আজ - মঙ্গলবার
০১ কার্তিক, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৭ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নাটক রিভিউ নিয়ে। আশা করি এই নাটকটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে যদি আমার রিভিউ পড়ে থাকেন এবং নাটকটি দেখেন। আমরা জানি হারকিপটে নাটক ১০৫ পর্ব। আজ আমি চতুর্থ পর্ব আপনাদের মাঝে রিভিউ করে তুলে ধরতে যাচ্ছি। চলুন আর দেরি না করে এখনই শুরু করি।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
🤔নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ🤔 |
নাম | হাড় কিপটে |
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | প্রথম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
নজর আলীর দুই ছেলে যখন বাড়িতে আসলো, তখন নজর আলী আর তার মেজো ছেলে বহরে মিলে বড় আর ছোট ছেলেকে পাকড়াও করলো মারধর করতে গেল। এ মুহূর্তে বড় ছেলের ফজর আলী যখন বলল তার ছোট ভাই একটা জিনিস পেয়েছে এটা শুনে তার বাপ থেমে গেল এরপর বলল জিনিসটা কি দেখি যখন তারা জিনিসটা দেখালো তারা খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ল। ছোট ছেলে তাৎক্ষণিকভাবে টাকাটা তার বাপের হাতে তুলে দিল। আর এভাবেই পেয়ারা চুরির কেস তাদের ধামাচাপা পরলো এবং তাদের বাবা তার মার কাছে বলল তাদের জন্য জানো ভাত রান্না করে।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে হারাধন কৃপণ বসে রয়েছে চা না খেয়ে তাই মজনুর দোকানদার প্রশ্ন করল সে কি চা খাওয়ার জন্য বরাদ্দ দিয়েছে সেই লোক না আসা পর্যন্ত চা খাবে না? হারাধন কৃপণ মজনু কে বলল যখন সেই লোক আসবে তখন যেন সে দুধ চিনি ছাড়া শুধু পানি তাকে ঘুটে দেয়, তাহলে অবশ্যই সেই লোক জানবে যে হারাধন চা খেয়েছে কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে সত্যিকারে সে চা খেতে পারছে। পরবর্তীতে যখন দোকান থেকে চলে যাবে তার চা বরাদ্দর টাকাটা হারাধন কৃপণ নিতে পারবে মজনু থেকে। সত্যিকারের চেয়ে হাস্যকর বিষয় আর হতে পারে না।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে নজর আগের বড় ছেলের প্রেমিকা অর্থাৎ চুমকির দেওয়া সে পাঁচ টাকা নজর আলী হাতে পাওয়ায় মেনে নিয়েছে তার হারানো টাকা ফিরে পেয়েছে ছোট ছেলে। তাই মন থেকে মেনে নিয়েছে সত্যি তার নিজের টাকাটা পাওয়া গেছে। কিন্তু তার মেজো ছেলে বহর এখনো মন থেকে মানতে পারেনি সে তার বাবাকে বোঝাচ্ছে খুব সুন্দর করে। বহরের পরামর্শ মত এ টাকা হারিয়েছিল না বরঞ্চ তার দুই কুলাঙ্গার ছাওয়াল তার পকেট থেকে টাকাটা চুরি করেছিল। বহরের পরামর্শ এটাই যে তারা যখন পেয়ারা গাছ থেকে পেয়ারা চুরি করতে পারে,অবশ্যই তার আব্বার পকেট থেকে টাকাটাও চুরি করতে পারে।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে চায়ের টাকা বরাদ্দ করা সে মুকুল আজকে চা খেতে আসেনি দীর্ঘক্ষণ রাতের চেয়ে রয়েছে হারাধন মজনুর দোকানে। এদিকে হারাধন মজনু কে বলছে তার নেশা ধরিয়ে দিয়ে আজকে চায়ের টাকা দিতে আসলো না মুকুল এটা কিন্তু ঠিক করল না যদি কেউ মজনু বলে বসলো আপনার কিসের নেশা ধারালো কাকা আপনি তো চা খান না সত্যি বলতে কি আপনি তো টাকার নেশায় পড়েছেন। মুকুলের টাকার নেশায় সত্যিই পড়েছে হারাধন তাই চা না খেয়ে সাদা পানি খেয়ে যায় আর মজনুর কাছ থেকে বরাদ্দ করা সেই টাকাটা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। যখনই মজনু সঠিক কথাগুলো বলতে থাকলো হারাধনের কাছে তখন হারাধন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে আবোল তাবোল বোঝাতে থাকলো। দীর্ঘ রাত হয়ে গেল মজনুর দোকান বন্ধ করার সময় হয়ে এসেছে এখন অন্ধকারে বাড়ি যাবে কি করে মজনু বোঝালো তার হাতে টস লাইট আছে এই আলোটা না হয় ফ্রি ফ্রি হারাধন পাবে।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে নজর আলীর দুই ছোট বড় কুলাঙ্গার ছাওয়াল আনন্দে আটখানা যেহেতু তার বাবা তাদের পেয়ারার কেস মাপ করে দিয়েছে টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়ায়। মেজো ছেলে কোন মতে মানতে পারেনি তাই রাত্রে তাদের কাছে এসে তর্ক শুরু করেছে। যাইহোক তিন ভাইয়ের ভিতর ভালোই বাকবিতন্ড চলতে থাকলো। অবশেষে বহর রাগ করে তাদের কাছ থেকে বিদায় হল। আর সমস্ত বিষয় তার বাবাকে বলে দেবে বলল।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে হাড় কিপটে নজর আলী প্রচন্ড রোদের মধ্যে ছাতা না ফুটিয়ে বোগোলের ছাতা নিয়ে বাজার থেকে ফিরছে। এমন অবস্থা থেকে এক পথচারী তাকে বলল কাকা ছাতাটা ফোটান। শুরু হয়ে গেল নজর আলীর সাথে পথচারীর বাকবিতণ্ড। নজর আলীর ভারসামতে প্রচন্ড রোদে যদি ছাতা পাঠায় সেই ছাতায় রং লেগে যাবে। পথচারী বলল তাহলে ছাতা বগলে নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার দরকার কি। নজর আলী বুঝিয়ে দিল তা যে একটা ছাতা আছে সেটা তো সে বুঝতে পারলো। এর চেয়ে হাস্যকর জনক কোন বিষয় হতে পারে না। পথচারী যথেষ্ট লজ্জাবোধ করলাম এবং অপমানিত হলো।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে নজর আলীর একমাত্র জামাই তাদের বাসায় এসেছে এবং শাশুড়ি রান্না করছে রান্নাঘরে শাশুড়ির সাথে বসে গল্প করছে। এমন দৃশ্য দেখে নজর আলীর মেজর ছেলে বহর কৃপণ হঠাৎ করে দুলাভাইকে বাড়ি চলে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। এই মুহূর্তে নজর আলীর স্ত্রী যখন বলল তুই জামাইকে খেদানোর চেষ্টা করছিস কেন? তোর বাড়িতে এক গ্লাস পানি খাবে না। তখন বহর সুন্দর করে বুঝিয়ে দিল তাদের বাড়িতে আজকে তরকারি ভালো রান্না হয়নি তাই দুলাভাইয়ের পাতে এসেই তরকারি দেওয়া যায় না। আজ বরঞ্চ দুলাভাই না খেয়ে চলে যাক। দুলাভাই তখন একটা ইয়ার্কি করে কথা বলল বহরের সাথে তার গেঞ্জির ছেঁড়া কেন। বহর তখন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো এবং দুলাভাইকে কথা শুনিয়ে বিদায় হল।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে হারাধনের ছেলে ভুবেন রান্নাঘরে গিয়ে তার বোনকে বলছে এখনো রান্না শুরু করেনি তার যে খিদে লেগে গেছে। কিন্তু হারাধনের কৃপণ মেয়ে তার দাদাকে বললো কিছুক্ষণ আগে খাওয়া-দাওয়া করে বারবার ঘুরঘুর করে বেড়াচ্ছিস কাম কাজ করিস না আবার এত খিদে লাগে কেন এই তো কিছুক্ষণ আগে পান্তা ভাত খেলি। এভাবে কিছু কথা তাদের মধ্যে চলতে থাকলে পরবর্তীতে ভূপেন তার বোনকে খুব সুন্দর করে বোঝালো সে বিয়ে করবা না করুক তার যে বিয়ে করার একান্ত প্রয়োজন সেটা যেন তার বোন মাথায় রাখে।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
হাড় কিপটে বড় আর ছোট ছেলে একটি পুকুরে গোসল করছে। তারা দুই ভাই বেশ আলাপ-আলোচনা করছে এদিকে তাদের চিন্তাধারা যেহেতু তারা তার কৃপণ বাপের সাবান দিয়ে গোসল করছে বাবা বাজার থেকে ফেরার আগেই সাবান টা খুব ভালোভাবে জায়গা মত রাখতে হবে শুকিয়ে। কিন্তু ওদিকে তার বাবা রাস্তা চলতে গিয়ে দেখে ফেলেছে। এরপর কৃপণ তাদের কাছে এসে উপস্থিত হলো পুকুর ঘাট থেকে তাদের হাত থেকে সাবান টা নিয়ে নিল। সাবান টা চিকন ও ক্ষয় করে ফেলেছে বলে আহাজারিতে আটখানা হয়ে পড়ল। তারা দুই ভাই বলতে লাগল সেই তিন মাস আগে সাবান দিয়ে গোসল করেছে তাই তাদের মাথায় ময়লা হয়েছে বলে সাবানটা এনেছে আর এর পূর্বে কোনদিন তারা সাবান ব্যবহার করেনি। এদিকে কৃপণ এতটাই কষ্ট পেল সাবানটা ক্ষয় হওয়া দেখে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
হারকিপো নাটকটা আমার অতি প্রিয় তাই তো সমস্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে রিভিউ করে উপস্থাপন করব এই চিন্তা ধারাকে সামনে রেখেই উপস্থিত হয়েছি প্রথম থেকেই। আজকের চতুর্থ পর্ব আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম যেখানে লক্ষ্য করা গেল হারকিপটে তার দুইটি কুলাঙ্গার ছাওয়ালকে সামান্য পাঁচ টাকাটা পাওয়ার কারণে পেয়ারা ছুরির বিষয়টা মাপ করে দিল এবং তার স্ত্রীকে বলে দিল তাদের জন্য ভাত রান্না করা হোক। এটাই বোঝা গেল হাড় কিপটে এতটাই কিপটে সামান্য তার ছেলেদের প্রতি সন্দেহ করেই ভাত খাওয়ার বিষয়টা বন্ধ করিয়ে দেয় মাঝখানে ভোগান্তির শিকার হতে হয় পরিবারকে। ওদিকে হারাধন দোকানে গিয়ে শুধু চায়ের পানি খেয়ে আসে কিন্তু দুধ চিনি ছাড়া তাই টাকা দিতে হয় না বরঞ্চ এই দৃশ্য দেখেই মুকুল নামের একজন তার জন্য টাকা বরাদ্দ দিয়েছে চা খাওয়ার জন্য কিন্তু দেখা যায় মজনুর কাছ থেকে হারাধন টাকাটা নিতে চাই কিন্তু চা খেতে চায় না। এখানে দ্বিতীয় কৃপণের কৃপণতার প্রকাশ পেয়েছে। নাটকটা এত সুন্দর ভাবে দুটি কৃপণ পরিবারকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে যা না দেখলে হাজার রিভিউ করে তার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আশা করি লিংক আপনাদের জন্য দিয়ে দিচ্ছি খুব সুন্দর ভাবে ধৈর্য সহকারে নাটকটা আপনারা উপভোগ করবেন। আরো নাটকটা আমার অতি প্রিয়।
৮.৭৫/১০
হাড় কিপটে নাটকটি দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। কেননা এই নাটকটি দেখলেই শুধু হাসি পায়। যখন কৃপণ তার ছেলেদের সাবান মাখতে দেখে তখন যে অভিনয়টা করে সেটা মনে হলেই হাসি পেয়ে যায়। আপনার আজকের শেয়ার করা পোস্টটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই নাটকটির কিছু পর্ব আমি দেখেছিলাম আমার কাছে খুবই হাসির লেগেছিল। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন ভাইয়া। হাড় কিপটে এই নাটকটা খুবই পপুলার। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
নাটকটা বেশ হাস্যকর,চাইলে আরো দেখতে পারেন
ভাই এ নাটকে প্রতিটা পর্ব আমি দেখেছি নাটকগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এত চমৎকার একটা নাটক এর আগে আমি কখনো দেখিনি এত সুন্দর কেন নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই একবার দেখলে মন ভরেনা তাই বারবার দেখা উচিত এই নাটক