২৫ তম বিবাহবার্ষিকীতে [দ্বিতীয় পর্ব]
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।গত একটি পর্বে আমি আমার বড় কাকিমনির অ্যানিভার্সারির আগের দিনের কিছু মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলাম, আজকে অ্যানিভর্সারির দিনের কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ।
অ্যানিভার্সারির দিন সকাল সকাল আমাদের বাড়ির প্রত্যেকে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে গিয়েছিল ।আমি আগেই বলেছিলাম যে আমার সকালবেলা ওঠা অভ্যাস নেই তাই আর সেদিন সকাল করে উঠিনি শুধু আমি আর আমার বোন ওই সময়টা বাড়িতে থেকে গেলাম । বিকালে এত বড় অনুষ্ঠান যদি সকালবেলা রোদের মধ্যে বের হতাম তাহলে বিকেল বেলা খুব একটা আনন্দ করতে পারতাম না। কারণ রোদে খুব একটা আমি বেরোতে পারি না। যাই হোক দুপুর বেলা মা-বাবা ফিরে আসার পর অনুষ্ঠান বাড়িতে দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করে রেডি হতে চলে গেলাম ।কারণ সন্ধ্যাবেলার অনুষ্ঠান তাই তাড়াতাড়ি রেডি হতে হতো তাই আমিও দেরি না করে খাওয়া দাওয়া করেই রেডি হয়ে নিয়েছিলাম।
বাঙ্গালীদের টাইম যতই দেওয়া থাক না কেন তার থেকে ঠিক এক ঘণ্টা বেশি ধরতেই হবে কারণ আমাদের যাওয়ার কথা ছিল সাতটায় আর অনুষ্ঠান বাড়িতে পৌঁছাতে সেই আটটাই বেজে গিয়েছিল । তবে যাই হোক ততক্ষনে সব লোকও চলে এসেছিল। এবার অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পালা প্রথমেই গিয়ে দেখলাম খুব সুন্দর করে বাড়িটা সাজানো হয়েছিল এবং যে ঘর নেওয়া হয়েছিল তার একপাশে সেলফি জোন ছিল ,আরেক পাশে যেখানে অনুষ্ঠান হবে ,সেই মেইন জায়গা আরেক পাশে কাউন্টার ছিল এই ভাবে পুরো জায়গাটা সাজানো হয়েছিল।
প্রথমেই আংটি বদল দিয়ে শুরু হয়েছিল। তারপর আস্তে আস্তে মালা বদল ,এর পরে কেক কাটার অনুষ্ঠান ছিল ।পুরো অনুষ্ঠানটাতে খুব মজা হয়েছে। আর যেহেতু বিশাল লোকজন ছিল ,তার সাথে আমার কাছের মানুষেরাও এসেছিল তাতে তো আরো বেশি এক্সাইটেড ছিলাম।
সবশেষে যখন কেক কাটিং এর অনুষ্ঠান ছিল তখন খুব আনন্দ হয়েছিল ।তার সাথেও আরও আয়োজন ছিল। আর যেহেতু একটার পর একটা দেখার মত অনুষ্ঠান ছিল তাতে করে বিশাল আনন্দ হয়েছিল ।এবং গান গাওয়ার জন্য একজন লোক আনা হয়েছিল ।সব মিলিয়ে আমাদের ভীষণ এন্টারটেইনমেন্ট করা হয়েছিল ।তাছাড়া বহু মানুষের সাথে অনুষ্ঠান বাড়িতে দেখা-সাক্ষাৎ আরো একটা আলাদা আনন্দ। এরপর তো ছিল জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। মেনুতে থাকা প্রত্যেকটা খাবার আইটেম দারুণ ছিল। সব মিলিয়ে এই anniversary তে বিশাল মজা করেছিলাম এবং এই পঁচিশ বছরের অ্যানিভার্সারির আনন্দ সারা জীবন মনে থেকে যাবে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
খুব ভালো লাগলো দিদি অনুষ্ঠানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।অনেক আনন্দ, উদ্দীপনার মাঝে দিনটি কেটেছে বেশ বুঝতে পারছি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।অনুষ্ঠানের একেকটা পর্বে সবাই খুব ইনজয় করেছেন।দাদা, দিদি ভাই আর টিনটিন কে দেখে আরো বেশী ভালো লাগলো।সবাইকে নিয়ে এ রকম হাসি আনন্দে কাটুক এমনটাই প্রত্যাশা করি।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
ঠিক বলেছেন দিদি,বেশিরভাগ বাঙালিরা সময়-জ্ঞান এর ব্যাপারে একটু উদাসীন। বাড়িটা খুবই সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে দেখছি। একেবারে জমকালো আয়োজন। আপনার বড় কাকা তো পুরো ফিল্মি স্টাইলে আপনার কাকিমাকে প্রপোজ করছে দেখছি। দেখেই বুঝা যাচ্ছে ওনাদের বন্ডিংটা চমৎকার। টিনটিন বাবুকে খুব কিউট লাগছে দেখতে। সবমিলিয়ে দারুণ উপভোগ করেছেন সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
এটা কিন্তু একদম সত্য যে বাঙালিরা একটু বেশীই সময় লাগায় সব জায়গায়। তবে যাই বলেন না কেন ম্যারেজ ডে এর প্রোগ্রামটি কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। যেমন সুন্দর হয়েছে ঘর সাজানো, তেমনি আপনারাও বেশ আনন্দ নিয়ে প্রোগ্রামটি শেষ করলেন। আমার কাছে কিন্তু আপনার কাকা কাকী কে উত্তম কুমার আর সুচিত্রাই মনে হয়েছে।
এটা একদম আপনি ঠিক কথা বলেছেন আপু বাঙ্গালীদের একটু এই ধরনের অভ্যাস রয়ে গিয়েছে আজ পর্যন্ত, তারা চাইলেও কোনভাবেই সময় মত উপস্থিত হতে পারেনা। ২৫ বছরের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে দেখছি দারুন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আসলে পরিবারের সদস্যদের সাথে এই ধরনের অনুষ্ঠান করার মধ্যে মজাটাই অন্যরকমের।
বিগত দিন দিদিভাই হলুদের পর্বটা পড়েছিলাম, যেটা আপনাদের বাড়ির ছাদে হয়েছিল। তবে আজ বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানটার ছবিগুলো দেখে, একদম চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে। অনেকটাই রাজকীয় ব্যাপার-স্যাপার। আপনার কাকু ও কাকীর জন্য রইল অফুরন্ত ভালোবাসা। তাছাড়া সত্যি কথা বলতে কি, বৌদি আর আপনাকে ভীষণ সুন্দর লাগছিল দেখতে।
সকলের জন্য শুভেচ্ছা রইল 🙏