মায়ের বিদায়বেলায় সিঁদুর খেলার কিছু মুহুর্ত। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে মায়ের বিদায়বেলায় সিঁদুর খেলার কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
দুর্গা পুজো কবে আসবে আসবে? এই এক বছরের অপেক্ষা আর আসতে না আসতেই জানো মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে হয়। চোখের নিমেষেই কেটে যায় এই চারটে দিন।যখন পুজোর চারটে দিন পেরিয়ে যখন দশমী আসে তখন খুব মনটা খারাপ হয়ে যায়, সারা বছর এই পূজাকে ঘিরে গোটা বাঙালি যে আশা আনন্দ ঘিরে থাকে মনে হয় কত সহজেই এক মুহূর্তে ফুরিয়ে যায় এই পূজোর চারটে দিন যেন আলোর চেয়েও দ্রুত বেগে ছোটে । দশমী কথাটার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বাঙালি আবেগ এবং মন খারাপ মিশ্রিত এক অনুভূতি। আরো একটা বছরের অপেক্ষা, সাধারণত দুর্গাপুজোর অন্তহয় দশমীর মাধ্যমে এই দিনেই মা দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হয়। ।
দশমী' কথাটির সাধারন অর্থ খুবই সহজবোধ্য। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পিতৃ গৃহ ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে পাড়ি দেন দেবী। সেই কারণেই এই তিথিকে 'বিজয়া দশমী' বলা হয়। তবে দশমীকে 'বিজয়া' বলার কারণ খুঁজলে অনেক পৌরাণিক কাহিনী পাওয়া যাবে। পুরাণের মহিষাসুর বধ কাহিনীতে বলা হয়েছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তাঁর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেনমা দুর্গা। তাই তাকে 'বিজয়া' বলা হয়। এছাড়াও শ্রীশ্রীচণ্ডী কাহিনীতে বলা হয়েছে, দেবীর আবির্ভাব হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে। পরে শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর বধ করেছিলেন তিনি। তাই বিজয়া দশমী এই বিজয়াকেই চিহ্নিত করা হয়।
আমাদের পাড়ায় দশমীর দিন মা দুর্গার বিসর্জন দেওয়া হয় না ।মোটামুটি দুদিন মাকে রেখে দ্বাদশীর দিন বিসর্জন দেওয়া হয়। কোনো বছর মায়ের বিসর্জনের সময় আমি থাকি না। বাড়ির সবাই যখন দুর্গা প্রতিমাকে বরণ করতে যায় আমিও তখন যাই ,খুব ভালো লাগে ওই সময়টুকু ।দুর্গা মাকে বরণ করার পর বিবাহিত মহিলারা একে-অপরের সঙ্গে সিঁদুর খেলতে শুরু করেন এবং স্বামীর দীর্ঘায়ুর কামনা করেন। এই মুহূর্তটা আমার ভীষণ ভালো লাগে এবং আমিও এনজয় করি ।কিন্তু বিসর্জনের সময় প্রত্যেক বছর বাড়ি চলে আসি ।কিন্তু এই বছর ভাবলাম যে থাকি । এই বছর থাকার পর হয়তো আর কোনো বছরই বিসর্জনে থাকবো না, কারণ মায়ের বিসর্জনের সময় দুর্গা প্রতিমার চোখের দিকে তাকানো যায় না এতটাই মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে ।
এই বছরটা বিসর্জনের পুরো সময়টুকুই মন্ডপে ছিলাম । বিসর্জন দেওয়ার সাথে সাথে আমরা বড়দের প্রণাম করে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানালাম এবং মিষ্টিমুখ করলাম ওখানে যারা উপস্থিত ছিলাম।এই দিন বিষাদের সুরের সঙ্গে সঙ্গে ফের অপেক্ষার দিন গোনা শুরু হলো ।
প্রথমেই বলে লাল সিঁদুর মেখে আপনার মুখটা বেশ দারুন লাগছিল আমার কাছে। আপনাদের পুজোটা আমাদের ঈদের মতো। এক বছর পর আসছে আসছে আসলে তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। আমি বিজয়া দশমীর সম্পর্কে আসলে কিছুই জানতাম না। শুধু জানতাম সেদিন বিসর্জনের দিন।কিন্তু আপনি দেখছি অনেক কিছুই লিখেছেন। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। কেন এটা কি বিজয়া দশমী বলে এটাও জানতে পারলাম। আর আপনাদের দশমীর দিন বিসর্জন হয়নি দ্বাদশীর দিন বিসর্জন হয়েছে এটা শুনে অবাক হলাম। আর প্রতিবছর আপনি বিসর্জনের সময় থাকেন না কিন্তু এবারে থেকেছেন এটাও বেশ ভালো লাগলো। সবার সাথে একসাথে সময়টা বেশ ভালোই কাটিয়েছেন।
বিদায় সবসময়ই অনেক কষ্টের হয়ে থাকে। আর উৎসবের দিনগুলো তো যেন খুব দ্রুতই চলে যায় দিদি। ঐ দিন মন খারাপ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। বিজয়া দশমী বলার কারণ আমি আগে জানতাম না। মোটামুটি আপনার পোস্ট থেকে জানলাম। ঐ যে বলে না আসছে বছর আবার হবে।
আপু ধর্মীয় উৎসব মানেই অনাবিল আনন্দ। দূর্গা পূজাতে সিঁদুর নিয়ে খেলা করার বিষয়টি সত্যিই অসাধারণ। দুর্গা পুজোর অনাবিল আনন্দের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনের দিনটি সকলের নিকট বেশ বেদনাদায়ক হয়ে যায়। তবে আপু সিঁদুর খেলার মুহূর্তটা নিশ্চয়ই আপনি দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন।
বিদায় বেলা খুব আনন্দ সাথে সিঁদুর খেলা উপভোগ করেছেন। সত্যিই বিদায় বেলা আপনারা অনেক সুন্দর সময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। বিসর্জনের পুরোটা সময় ধরে আপনি মন্দিরে ছিলেন এবং অনেক আনন্দ করেছেন। আসলে বিদায় শেষে আবারো আগামী দিনের অপেক্ষায় করতে লাগলেন। ভালো লাগলো আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
আপনাদের লাল সিঁদুরে যা সুন্দর লাগছে।সত্যি সত্য সিঁদুর পরা দেখতে চাই এবার।🤭😛🤪
লাল শাড়িটাতেও জাস্ট ফাটাফাটি লাগছে আপনাকে।
সিঁদুর খেলার বিষয়টি আমাদের এদিকে ও প্রচলন রয়েছে তবে নতুন একটি বিষয় জানতে পারলাম। আমাদের এখানে দশমীর দিনে বিসর্জন দেওয়া হয় কিন্তু আপনাদের এলাকায় দ্বাদশ দিনে বিসর্জন দেওয়া হয় বিষয়টি সত্যিই অনেক ইউনিক ছিল। আগে কখনো এই বিষয়টি শুনি নিনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই বিষয়টি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।।।
দুর্গাপূজার এই চারদিনের উৎসব খুব জাকজমক করে পালন করা হয়। তবে দশমীর দিন দেখেছি অনেকেরই মন খারাপ থাকে। বরনের সময় আপনারা বিবাহিত মহিলারা অনেক আনন্দ করেছেন এবং সিদুড় খেলেছেন। আপনাদের ছবিগুলো খুব ভাল হয়েছে। আমার মিষ্টি খুব পছন্দ আর আপনাদের হাতে মিষ্টি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ দিদি।
পূজোর কটা দিন খুব আনন্দে কাটে কিন্তু যেই মায়ের বিদায় বেলা আসে তখন খুবই খারাপ লাগে চোখ দিয়ে জল এমনিতেই চলে আসে। মায়ের বিদায়বেলায় সিঁদুর খেলা খুবই আনন্দঘন একটি পরিবেশ যা সবার জন্য খুবই ভালো লাগার মতো একটি মুহুর্ত। আমাদের বাড়িতে সিঁদুর খেলাতে খুবই আনন্দ হয় সেই আনন্দ নিয়ে সারাবছর পার করি। দিদি আপনাকে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে, সিঁদুরের রং এর মতো রঙ্গিন হয়ে উঠুক আপনার জীবন এই প্রার্থনা করি। সবসময় ভালো থাকবেন। সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।
আসলেই দিদি দেখতে দেখতে দুর্গা পুজো শেষ হয়ে গেলো ৷ দুর্গা পুজার চারটি দিন কিভাবে যে কেটে গেলো ভাবতেই অবাক লাগতেছে ৷ আমরা বাঙ্গালী এই দুর্গা উৎসবের জন্য প্রতি বছর অধীন আগ্রহে বসে থাকি ৷ আবার বছর ঘুরে আসবে দুর্গা পূজা ৷ এবার পূজায় বেশ ভালোই আনন্দ করেছেন ৷ দশমীর দিনে মায়ের বিসর্জন ভালোই দিয়েছেন৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ৷
খুবই চমৎকার দেখাচ্ছে দিদি আপনাকে। তেজস্বী মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে ফটো সেশনটি। মায়ের বিদায় বেলায় সকলকে নিয়ে বেশ ভালই সিঁদুর খেলেছেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
পুজোর কয়েকটি দিন আপনারা সকলে সত্যি অনেক আনন্দ করেছেন। পুজো শেষে যখন বিজয় দশমীর দিন চলে আসে তখন সত্যিই মন খারাপ হয়ে যায়। আজকে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে বিজয় দশমী সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে পারলাম আপু। হয়তো এই তথ্যগুলো আগে জানা ছিল না। সিঁদুর খেলা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। টিভিতে দেখেছি সিঁদুর খেলতে। তবে বাস্তবে দেখার সৌভাগ্য কখনো হয়নি। আজকে আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে সিঁদুর খেলার মুহূর্ত গুলো দেখে সত্যি ভালো লাগলো আপু। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।