প্রথমে প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকরণ গুলো একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকান থেকে ক্রয় করে আনলাম। দোকানে বিভিন্ন প্রকার এক নম্বর দুই নম্বর ভেজাল ভালো-মন্দ উপকরণ থেকে থাকে তার মধ্য থেকে সুপারস্টার কোম্পানির মালটা সবচেয়ে বেশি ভালো শুনে ক্রয় করেছি।

এবার সমস্ত উপকরণ গুলো একে একে প্যাকেটের মধ্য থেকে আনবক্সিং করে নিলাম। যেহেতু সুইচ ও সকেট গুলো বক্সিং করা ছিল তাই দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করতে হবে ভেবেই আনবক্সিং করে ফেললাম দ্রুত। পাশাপাশি একটি মাল্টিপ্লাগ নিয়ে এনেছিলাম আমরা জানি ক্রয় করা মাল্টিপ্লাগ এর চেয়ে নিজে হাতে তৈরি করা মাল্টিপ্লাগের ভালো কার্যকরিতা হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে একটি কথা রয়েছে নিজে হাতে তৈরি করা মাল্টিপ্লাগের দুইটা ইনপুট থাকে। আর তৈরি করা মাল্টিপ্লাগ এ বেশ কয়েকটি তিনটি ইনপুট আলা সকেট থেকে থাকে।

এবার সুইচ বোর্ডের উপরের অংশটি খুলে ফেললাম এবং একটি করে সুইচ সকেট কোন পাশ থেকে কিভাবে দিলে নিজের সুবিধা হবে তা অনুমান করে নিলাম।


এই পর্যায়ে নির্দিষ্ট সারিবদ্ধ ভাবে সুইচ সকেষ্ট ইন্ডিকাটার বসিয়ে নিলাম বোর্ডের উপর অংশের খাপের মধ্যে।

এবার বিপরীত পাশের নাটের সাথে বোর্ডের অংশ ভালোভাবে বোর্ড দিয়ে আটকে দিলাম। আশা করি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সুন্দরভাবে দেখে বুঝে নিতে পারবেন।

এবার আমি আমার সুবিধামতো করে মাল্টিপ্লাগ তৈরি করবো বলে লাইন করে নিলাম যেন কারেন্ট থাকলে ইন্ডিকাটারে দেখা যায় কারেন্ট আছে। এদিকে নিজের ইচ্ছেমতো সুইচ দিয়ে সকেট লাইন অন করে রাখতে পারব পাশাপাশি অফ করে রাখতে পারব। আর একইভাবে দুইটা মাল্টিপ্লাগ তৈরির কার্যক্রম হাতে নিয়েছি


এবার বোর্ডের লাইন করার নিচের অংশে লাল তারের সাথে কারেন্টের তারে লাল অংশ ধরে দিলাম এবং বের করা তারের সাথে কালো তার জুড়ে দিলাম। যেহেতু আমরা জানি কারেন্টের তারের প্লাস মাইনাস নিয়ে ভাবতে হয় না। তবে বিশেষ প্রয়োজনে অথবা সৌর প্যানেলে ব্যবহার করা যাবে খুব সহজে। যেখানে প্লাস মাইনাস বোঝা যাবে। এরপর বোড নাট দিয়ে আটকে দিলাম এবং উপরের অংশের ফাকা জায়গা দিয়ে তার বের করে দিলাম। আর লাস্টের অংশে একটি টুপির লাগিয়ে দেওয়া যায় অথবা সরাসরি কোন কিছুর সাথে জড়িয়ে দেওয়া যায় সেটা নিজের ইচ্ছে মতো অথবা প্রয়োজনে নিজের মত করে নিতে হবে।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

| পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

আপনি তো দোকানদারের দাম কমিয়ে দিলেন। আপনি যদি এভাবে বাসায় মাল্টিপ্লাগ তৈরি করে কাজ করেন তাহলে তো তাদের বেচাকেনা খারাপ হয়ে যাবে। যাই হোক আপনার এই আইডিয়া আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।মাল্টিপ্লাগ তৈরির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি ডাই প্রজেক্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
প্রয়োজনে অনেক কিছু শিখতে হয় আপু।
আপনি তো বেশ দক্ষতার সাথে মাল্টিপ্লাগ তৈরি করে নিলেন ৷ বেশ ভালো লাগলো আপনার থেকে মাল্টিপ্লাগ তৈরির কাজ শিখতে পেরে ৷ অনেক সুন্দর ভাবে সব বুঝিয়েন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ারের জন্য ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই খুশি হলাম
বাহ ভাই আপনি খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি খুব সহজ পদ্ধতিতে মাল্টিপ্লাগ বানানোর প্রক্রিয়া বর্ণনা করেছেন। সুন্দর একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের সকলের উচিত নিজেকে সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা
অতি চমৎকার একটি সৃজনশীল মূলক কাজ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি মাল্টিপ্লাগটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। মাল্টিপ্লাগ তৈরির প্রতিটি ধাপের বর্ণনা গুলো পড়ে সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আমাদের সকলের উচিত নিজেরা চেষ্টা করে এ ধরনের কাজগুলো নিজেরাই সম্পূর্ণ করা। তবে ইলেকট্রনিক্স এসব কাজের ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই সতর্ক এবং সাবধান করবেন। দারুন একটি সৃজনশীল মুলক পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
এক কথায় দারুন একটা কাজ দেখলাম ভাই। আমি নিজেও এভাবে বাড়িতে মাল্টিপ্লাগ বানিয়ে ব্যবহার করছি। আমার কাছে মনে হয় বাজার থেকে সরাসরি কেনা বদলে এভাবে যদি নিজেরা বানানো যায় তাহলে কোয়ালিটি আরো অনেক ভালো হয়। সুপার স্টার সুইচ বেশ ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে। আশা করি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন এই মাল্টিপ্লাগ টা।
এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে আপনার পোস্টটি ভাই। বাজার থেকে কেনা বেশিরভাগ মাল্টিপ্লাগ বেশিদিন টিকে না। সেজন্য কয়েক বছর আগে বাসায় একটি মাল্টিপ্লাগ তৈরি করেছিলাম। সেই মাল্টিপ্লাগ এখনো খুব ভালো ভাবে চলছে। আশা করি আপনার পোস্ট দেখে অনেকেই বাসায় মাল্টিপ্লাগ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবে। যাইহোক এতো সুন্দর ক্রিয়েটিভিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।