নাটক রিভিউ || হাড় কিপটে || ৪৯ তম পর্ব
আজ - সোমবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৪৯ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি আজকের নাটক রিভিউ।
নাম | হাড় কিপটে |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৪৯ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @banglavisiondrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
ফজর চুমকিকে ভালোবাসে। গোল্লা দীর্ঘদিন মামা বাড়িতে বেড়াতে এসে তাদের এই প্রেম কাহিনী দেখেই যাচ্ছে। কিন্তু গোল্লা বুঝতে পারছে না তাদের এই প্রেম কাহিনীর পরিণতি কি হবে। তার কাছে বেশ খারাপ লাগে একটা কারণ তার মামা আজ পর্যন্ত ছেলেদের বিয়ে দিল না। যাদের বয়স আজ ৩০ পার হয়ে গেছে। বিয়ের কথা মুখে আনলেই তার মামা জেনো উল্টো পথে পা বাড়ায়। তাই ফজরকে বুদ্ধি দিয়েছে গোল্লা চুমকিকে তাদের নিজের গ্রামে নিয়ে যেয়ে তার সাথে বিয়ের পরিয়ে দিবে। আর এই বিষয়টা ফজর কোনমতেই তার প্রেমিকার কাছে বলতে পারছে না। সে মনে মনে ভাবছিল চুমকি বিষয়টা কেমন ভাবে নিবে তা তো ঠিক নেই। কিন্তু অতি ভয় ভয় চুমকির কাছে যখন ফজর বিষয়টা তুলে ধরল। এক কথায় চুমকি রাজি হয়ে গেল এবং গোল্লার কথাতে সে খুব খুশি হল। কারণ চুমকির ছোট বোনদের বিয়ে হচ্ছে না তার কারণে। চুমকির বাবা চায় তাকে দ্রুত বিয়ে দিয়ে দিতে যেন ছোট মেয়েদের বিয়ে দিতে পারে। কারণ চুমকির ছোট বোনগুলো বিয়ের উপযুক্ত হয়ে গেছে অনেক বছর হল। শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে চুমকি অন্য স্থানে বিয়ে করতে পারছে না। কিন্তু এমন একজনের সাথে প্রেম করেছে যার বাবা কখনোই বিয়ে দিতে রাজি নয় ছেলেদের। তাই চুমকি চাচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হোক
এদিকে কিছুদিন যেতে না যেতে আবারো হার কিপটে নজর আলীর জামাই তার বাড়িতে এসে উপস্থিত। হাড় কিপটে তার জামাইকে দেখে তো প্রচন্ড রেগে গেল। কি এত খাওয়ার জন্য তার জামাই দৌড়াতে দৌড়াতে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসে কোন কিছু না বলেই। জামাইকে কাছে ডেকে বসালো এবং কেন সে এসেছে বিষয়টা জানতে চাই। জামাই হাসি খুশি মনে তার শশুরকে বললো আব্বা আপনার মেয়ে খুশির একটা সংবাদ দিয়ে পাঠিয়েছে আপনার বাড়িতে। সে শাশুড়িকে সালাম করার জন্য শ্বশুরকে বসিয়ে রেখে শাশুড়ির উদ্দেশ্যে ঘরের দিকে চলে গেল এতে শশুর আরো রেগে যায়। নজর আলী কৃপণ চেয়েছিল তার জামাই তার কাছে কথাটা বলে দ্রুত বাড়ি থেকে বিদায় হোক।
নজর আলী কৃপণ তার বউকে খুব সুন্দর ভাবে পরামর্শ দিতে থাকে জামাইকে দ্রুত খেদানোর জন্য।এদিকে সে তার স্ত্রী কমলা বানুকে কাছে ডাকলো এবং বলল যে করে হোক জামাইকে দ্রুত বাড়ি থেকে বিদায় করো নাই অনেক চাল খরচ হবে। কিন্তু কমলা বানু বললো অনেকে জামাইকে ডেকে বাড়িতে আনতে পারে না আর জামাই বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছে এটা তো তোমার সৌভাগ্য কেন জামাইকে খেদাবো। আর এ কথা নিয়েই দুজনার মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়ে যায়।
এদিকে মজনুর ভাই বাড়িতে এসে তার দোকান থেকে খেদিয়ে দেয় এবং দোকানটা নিজে পরিচালনা করে। আগের মত আর দোকানে আড্ডাখানা চলে না যতটুক আড্ডা খানা চলে সম্পূর্ণটা টাকার উপর নির্ভর। কারণ মজনুর ভাই এতটাই কৃপণ সে দোকানে রেডিওটা ছাড়ার আগে সবার কাছে স্বীকার করে নাই তাদের অবশ্যই চা পান করতে হবে অথবা বিস্কুট খেতে হবে তার দোকান থেকে আর কোন কিছু খাওয়ার পূর্বে যেন টাকাটা পরিশোধ করে দেয়। এদিকে যারা ক্রাম বোর্ড খেলে তাদের সাথেও সে মাঝে মধ্যে বোরিক নিয়ে ঝগড়া করে থাকে। এক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন কৃপণের আগমন ঘটেছে এবং সে আবারও নতুন করে কৃপণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, দর্শক এই দেখে বেশ আনন্দিত।
এদিকে গোল্লা হঠাৎ হারাধন দত্তের বাড়িতে এসে উপস্থিত। সে হারাধন দত্তের বাড়িতে এসে লক্ষ্য করে দেখছে শিবানী কোন একজন ব্যক্তিকে জামাই আদর করে খাবার দেওয়ার মতো খাবার দিচ্ছে। গোল্লা এই অবস্থা দেখে এগিয়ে গেল তাদের ঘরের দিকে। তারপর জানতে পারলো এটা হারাধন দত্তের কোন এক শীর্ষ মিলন। শিবানী তার গায়ে বাতাস দিচ্ছে আর মিলন কলা ও মুড়ি খাচ্ছে। শিবানী যে কৃপণের কৃপণ কাউকে খেতে দিতে চায় না আর আজকে মিলনকে সে এত আদর যত্ন করছে বিষয়টা তার কাছে একটু অন্যরকম মনে হলো। গোল্লা তাদের মাঝখানে যে বসে পড়ল এবং মিলনের কাছ থেকে মুড়ি নিয়ে খাওয়া শুরু করল। গোল্লার উপস্থিতি দেখে শিবানী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠতে থাকল। হঠাৎ কথায় কথায় মিলন তাকে চিটার বাটপার এসব বলতে থাকলো। সাথে সাথে গোল্লা বুঝতে পারলো তার এমন চিটার বাটপার বলার পিছনে অবশ্যই শিবানির হাত রয়েছে। শিবানী যদি মিলনের কাছে তার নামে চিটার বাটপারি না বলে থাকে তাহলে হঠাৎ করে মিলন এসে গোল্লাকে চিটার বাটপার কিভাবে বলে। তাই বললা বুঝতে পারল মিলনের কাছে শিবানী গোল্লা নামে অনেক আবোল তাবোল বলেছে।
হাড় কিপটে নাটকের 49 তম পর্বে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি কৃপণ নজর আলীর বাড়িতে তার জামাই উপস্থিত হয়েছে। জামাইকে কিভাবে খেদাতে হয় সেই নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃপণ। সে নিজে জামাইকে খেদাতে না পারলেও স্ত্রীকে খেদানোর জন্য তাগিদ দেন। এদিকে হারাধন দত্তের বাড়িতে মিলন নামের একটি ছেলে এসে উপস্থিত। মিলন কে বেশ যত্ন করছে শিবানী। আর তার হঠাৎ এমন মানুষকে আপ্যায়ন করতে দেখে গোল্লা বুঝতে পারলো অবশ্যই এর ভেতরে নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে। এদিকে শিবানী যে মিলনের কাছে গুল্লার নামে অনেক মিথ্যে অপবাদ দিয়েছে, সেটাও বুঝতে বাকি রইল না। তবে অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি মিলন ছেলেটা এসে নতুন পর্যায় সৃষ্টি করেছে। এদিকে নজর আলীর জামাই আবারো বেড়াতে এসেছে কোন একটা কারণ সামনে রেখে। সে ক্ষেত্রে নজর আলী এবং মিলনের দারুন অভিনয় লক্ষ্য করা গেছে। হয়তো তাদের অভিনয়ের মাত্রা আরও বেড়ে চলবে সামনের পর্বগুলোতে।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার রিভিউ করা নাটকটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। নাটকটা আমার অনেক প্রিয়। তাই মাঝেমধ্যে নাটকটা দেখা হয়ে থাকতো। এখন কিন্তু অনেকদিন নাটকটা দেখা হয় না। তবে আপনাদের মাধ্যমে দেখার সুযোগ মিলে। দারুণভাবে ৪৯ তম পর্ব রিভিউ করেছেন আপনি। হ্যাঁ এ পর্বে মিলনের আবির্ভাব টা দর্শকের জন্য ভালোলাগার আর একটা বিষয়।
কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ
এরকম নাটকগুলো আমি আগে একটু বেশি দেখে থাকতাম। তবে এখন আর খুব একটা নাটক দেখা হয় না। আমি মুভি দেখতে একটু বেশি ভালোবাসি। আর তাই সময় পেলে মুভি বেশি দেখা হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে আবার নাটকও দেখার জন্য চেষ্টা করি। সুন্দর সুন্দর এবং শিক্ষনীয় নাটকগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনি যে নাটকের রিভিউ করেছেন, এটা যদিও দেখি নিই। তবে রিভিউটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আবারো দেখার সুযোগ করবেন
দেখতে দেখতে হাড় কিপটে নাটকটার ৪৯ তম পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনি একে একে সবগুলো পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে প্রত্যেকটা পর্বের মতো এই পর্বের রিভিউটা ও অসম্ভব ভালো লেগেছে। এই নাটকটা অনেক পুরনো। কিন্তু নাটকটার মধ্যে অনেক কিছু লুকিয়ে আছে। যেটা থেকে আমরা শিক্ষা অর্জন করতে পারব। এই নাটকের পরবর্তী পর্বগুলোতে কি হবে এটা জানার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকলাম।
আশা করি সমস্ত নাটক দেখবেন
হাড় কিপটে এই নাটকটির অনেক গুলো পর্ব আমি দেখেছি। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলে মোশারফ করিমের নাটক গুলো খুব দারুণ হয়ে থাকে। নাটকটি সামাজিক বাস্তবতার উপর নির্মিত। আজকের নাটকের এতো সুন্দর পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আবারো দেখার চেষ্টা করবেন
হাড় কিপটে মুভিটি আমি দেখেছি।খুবই হাস্যকর ও শিক্ষণীয়,আপনি সুন্দরভাবে নাটকের পর্বগুলো রিভিউ দিচ্ছেন।চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান এদের নাটকগুলি প্রায় দেখা হয় সময় পেলেই।ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা মুভি না নাটক আপু