পুরোনোঅ্যালবাম থেকে কিছু ছবি//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।ছবি যত পুরানো হয় ততই যেন সেই ছবির প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যায় ।যেমন ছোটোবেলার ছবি যখন আমরা বড় হয়ে দেখি তখন ওই ছবিগুলো ততই যত্নে রাখতে ইচ্ছা করে। সেই ছবিগুলোর সাথে মানুষের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে, যেগুলি একটা বয়সের পর সেই ছবিগুলো দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। সব ছবির সাথেই মানুষের কিছু না কিছু স্মৃতি জড়িয়ে থাকে।স্মৃতি এই ছোট দুটো অক্ষরের মধ্যে লুকিয়ে আছে হাজারো ফেলে আসা মুহূর্ত । স্মৃতি কখনো হয় আনন্দের আবার কখনো বা প্রিয়জনের দুঃখের মুহূর্তগুলি মানুষের মনকে বিষাদের স্মৃতিতে ডুবিয়ে রাখে।মিষ্টি, মধুর, তিক্ত সবরকম স্মৃতির ভার বহন করেই মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে চলে। আবার এমন ও কিছু মানুষ আছেন যাঁরা স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরেই সারাজীবন কাটিয়ে দেয় । ছেলেবেলার স্মৃতি ,স্কুলের আনন্দমুখর দিনের স্মৃতি, ভালোবাসা স্মৃতি আরও কত স্মৃতি এমন আছে যা প্রতি মুহূর্তে মানুষের মনের মণিকোঠায় সঞ্চিত করে থাকে। স্মৃতি আছে বলেই বুঝি ভালোবাসা এখনো বেঁচে আছে । যাই হোক দশ পনেরো বছর আগে আমরা ফোনের ক্যামেরা অত ব্যবহার করতাম না ।তখন ফোন শুধু যোগাযোগ করার জন্যই ছিল। তাই খুব কম মানুষই ক্যামেরায় ছবি তুলে সেই ছবি সযত্নে নিজের কাছে রেখে দিত।এখন ডিজিটাল যুগে ছোট থেকে বড় সবার হাতেই ফোন রয়েছে। তাই যে কোনো মুহূর্তকেই আমরা ফোনে ক্যাপচার করে সেটাকে নিজেদের কাছে সেই ছবিগুলোকে রেখে দিতে পারি ।অনেকদিন পর ফোনের গ্যালারির ছবি গুলো গতকাল পেনড্রাইভে নিয়ে রাখছিলাম। কিছু ছবি দেখে অনেক কথা মনে পড়ে গেল। তারই মধ্যে কিছু ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি ,যে দিনগুলো সব সময় আমার কাছে মেমোরেবল হয়ে থাকবে।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।



আলোকচিত্র: ১

WhatsApp Image 2022-10-02 at 11.25.26 PM.jpeg

বম্মার সাথে তোলা ছবি (২০২০)


বম্মার সাথে বলতে আমি আমার ঠাকুমার মায়ের কথা বলছি। এই ছবিটা আমি যখন তুলেছি তখন বম্মার বয়স হচ্ছে ৯০ বছরের কাছাকাছি। এই বম্মার সাথে আমার পুরো ছোটবেলাটাই কেটেছে ।


আলোকচিত্র: ২

WhatsApp Image 2022-10-02 at 11.18.20 PM.jpeg

প্রথমবার ভাই বোনদের সাথে পুজোতে বেরোনো ।


এই ছবিটা দশমীর দিন তোলা। ভাই বোনদের সাথে কিছু কিছু সময় বের হলেও পুজোতে ২০১৯ এ প্রথম বেরোনো ছিল । খুব মজা করেছিলাম সেই দিনটাতে।


আলোকচিত্র: ৩

WhatsApp Image 2022-10-02 at 11.30.00 PM.jpeg

অষ্টমীতে সবাই একসাথে অঞ্জলি দেওয়ার পর(২০১৭)।


আলোকচিত্র: ৪

WhatsApp Image 2022-10-02 at 11.31.08 PM.jpeg

কলেজ লাইফে আমার প্রথম ছাত্রী।

কলেজে পড়াকালীন আমার প্রথম আঁকার ছাত্রী । ওর যখন তিন বছর বয়স তখন থেকে আমার কাছে আঁকা শেখে। প্রথম দিন থেকেই ও খুব সুন্দর আঁকতে পারতো । যা বলতাম সব শুনতো এক কথায় খুব বাধ্য ছিল।


আলোকচিত্র: ৫

WhatsApp Image 2022-10-03 at 12.03.43 AM.jpeg

২০২০ করোনার পর বাড়ির সবাই একসাথে মিলে মুর্শিদাবাদ ঘুরতে যাওয়া।

২০২০ তে আমরা বাড়ির সবাই মিলে দুদিনের জন্য বাঁকুড়া ঘুরতে যাই। কিন্তু ওই দুটো দিন আমরা শুধু বাঁকুড়া ঘুরিনি দুদিনের মধ্যে আমরা বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ ,তারাপীঠ ঘুরে ছিলাম। দারুন একটা সময় কাটিয়েছিলাম পরিবারের সাথে।

আলোকচিত্র: ৬

WhatsApp Image 2022-10-03 at 12.08.29 AM.jpeg

মায়ের প্রথম জন্মদিনে।


অনেকেই হয়তো জানবেন পুরানো দিনের মানুষেরা অত জন্ম তারিখ মনে রাখতে পারতো না ।আমার দিদাও তাই মায়ের জন্মের তারিখটা মনে রাখতে পারিনি কিন্তু মাস, সময় মনে রাখতে পেরেছিল ।তো দিদার কাছে শুনে আমি প্রথমবার তারিখ হিসাব করে মায়ের জন্মদিন প্রথম পালন করেছিলাম । মা সেদিন ভীষণ খুশি হয়েছিল ।


আলোকচিত্র: ৭

WhatsApp Image 2022-10-03 at 9.32.16 AM.jpeg

বিএড এর সময় স্কুলে পড়াতে গিয়ে।



প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু লক্ষ্য থাকে। আর সেই লক্ষ্যকেই সামনে রেখে শ্রম, নিষ্ঠা, অধ্যবসায়,একাগ্রতার সাথে অগ্রসর হই। ছোটোবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল স্কুলের শিক্ষিকা হওয়ার । আর সেই ইচ্ছাকেই পূরণ করার জন্য এগিয়ে যাই। এই ছবিটি লাস্ট ইয়ার বিএড পড়ার সময় ,যখন আমাদের অন্যান্য স্কুলে গিয়ে দু মাসের ট্রেনিং নিতে হয় ঠিক সেই সময়ের ছবি।

ডিভাইসvivo v5s
লোকেশনকোলকাতা
ক্রেডিট@swagata21

ধন্যবাদ

Sort:  
 2 years ago 

জীবন এমনি দিদি , হয়তো মুঠোফোন আছে বিধায় স্মৃতি গুলোকে একটু বারবার নাড়িয়ে চাড়িয়ে দেখা যায় ।

মুহূর্ত গুলো আপন হয়ে থাকুক , হৃদয়ের মণিকোঠায় ।

শুভেচ্ছা রইল

 2 years ago 

দিদি সত্যি মাইন ব্ললিং ঠিকি বলেছেন যে পুরনো সৃতি গুলো কখনো ভুলে যাওয়ার নয় ৷ সেই পুরনো সময়ে আনন্দ দুঃখ বেদনা যাই হোক ৷ তবুও দিনশেষে সেই পুরনো ছবি গুলো দেখলে অনেক কথা মনে পরে ৷
আপনি আপনার পুরনো দিনের ক্যাপচার করা ছবি শেয়ার করেছেন ৷ দেখে ভালো লাগলো ৷
ভালো থাকবেন দিদি ধন্যবাদ

 2 years ago 

আজকের ছবি ভবিষ্যতের ইতিহাস। সত্যি
দিদি একটা ছবি যে কতশত পুরানো স্মৃতি জাগিয়ে দিতে পারে তা বলে বোঝানো সম্ভব না। আমি যখন আমার গ‍্যালারীর পুরাতন ছবিগুলো দেখি। ঠিক আমারও মনে পড়ে যায় ফেলে আসা সময় গুলো। আপনার আগের দিনের ছবিগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।।

 2 years ago 

মাঝে মাঝে ফোনের পুরনো গ্যালারির ছবি গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। আমিও যখন কোনো কাজ থাকে না মন খারাপ লাগে তখন গ্যালারির ছবি গুলো খুঁজে খুঁজে দেখি। আপনার ছবিগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার বম্মার অনেক বয়স হয়েছে তার সাথে ছবিটি দেখে ভালো লাগলো। পূজোয় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর পরনো কিছু ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ছবি তে যে মেমোরি গুলো বন্দী হয়ে থাকে সারাজীবনের জন্য সেগুলো অক্ষয় হয়ে থাকে। কখনো হাসায় কখনো বা কাদায়,, আবার কখনো বা আক্ষেপ বাড়িয়ে দেয়। তবে স্মৃতির এই অ্যালবামগুলো ঘেঁটে দেখতে খারাপ লাগে না মোটেও। বেশ ভালো লাগছিল পুরনো দিনের এই ছবিগুলোর ছোট ছোট গল্প পড়তে। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তবে যে কথাটি না বললেই নয় দিদি , আপনার মা মানে মাসিমা দেখতে ভীষণই মিষ্টি 🙏👌। প্রণাম রইলো আমার।

 2 years ago 

সত্যিই দিদি ছবি যতো পুরানো হয় মায়াও ততো বেড়ে যায়। ঠিক বলেছেন দিদি ভালোবাসা স্মৃতি আরও কত স্মৃতি এমন আছে যা প্রতি মুহূর্তে মানুষের মনের মণিকোঠায় সঞ্চিত করে থাকে। স্মৃতি আছে বলেই বুঝি ভালোবাসা এখনো বেঁচে আছে ।পুরানো দিনের ছবিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন আপু ছবি যত পুরোনো হয় তত মায়া বাড়ে।হয়ত কিছু কিছু মানুষ থাকে না ছবিগুলোই স্মৃতি হয়ে থাকে। যাই হোক শেষের ছবিটা আমি চিনতেই পারছি না খুব সম্ভবত পিংক কালার মাস্ক পরাটা,হাতে ফোন, পিংক শাড়ি।তাই না?

 2 years ago 

স্মৃতির পাতা থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো আজকে আমার খুবই ভালো লেগেছে। পুরনো সেই ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে খুবই ভালো লাগে। সত্যি আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার বম্মার ফটোগ্রাফি তার বয়স 90 বছর ছিল। যাইহোক আপনার প্রথম কলেজ জীবনের ছাত্রীকে দেখে ভাল লাগল এবং মুর্শিদাবাদ ভ্রমণ গিয়েছিলেন সেই ফটোগ্রাফি গুলো অনেক বেশি ভালো লাগলো আমার।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন দিদি, কিছু কিছু স্মৃতি থাকে যা কখনোই ভোলা সম্ভব নয়। তবে আপনার ছবিগুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। সবকিছু আপনি খুব যত্ন করে আপনার অ্যালবামে রেখে দিয়েছেন। বিশেষ করে আপনি ড্রয়িং শেখাতেন, এই বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লাগেছে।

 2 years ago 

ফেলে আসা দিন গুলোর স্মৃতি মনে হলে মন চাই আবার ফিয়ে যায় সেই সময়টাতে। দিদি বিএড এর সময় স্কুলে পড়াতে গিয়ে যে ফটোগ্রাফিটা সেয়ার করেছন সেখানে তো আপনাকে খুজে পাচ্ছি না। সম্ভবত আপনি বাম পাশের চতুর্থ নাম্বারে আছেন। শাড়ির উপরে পিক কালারের একটি স্কাট পড়ে আছেন। স্মৃতিময় ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ দিদি।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65762.46
ETH 2656.88
USDT 1.00
SBD 2.81