ছিল। কিন্তু তার কিছুক্ষন পরেই একেবারে অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। আবার লোকজন ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। তাই খুব একটা সময় সেখানে আর কাটাইনি।
প্রথমে হাঁটতে হাঁটতে ভিতর দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ভিতরে যতই যাচ্ছিলাম ততই তেমন কিছু চোখে পড়ছিল না। শুধু লেকের পাশে ছোট ছোট কিছু দোকান ছিল। দোকানগুলো বেশিরভাগই বন্ধ ছিল। লোকজনের আনাগোনা খুবই কম। তাই আমরা আর বেশি ভিতরে না যে সেখান থেকেই ফিরে আসলাম। পাশেই একটি মেলার মত ছিল। সেখানে অসংখ্য খাবার দোকান। সবাই সেখানেই ভিড় জমিয়েছে। আমরাও সেখানে চলে গেলাম।
সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার ছিল। আমরা পরোটা আর মাংস অর্ডার দিয়েছিলাম। খাবার গুলো মোটামুটি ভালোই ছিল। যেহেতু আমাদের ফেরার ট্রেন ধরতে হবে সেজন্য আমরা খুব তাড়াহুড়ো করে খেয়ে উঠলাম। সন্ধ্যার সময় এক কাপ চা না হলে জমছিলনা। পাশেই দেখলাম যে চা বিক্রি করছে। মাটির ভাঁড়ে জন্য ভেবেছিলাম যে চা বেশ মজা হবে। কিন্তু খুব একটা ভালো ছিল না চা।
চা খাওয়ার ফাঁকে বাচ্চারা মেলা থেকে টুকটাক খেলনা কিনলো। তারপর আমরা আবারো রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে। এবার মেট্রোরেলে ওঠার সময় আমরা মহিলা কেবিনে উঠেছিলাম। সেজন্য ভিড় মোটামুটি কম ছিল।
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপু দিয়া বাড়ির ফটোগ্রাফি দেখে কিছু পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আমি যখন গাজীপুর কলেজ গেট ছিলাম তখন প্রায় সময় দিয়া বাড়ি যাওয়া হতো। কারণ তখন আমার বাসা থেকে সেই জায়গা মোটামুটি কাছেই ছিল। এমন নিরিবিলি জায়গায় তখন ঘোরাঘুরি করতে ভালোই লেগেছিল। কিন্তু বাচ্চারা এসব জায়গায় গিয়ে একদমই আনন্দ পাবে না। অফিস ছুটির সময়ে গিয়েছেন বলেই হয়তো মেট্রোরেলে এত ভিড় ছিল। তারপরও আপনাদের ইচ্ছে পূরণ হলো জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
দিয়াবাড়ির সেই সৌন্দর্য এখন আর নেই। এখন অতটা ভালোও লাগে না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
অফিস ছুটির মুহূর্তে মেট্রোলে আসলেই অনেক বেশি ভিড় থাকে কিছুদিন আগে অফিস ছুটির মুহূর্তে মেট্রোলে উঠতে গিয়ে রীতিমতো অবাক হয়েছিলাম যে এতটা ভিড় কিভাবে হয় এখানে। যাইহোক অবশেষে মেট্রোরেলে করে দিয়াবাড়ি গিয়ে সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন যদিও বেশি সময় অতিবাহিত করতে পারেননি কারণ ফিরতি ট্রেন আবার ধরতে হবে। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
রাস্তায় জ্যামে পড়ার কারণে একদম অফিস ছুটির টাইমে আমরা মেট্রোরেলে উঠেছিলাম। তাই ভিড় অনেক বেশি ছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
দিয়া বাড়িতে গিয়ে বেশ দারুন কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। আপনার সময় অতিবাহিত করার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এবং বিস্তারিত লিখেছেন
পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন ছিল। ফেরার জন্য ট্রেন ধরতে হবে তাই তাড়াহুড়ো করছিলেন। আর সন্ধ্যায় চা না হলে চলেই না এটা আমারও হয়।আপনার কাটানোর সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
জি আপু ট্রেন মিস হয়ে গেলে তখন আবার গাড়িতে আসতে হতো। কিন্তু আমাদের ট্রেনে উঠার ইচ্ছা ছিল জন্যই তাড়াহুড়া করেছিলাম।
দিয়া বাড়িতে গিয়ে আপনি খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। এখানে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন৷ এরকম ফটোগ্রাফিগুলো দেখতে দেখতে এই জায়গাগুলোর প্রতি ভালোবাসা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে৷ একই সাথে আপনার এই পোস্টের মধ্য দিয়ে এই স্থান সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম৷ অবশ্যই চেষ্টা করবো সময় পেলে এই স্থান দেখে আসার৷
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সবাই মিলে যাওয়ার কারণে বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছিলাম। ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
কমিউনিটিতে অন্য একজনের মাধ্যমে ডিয়াবাড়ির সম্পর্কে জেনেছিলাম।আজ আপনার মাধ্যমে দেখে ভালো লাগলো।আসলে ভিড় বেশি হলে যেকোনো যানবাহনে চড়তে বিরক্ত লাগে।বাচ্চাদের অনেক রাইড রয়েছে দেখছি।যাইহোক আশা করি আপনারা দারুণ সময় উপভোগ করেছেন, ধন্যবাদ আপু।
ঢাকায় যারা থাকে তারা সবাই একবার করে হলেও এই দিয়া বাড়িতে যায়। এজন্য হয়তো কারো পোস্টে পড়েছিলেন। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে সেদিন অফিস টাইমে যাওয়ার কারণে আমাদের বেশি ভোগান্তি হয়েছিল । তাছাড়া মেট্রোরেলে চড়তে কিন্তু ভালোই লাগে । নিজেরা সিট নিয়ে বসতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগে । আর সেদিন দিয়া বাড়িতে ভালো লাগেনি যত নাম শুনেছি যাওয়ার পরে মনটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল । ওখানের খাবারটা ভালো ছিল তবে পরিবেশটা তেমন একটা ভালো ছিল । সবকিছু মিলিয়ে মোটামুটি ছিল সময়টা তবে সবাই মিলে থাকার কারণে একটু ভালো লেগেছিল ।
ঠিক বলেছেন আপু অফিস টাইমে যাওয়ার কারণে এত বেশি ভিড় ছিল। তারপরও অন্যান্য সময় মোটামুটি ভিড় ভালই থাকে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।