ইসলামিক জলসার মেলা ভ্রমণ || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০%
আজ - বুধবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি একটি ইসলামিক জলসা অনুষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী মেলা থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি এবং সেখানে যেয়ে আমার কেমন অনুভূতি হয়েছিল সেই সমস্ত বিষয়ে আপনাদের মাঝে কিছুটা তুলে ধরার জন্য। আশা করি আপনারা খুব মনোযোগ সহকারে আমার এই পোস্ট করবেন এবং অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন। তাই চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এখনি মেন বিষয় চলে যাওয়া যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ফটোগ্রাফি
আমাদের গ্রাম থেকে পাঁচ কিলো দূরে বাদিয়াপাড়া নামক একটি গ্রাম রয়েছে সেখানে প্রতি বছর দুই দিনব্যাপী বাৎসরিক হালকায়ে জিকির ও ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তবে বছরের ৩ বার ওয়াজ মাহফিল হয়ে থাকে সেখানে। যেহেতু সেখানে রয়েছে বড় একটি মাদ্রাসা এবং পীরের দরবার খানা। আমাদের এলাকার মানসম্মত ও গুণগত একজন পীর সাহেব ছিলেন সেখানে। যার নাম ছিল মহাসিন পীর। বিভিন্ন স্থানের মানুষ এই পীরকে শ্রদ্ধা করতেন এবং তাকে জানতেন। তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন তবে আজ পর্যন্ত পূর্বের মত এখানে বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিল এবং জিকিরের আয়োজন হয়ে থাকে।
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমি আর আপনাদের প্রিয় বাংলা ব্লগ ইউজার মারুফ দুই বন্ধু মিলে শীতকালীন সবজি চাষ শুরু করেছি পুকুরের বাউরিতে। তাই সেই উদ্দেশ্যে বাদিয়াপাড়া গ্রাম অতিক্রম করে বামুন্দি বাজারে গিয়েছিলাম বিভিন্ন সবজির চারা কেনার জন্য এবং বীজ কেনার জন্য। আর সেখান থেকে বাড়িতে ফিরতে পথেই কিছুটা সময়ের জন্য আমরা ওয়াজ মাহফিলের স্থানে গিয়েছিলাম।
আমি এমনিতে খুবই কম চলাচল করি যে কোন অনুষ্ঠানে। দূরে কোথাও ওয়াজ মাহফিল বলুন আর যাই বলুন কখনো যাওয়া হয় না। তবে আমার জীবনে কোথাও গানের অনুষ্ঠানের যাওয়া হয়নি। বিশেষ করে রাত্রে তো যাওয়া হয়নি। যাহোক ঐদিন ফিরতে পথে মাগরিবের আজানের পর মারুফ আমাকে বলল চল একটু বড়া খেয়ে আসি এবং পরিবেশটা দেখে আসি। আমি অবশ্য মোবাইলে ওয়াজ মাহফিল শুনে থাকি কিন্তু সরাসরি কোথাও যে সময় কাটে সোনা হয় না। তাই ভাবলাম ওয়াজ মাহফিলের স্থান এবং পাশের জায়গা গুলো কিভাবে সাজিয়েছে একটু দেখায় প্রয়োজন।
আমি ওয়াজ মাহফিলের জায়গাটিতে দেখার জন্য রাজি হয়ে গেলাম এবং আমি আর মারুফ সেই স্থানে ফিরতে পথে গেলাম। মাগরিবের পর লক্ষ্য করলাম অনেক মানুষের সমাগম সেখানে। রাস্তায় হাঁটার কায়দা নেই এমন অবস্থা। দেখলাম অনেক ছোট বড় বিভিন্ন প্রকার খেলনা আর মেয়েদের ব্যবহার করা দ্রব্য সামগ্রীর দোকান বসেছে। এতকিছু জিনিস আমি পূর্বে কখনো দেখিনি তাই মনমুগ্ধ হয়ে দুইজন শুধু দেখে বেড়াচ্ছিলাম। Camera device: Infinix hot 11s
আমি লক্ষ্য করেছিলাম অনেক যুবক-যুবতী মানুষ স্টল গুলোতে কেনাকাটার জন্য এসেছে। অবশ্য মেয়েরা পর্দা করে এসেছে এরপরও কেমন জানি আমার কাছে একটু খারাপ মনে হল যে এভাবে মেয়েদের চলাচল করছে না করাটাই ভালো। অনেকে এসেছে ওয়াজ মাহফিল সোনার নামে। তবে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকে হাসি আড্ডা তামাশায় আড্ডা দিয়ে বেড়াচ্ছে লক্ষ্য করেছি। যাইহোক ওদিকে কথা না বললেই ভালো। তবে বেশি ভালো লেগেছে আমার যে সমস্ত জিনিসগুলো পূর্বে দেখে নিন তেমন অনেক জিনিস দেখতে পেরেছি এখান থেকে। মারুফ তার ছেলের জন্য একটি প্লাস্টিক ট্রেন কিনেছিল। তাই তার পাশে বসে অনেক জিনিস ধরতে নাড়তে দেখতে পেরেছি। ইচ্ছে ছিল একটি লেজার লাইট নেব তবে কেমন জানি মনে হল দরকার কি খেলনা। অবশ্য দামি টা,অনেক দূর আলো যায়,৫০০ টাকা দাম। হাতে নেরে রেখে দিয়েছি লেজার লাইটটা। দেখলাম বিশেষ কোনো প্রয়োজন নেই এটার অযথা টাকা খরচ করা হবে।
এদিকে এসে আমি আর মারুফ চিংড়ি মাছের বড়া খেয়ে আর কিছু খেতে ইচ্ছে হলো না তাই ইচ্ছে মতো সমস্ত ইনস্টল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম। যেখানে ওয়াজ মাহফিল হয়েছিল সেই স্থানটা দেখলাম কিন্তু খুবই খারাপ লাগলো ছোট ছোট ইনস্টল গুলোতে শত শত লোক রয়েছে কিন্তু ওয়াজ মাহফিলের নাম করে এসে ওয়াজ মাহফিলের স্থানের লোকজন এখনো তেমন বসে নাই। আঞ্চলিক বক্তারা তখন ওয়াজ করছিল। কিছু সংখ্যক ছিলেন এর দেখেছিলাম বসে জিকির করছে। তবে কিছু আড্ডাবাজার ধান্দাবাজ টাইপের মানুষ আমার একেবারেই সহ্য হচ্ছিল না। এমনিতেই আমি মানুষের আড্ডা খানা পছন্দ করি না। দীর্ঘ দশ বছর ধরে মারুফের কাছে বলে আসছি যতদিন যাবে তত 'ধান্দাবাজ আর আড্ডাবাজ' বেড়ে চলবে। তবে বাস্তবিক তার প্রমাণ পেয়ে থাকি। মারুফ অবশ্য আমার এই কথাটা কে স্বীকার করে। ওয়াজ মাহফিলের স্থানে লোকজন নেই কিন্তু বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী স্টল গুলোতে শতশত যুবক আড্ডা দিয়ে বেড়াচ্ছে সাথে অনেক মহিলারা রয়েছে। আমি একটি দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম মারুফ কেনাকাটা করছিল এই মুহূর্তে দেখলাম একটা বেয়াদব ছেলে বেয়াদবের মত করে সিগারেট টানছে আর মেয়েদের পানে ধোয়া উড়াচ্ছে। জানিনা ওই সমস্ত মানুষ কবে নিজ স্মরণ শক্তিতে বোধগম্য হয়ে চলতে শিখবে।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আপনার পুরো পোস্টে পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপনারা দুই বন্ধু শাকসবজির বীজ কিনতে গিয়েছিলেন, সেটি আসলে অনেক ভালো একটি কাজ বর্তমান সময়ের জন্য। আর এদিক থেকে লেজার লাইট কিনতে গিয়ে আবার কেনা হয়নি, কারণ অযথা টাকা খরচ করার কি দরকার। আসলেই এরকম চিন্তা ভাবনা সবারই প্রয়োজন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার এটি একটি ভালো পন্থা। সবাই যদি অযথা টাকা খরচ না করে অর্থনীতিতে চাপও পড়বে না। অনেক ভালো ছিল সব মিলিয়ে।
সাবলীল ভাষায় এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব চমৎকার ভাষায় মন্তব্যের ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
কয়েকদিন আগে আমি ওই মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম মেলায় ঘুরতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি আপনার খুবই ভালো একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে এবং পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। আমার কাছে এরকম পোস্ট গুলো পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো ও অসাধারণ ছিল।
আশা করি এভাবেই পাশে থাকবেন ভাইজান।
ওয়াজ মাহফিল এর সাথে মেলা বসে এটা আজ প্রথম দেখলাম ভাই। এমনিতে ওয়াজ হলে আশে পাশে খাবার এর দোকান হতে দেখেছি অনেক। তবে এমন মেলা বসা এবারই প্রথম দেখলাম। মেলায় চিংড়ি মাছের বড়া খুব ভালো লাগে। স্পেশালি যদি সাথে কাচা পেয়াজ পাওয়া যায়। আপনার মেলা ভ্রমন এর অনুভুতি পড়ে ভালো লাগলো অনেক।
খুবই ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে।
মামা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বাদিয়াপাড়া ইসলামিক জলসা ভ্রমণ করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু আমিও গিয়েছিলাম রাতের বেলায় সাত তারিখে। যাইহোক সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর মেলার দোকান বসে ছিল। আসলে দিনের বেলায় গেলে হয়তো আমি আরো অনেক কিছু দেখতে পারতাম। সেখানে অনেক মানুষের ভিড় দেখতে পেয়েছিলাম আমি মামা। এত সুন্দর একটি ইসলামিক জলসা ভ্রমন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মামা।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।