কালীপুজোর দিন/১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে কালীপুজোর দিনের কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
কালীপুজো উপলক্ষে কয়েকটা দিন খুব ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে। দুর্গাপুজোর জন্যও যেমন বাঙালি একটা বছর অপেক্ষা করে থাকে তেমন কিন্তু কালীপুজোতেও তাই ,যেহেতু একটা দিনের জন্যই এই পুজোটা হয় তার জন্য খুব আনন্দ হয়। কারণ চার দিকটা এত আলোকিত থাকে, নতুন নতুন লাইটিং এর সমাহার আর দিন যত যাচ্ছে লাইটিং এর ভিন্নতা অনেক বেড়েছে। খুব ইন্টারেস্টিং লাগে এই ব্যাপারটা , এই দীপাবলি উপলক্ষে কে কত সুন্দর করে বাড়ি সাজাতে পারে সেটাই দেখা যায়। আর আমার তো এই বিষয়টা ভীষণ ভালো লাগে দেখতে।
আর আরেকটা জিনিস ভালো লাগে সেটা হচ্ছে বাজি ফাটাতে। অনেকেই হয়তো জানেন যে আমি দু তিন দিন আগে বাজি কিনতে গিয়েছিলাম ,তো বাজি কিনলেই সবসময় মনে হয় কখন সেগুলো সবাই মিলে আনন্দ করে ফাটাবো । কালীপুজো ছিল গত পরশুদিন । কালীপূজার দিন আমার ভাই বোনরা সবাই পাড়ার প্যান্ডেলের পুজোতেই থাকি প্রত্যেকটা বছর। একসাথে পুজো দেখি তারপর বাড়ি চলে আসি। এইবার ও তাই, কালীপুজো শুরু হয় রাত বারোটা থেকে সেই চারটে পর্যন্ত। আর এইবার কালীপুজোতে পুরো দিনটাই বৃষ্টির মধ্যেই চলে গেছিল। ভেবেছিলাম বিকেলবেলা বেরোবো কিন্তু বৃষ্টির জন্য আর বেরনো হয়নি ।
কিন্তু রাত দশটার পর থেকে বৃষ্টি কমে যাওয়াতে পাড়ায় বসেই পুজো দেখেছি। আমি যে পূজো প্যান্ডেলে থাকি সেখানে অনেকেই থাকে, অনেকের সাথে এই দিনটাতে দেখা হয় ,খুব গল্প আড্ডা হয় আর একসাথে সবাই মিলে বসে পূজো দেখার আনন্দটাই আলাদা। এরপর পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর একসাথে সবাই মিলে প্রসাদ খেলাম। প্রসাদ খেয়ে বাড়ি চলে এলাম ।এভাবেই কালী পূজার দিনটা আমার কেটে গেল।
কলীপূজাতেই বেশি আনন্দ হয়।বাজি ফাটাতে দারুণ মজার বিষয়।তাছাড়া দিদি আপনাদের ওখানে বৃষ্টি হয়েছিল!আমাদের এখানে যদিও বৃষ্টি হয়নি,তবে এই বছর কালীপূজা দেখা হয়নি।ভালো লাগলো আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখে।প্রসাদগুলি সুন্দর ছিল, আমার তো অনেক ভালো লাগে ঠাকুরের প্রসাদ খেতে।দারুণ সময় পার করেছেন আপনারা,ভালোবাসা রইলো দিদি।
পূজা মন্দিরের লাইটিং আর ডেকোরেশন এই মূল আকর্ষণ। মা কালী পূজায় আতশ বাতি ফুটানো আরো মনোমুগ্ধ করা একটি বিনোদন। যাইহোক ভক্তিভরে মা কালীর জন্য সময় দিয়ে আরাধনা করে করেছেন। মা কালী আপনার জন্য মঙ্গল করুক।
কই আমাদের বারাসাত এ তো কোনো বৃষ্টি হয়নি। পুজোর দিনই তো আমি দক্ষিণেশ্বর দিয়ে ঘুরে আসলাম। তবে এটা সত্যি কথা এবারের লাইটিং টা বেশ জমজমাট এবং চোখ ধাঁধান ছিল। আর এটাই তো পুজোর প্রধান আকর্ষণ। তোমার শেয়ার করা ভোগের প্রসাদ এতটাই সুন্দর লাগছে যে দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।