কুসুরের গুড় ও বেলের সমন্বয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি শরবত || প্রতিযোগিতা-১৫ ||
আজ - বুধবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছে আজকের নতুন একটি ইউনিক পোস্ট।
মাহে রমজানের সুন্দর গরমের দিনে আমার বাংলা ব্লগ কর্তৃক আয়োজিত জুস অথবা শরবত বানানোর কনটেস্ট। আমি এই কনটেস্টে সবার মত অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত। তাই আপনাদের মাঝে এই কনটেস্ট উপলক্ষে পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি। বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে আপনাদেরকে শরবত তৈরি করে দেখাতে যাচ্ছি। যেহেতু গরমের দিন বেলের শরবত সকলের জন্য বেশি উপযুক্ত, তাই মনে করলাম আপনাদের মাঝে অন্যান্যদের মত বেলের শরবত তৈরি করে দেখাবো। গরমের দিনে বেলের শরবত খেলে শরীর সুস্থ থাকে, রোদ লাগা থেকে বিরত থাকে। শরীরের দুর্বলতা কাটে, মাথা ধরা মাথা ব্যথা দূর হয়, শরীরে এনার্জি বাড়ে। বেলের শরবত এ আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। যা সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য একান্তই প্রয়োজন। বেল শুধু নরমাল ফল নয় একপ্রকার মহা ঔষধ বললেই চলে গ্রামের মানুষ যখন হোমিওপ্যাথি ঔষধ ছিলনা তখন বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য বেল ব্যবহার করতেন। তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলুন কার্যক্রম শুরু করা যাক।
ক্রমিক নং | নাম | পিচ |
---|---|---|
১ | বেল | একটি |
২ | লেবু | দুইটি |
৩ | কুসুরের গুড় | এক পোয়া |
৪ | পানি | দুই লিটার |
৫ | ক্ষীর খেজুর | চার পিস |
৬ | লবণ | পরিমাণমতো |
বেল,লেবু, কুসুরের গুড়ের, ক্ষীর খাজুর সহ সমস্ত উপাদান সংগ্রহ করে শরবত তৈরি করার জন্য রেডি হলাম।
নির্দিষ্ট পরিমান টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ পানি একটি গামলায় রেখে তারমধ্যে কুসুরের গুড় ঢেলে দিলাম।
এবার পানি এবং কুসুরের গুড়গুলো একসাথে সুন্দর ভাবে মিক্সার করলাম।
মিক্সার হয়ে গেলে একটি ছাকনি দিয়ে তা ভালোভাবে ছেঁকে নিলাম, কারণ গুড়ের মধ্যে অনেক ময়লা থাকে।
এবার লেবু দুইটি ভালো করে চিরে নিলাম। যেন আংগুলের দ্বারা খুব সহজ লেবুর রস শরবতের উপাদানগুলো এর মধ্যে দেওয়া যেতে পারে।
গুড় মিশ্রিত পানির মধ্যে লেবুর এবং খির খেজুর সুন্দর করে চিপে রস বের করে দিলাম।
এবার গাছ পাকা বেলটিকে ভালো করে ভেঙে দিলাম।
একটি ছোট চামোচ দ্বারা বেল এর মধ্য থেকে খণ্ড-খণ্ড করে বেলের ভেতরের অংশ বের করে নিলাম।
এবার বেলের সেই উপাদান চামচ দিয়ে মিশ্রিত উপাদানের মধ্যে দিয়ে দিলাম এবং হাতের মাধ্যমে ভালোভাবে পানির মধ্যে মিক্স করে দিলাম। কিছুক্ষণ সময় ধরে সমস্ত উপাদান ভালোভাবে মিক্স করার পরে, বেলের আঁশযুক্ত শিরা, আঁটি এগুলো আলাদা করে বের করে দিলাম।
সবকিছু সুন্দরভাবে মিক্সট হয়ে গেলে, যাবতীয় কার্যক্রম সমাপ্ত হওয়ার আগে নির্দিষ্ট পরিমাণে লবণ দিয়ে পুনরায় মিক্সচার করে দিলাম। এরপর খাওয়ার উপযোগী হলে শরবত গুলো একটি পাত্রের মধ্যে রাখলাম।
বেলের শরবত তৈরি হওয়ার পর গ্লাসে গ্লাসে ঢেলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বন্টন করলাম। সবাই আমার হাতে তৈরি শরবত খেয়ে খুবই আনন্দবোধ করল। এর সাথে বিভিন্ন প্রকার প্রশংসা করল। আর এরই মধ্য দিয়ে আমার শরবত বানানোর কার্যক্রমের সমাপ্ত হল।
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।
💖আমার পরিচয়💖
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)@sumon09
বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করে,চাকরি প্রত্যাশায় বেকার-স্টাডিতে! নিয়োজিত। তবে মড়কাবাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক হিসাবে জয়েন করেছি। এছাড়াও ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। বাংলার স্টুডেন্ট হওয়াই,রূপ রস ছন্দ অলংকার সম্মিলিত কবিতা লেখা যথেষ্ট পারদর্শী কিন্তু লেখার প্রয়োজন বোধ করি না। পূর্বে চর্চা করতাম এখন ছেড়ে দিয়েছিলাম, তবে বর্তমান আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে কবিতা লেখার সুযোগ থাকায় পুনরায় শুরু করেছে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
💖💞💞💖
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি খুব সুন্দর ভাবে শরবত রেসিপি বানিয়েছেন ভাই। আপনার বানানোর শরবত এর ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। রেসিপি বানানোর পদ্ধতি গুলো সুন্দর ভাবে দেখানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল ভাই।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আশাকরি এভাবেই পাশে থাকবেন।
কুসুরের গুড় ও বেলের শরবত এর কোন তুলনা হয় না । এই গরমের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। ধাপগুলো আপনি খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আখের গুড় ও বেল দিয়ে খুব সুন্দর করে শরবত তৈরি করেছেন। এই ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতিতে শরবত তৈরি খেতে অনেক ভালো লাগে। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম।
দারুন একটি শরবতের রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। বেলের শরবত এমনিতেই খুব সুস্বাদু হয় তার সাথে আবার কুসুরের গুড় দিয়ে তৈরি করেছেন আপনি। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
অনেক ইউনিক একটি শরবতের রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আর এটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি।কুসুরের গুড় ও বেলের শরবত এর আগে কখনো এভাবে বানাতে শুনিনাই। তবে আপনার কাছ থেকে প্রথম দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার ছবিটা খুবই ভালো হয়েছে। ছবিতে শরবত খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
যথেষ্ট সাদ হয়েছিল। আপনিও চেষ্টা করতে পারেন ভাইয়া।
আখের গুড় ব্যবহার করলে কালারটা ভালো আসেনা কিন্তু এটা খুবই উপকারী। গরমের দিনে আখের গুড় দিয়ে বেলের শরবত এর মত খাবারের তুলনা হয়না। ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটির জন্য
আপনিও চেষ্টা করতে পারেন ভাইয়া এমন সুন্দর শরবত বানানোর জন্য।
আপনার এই বেলের শরবত আমি আমাদের মেলায় দেখেছিলাম তবে আজকে আপনার কাছে বেলের শরবত রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এটা আমাকেও একবাএ ট্রাই করতে হবে। অনেক ভালো লাগলো আপনার তৈরি শরবত।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বেলের শরবত, আর আমি যেভাবে প্রস্তুত করেছি তা পুরা গ্রাম্য টাইপের।
অসাধারণ একটি পরবত রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া, কুসুরের গুড় ও বেলের সমন্বয়ে অনেক সুন্দর করে শরবত তৈরি করেছেন, আপনার শরবত তৈরি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আখের গুড় ও বেলের সমন্বয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা শরবতটি দারুন হয়েছে ভাইয়া। বেলের শরবত এর আগে অনেক খেয়েছি কিন্তু কখনো এভাবে আখের গুড়, লেবু, ক্ষীর খেজুর দিয়ে বেলের শরবত খাওয়া হয়নি। আপনার শরবত এর রেসিপি টা সত্যিই আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।