শীতের রাতে কলকাতার ফুটপাতের জীবন
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজকে আমি কিছু খুবই সাধারণ কথা বলতে চলেছি।এগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত।আপনাদের গঠনূলক মন্তব্য আশা করছি।আমাদের দেশে শীতকাল চলে এসেছে।এখনো সেই ভাবে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়নি তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জাকিয়ে শীত পড়বে।বাঙালি স্বাভাবিক ভাবেই একটু উৎসব প্রবণ।শীতকালকে ও বাঙালি উৎসব বানিয়ে ফেলেছে।শীতকাল বলতে আমরা খেজুরের রস আর নানা রকম মজার পিঠে পুলির উৎসব বুঝি।আর শীতকালে আরেকটা বিষয় হলো বাঙালি এই সময় টা ঘুরতে যেতে ভালোবাসে।
তাই তো কলকাতার চিড়িয়াখানা,ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল,জাদুঘর, সাইন্স সিটি সব লোকের ভীড়ে উপচে পড়ে।শুধু কলকাতার মধ্যে নয় বাঙালি বাইরে ও ঘুরতে বেরিয়ে যায়।বেশ খরচ করে রসিক ও আমুদে বাঙালিরা।শীতের তীব্রতা যতই বাড়ে এদের উৎসবের আমেজ ও ততই বাড়ে।কিন্তু শীত সবার জন্যই কি উৎসবের?
কলকাতার ফুটপাতে শীতের রাতের দৃশ্য:
কলকাতা আনন্দের শহর,ভালোবাসার শহর।কিন্তু এই আলোর নিচে ও যে অন্ধকার আছে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো শীতের রাতে কলকাতার ফুটপাত।শীতের রাতে কলকাতার ফুটপাতে হাজার হাজার মানুষ শুয়ে থাকে ,যাদের নেই শরীরে কোনো পোশাক।শীতের পোশাক তো দূরের কথা,সাধারণ পোশাক ও নেই তাদের গায়ে।অথচ প্রবল শীতে ভয়ংকর কষ্ট করে খোলা আকাশে এই সব মানুষ শুয়ে থাকে।পুরোনো হোক কিংবা ছেড়া একটু গরমের পোশাক পেলেই এরা স্বর্গ হাতে পায়।কিন্তু এদের দিকে কারা এগিয়ে আসবে?আমাদের মতো উৎসব প্রিয় মানুষ গুলো যারা শীতে বাইরে ঘুরতে যেতে ব্যস্ত?
হ্যাঁ,আমাদের ই এগিয়ে আসতে হবে।ভূপেন হাজারিকার বিখ্যাত গান আমাদের মনে করিয়ে দেয়,"মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য।"সেই আদর্শ কে সামনে রেখে আমাদের ও একটু এগিয়ে আসতে হবে এই আশ্রয়হীন মানুষ গুলোর পাশে।
আমাদের আসলে কি করণীয়:
আমদের কি করনীয় এই সব মানুষদের জন্য?প্রচুর অর্থ সহায়তা করার প্রয়োজন আছে?
উত্তর, না।শুরু একটু সময় করে একটু সাহায্যের হাত বাড়িতে দিতে হবে।এর জন্য আলাদা করে কোনো টাকা পয়সা খরচের প্রয়োজন নেই।আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে আমাদের পুরোনো শীতের পোশাক থাকে যেগুলো আমরা শুধু শুধু ফেলে রাখি,আর আমাদের বাড়িতে জায়গা দখল করে আছে।এই না ব্যবহার করা পোশাক গুলো একটু কষ্ট করে এদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
এর জন্য অনেক সময় আমাদের নিজেদের ও সময় ব্যয় করে যাওয়ার দরকার নেই।অনেক স্বেচ্ছাসেবক দল আছে যারা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে পুরোনো পোশাক সংগ্রহ করে।তাদের কে আমাদের ওই সব পুরোনো পোশাক দিতে হবে আর তাহলেই তারা পৌঁছে দেবে এই সব দুস্থ মানুষদের কাছে।
আমাদের সব আনন্দ ও উৎসব সার্থক হবে তখনই যখন আমাদের পাশের মানুষ গুলো ও কিছুটা ভালো থাকবে।আমরা সবাই আমাদের নিজেদের মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করবো।এই প্রত্যাশায় আজকে এখানে শেষ করছি।ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
হাজারো আলোর মাঝে কিন্তু অন্ধকার লুকিয়ে থাকে দিদি। আসলে শীতকাল আমরা উপভোগ করার চেষ্টা করি। আর আমাদের চারপাশের এমন কিছু মানুষ আছে যারা শীতে মানবতার জীবনযাপন করে। আসলে আমরা আমাদের জায়গা থেকে যদি তাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই তাহলে হয়তো তারা একটুখানি স্বস্তি পাবে। আমাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় কিছু হ্যাঙ্গার লাগানো আছে। যেখানে লেখা আছে মানবতার দেয়াল। সবাই নিজেদের অপ্রয়োজনীয় কাপড় গুলো সেখানে দিয়ে আসে। যারা শীতে কষ্ট করে তারা সেখান থেকে কাপড় সংগ্রহ করতে পারে। যাইহোক দিদি আমরা সকলেই নিজ উদ্যোগে সেসব মানুষদের সহায়তা করব।
দিদি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন। এই শীতের রাতে শহরের ফুপাতে বা স্টেশনে গেলে দেখা যায় কত মানুষ শীতে কষ্ট করতেছ। অথচ আমাদের ঘরের কোনে কত অব্যবহৃত পুরাতন কাপড় পড়ে আছে। এগুলো তাদের দিলে তাদের শীত নিবারন করতে অনেক সহজ হয়। কিন্তুু এই বিষয়টা নিয়ে কয়জন মানুষ ভাবে। আমি আপনার সাথে এক মত পোষন করতেছি। এসব গরীব অসহায় মানুষদের পাশে আমাদের দাড়ানো দরকার। ধন্যবাদ দিদি।
এটা আসলেই ঠিক বলেছেন।আমাদের এতো এতো আনন্দ সব আসলে শুধু নিজেকে ঘিরে,নিজেদের ঘিরে।নিজেদের আরাম থেকে বের হয়ে ওই রাস্তার মানুষগুলোর কথা কয়জনেই বা ভাবি আমরা!একটা প্রয়োজনীয় টপিক নিয়ে বেশ ভালো লিখেছেন আপু।
দিদি ঠিক বলেছেন শীতকাল এখন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শীতের সময় আসলেই খেজুরের রস দিয়ে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। সবার ঘরে ঘরে পিঠাপুলি তৈরি করা হয়। আবার অন্যদিকে অনেকে এই সময় ঘুরাঘুরিতেও ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমার কাছেও শীতকাল অনেক ভালো লাগে। তবে সত্যি সবার জন্য এই শীতকাল আনন্দের নয়।যারা ফুটপাতে শুয়ে থাকে তাদের জন্য শীতকাল অনেক কষ্টের। আমরা যদি তাদের সেই কষ্ট দূর করে দিতে পারি তাহলে দেখবেন নিজেদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে। আমাদের সবার উচিত তাদের শীতের পোশাক দিয়ে সাহায্য করা।দিদি আপনার এই পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শীত আমার মত অনেকেরই প্রিয় ঋতু। প্রিয় এই কারণেই বলা হয়তো আরামদায়ক একটা ঘর আছে। গায়ে দেওয়ার কম্বল, সোয়েটার আছে তাই। কিন্তু সত্যিই কিছু মানুষের কাছে শীত হল বিভীষিকা।বড্ডই খারআপ লাগে কলকাতার রাস্তায় থাকা এই মানুষগুলোর জন্য।প্রতি বছরই কোন না কোন সমাজসেবী সংস্থা কম্বল, শীতবস্ত্র দান করেন ঠিকই। তাও যেন কোথাও একটা কম পড়ে।
দিদি অন্ধকার আছে বলেই আলোর এতো কদর।শীতকাল আমাদের অনেক প্রিয়,ঘুরতে, পিঠা পুলি ও খেজুরের রসের জন্য। সত্যিই অপর দিকে শীতে কতো কষ্ট করে রাস্তায় হাজারো মানুষ। আপনি ঠিক বলেছেন এদের সাহায্য করার জন্য জন্য আমাদের টাকা পয়সা দিতে হবে না।আমাদের ব্যবহারের কাপড় গুলো দিলেই কতো।সত্যিই দিদি মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। ধন্যবাদ দিদি শিক্ষা মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
দিদি আপনার সুন্দর চিন্তাধারাকে সম্মান করা উচিত। আমরা নিজেরা একা বেশি ভালো না থেকে যদি সবাইকে নিয়ে ভালো থাকি।তবে খুব বেশি খারাপ হয় না।আমরা যে জিনিস গুলো ব্যবহার করি না সেগুলো অন্যকে দিলে তারা অনেক ভালো থাকে।অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর এই চিন্তা ধারা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কথায় তো বলে কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনাশ। শীতকাল কিছু কিছু মানুষের জন্য খুব আনন্দ উৎসবের ঋতু, আবার কিছু কিছু মানুষের জন্য খুব কষ্টের।ঠিকই বলেছেন আপু যে যার জায়গা থেকে একটু একটু করে সাহায্য করলে তারা শীতকালটা বেশ ভালো কাটাতে পারে।আমাদের তো অনেক অনেক শীতের গরম কাপড় আছে,তার মধ্যে একটা দুইটা তাদের দিলে তারা শীতকাল টা বেশ ভালো ভাবে কাটাতে পারতো।ভালো লাগলো আপু কথাগুলো।ধন্যবাদ
আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।আসলে আমাদের বাঙালিরা দেখা যাচ্ছে যে শীতকালকে একটি উৎসব মুখর বানিয়ে ফেলেছে।তবে মাঝেমধ্যে একটু ঘোরাফেরা এবং উৎসব করা ও আনন্দের।তবে আমাদের প্রত্যেকের উচিত যারা হতদরিদ্র আছে তাদের খবরা খবর রাখা।হ্যাঁ আমাদের বাসাই অনেকেরই এরকম বাড়তি কাপড় পড়ে থাকে যেগুলো আমরা ব্যবহার করি না।সেই সব কাপড় যদি আমরা স্বেচ্ছাসেবক অথবা কয়েক টাকা গাড়ি ভাড়া খরচ করে যদি গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসা যায় তাহলে শীত থেকে গরিব মানুষগুলো রেহাই পাবে।শীত শুরুর আগে আপনি এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।