শৈশবের স্মৃতিচারণ
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো @ДℳДЯᏰДИᎶℓДᏰℓøᎶ
আশা করি সকলে ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। সকলে সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন সেই কামনা করি এবং সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমিও যেন সবসময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি। সকলের প্রতি অবিরাম ভালোবাসা এবং অনেক অনেক প্রীতি এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগিং। আমি আজকে আবারও আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়ে গেলাম আমার শৈশব বেলার মাছ ধরার কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আজকে সরকারি ছুটির দিন। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরে সকালে নাস্তা করি এবং রুমের ভেতরে একলা একলাই বসে থাকি। কোন কিছু করতে ভালো লাগছিল না আমার কিংবা কোন কাজে মনোযোগ আসছিল না। কেমন জানি মনের ভেতর একটা অশান্তি ভাব বিরাজ করছিল এবং খুব ছোটবেলার কথা মনে পড়ছিল।
বেশ কয়দিন আগে ছোটবেলার আমি ঘুড়ি উড়ানো নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করি। সকালবেলা দেশের বাড়িতে ফোন দেওয়ার পরে জানতে পারলাম যে আমাদের এলাকায় দীর্ঘদিন উষ্ণ আবহাওয়ার পরে এখন পুরো বিল জুড়ে প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ার কারণে বন্যা সৃষ্টি হচ্ছে ধীরে ধীরে। এবং সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হয়ে গেল যে এই বৃষ্টির মধ্যে যদি কিংবা এই বন্যার ভেতরে যদি আমি আমার দেশের বাড়িতে থাকতাম তাহলে কত মজা করে দেশের বাড়িতে মাছ ধরতে পারতাম।!!!
ছেলেবেলার মাছ ধরার গল্প আমাকে এখনো আকর্ষিত করে। সকাল হতে না হতেই বর্ষী এবং কিছু আটা নিয়ে চলে যেতাম মাছ ধরার জন্য। এই মাছ ধরতে অনেক অনেক ভালো লাগলো আমার। বিশেষ করে শৈশবে এমন কোন ছেলে কিংবা মেয়ে নেই যে বলতে পারবেনা সে মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করে নাই। প্রত্যেকটি শৈশবের স্মৃতিতে জড়িয়ে রয়েছে মাছ ধরার এক অসাধারণ গল্প। যে সকল গল্পগুলো আমরা প্রতিনিয়ত এখন অনেক অনেক মিস করি।
বড়শি নিয়ে যাওয়ার পর বসে থাকতাম মাছ ধরার জন্য। যদিও মাছ ধরাটা কোন উদ্দেশ্য ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা এবং তার পাশাপাশি কিছুটা উপভোগ করার জন্য।
সারাদিন মাছ ধরার পর হয়তো দেখা যেত একটি কিংবা দুইটি পুঁথি মাছ পাই। এখানে যে আমরা এত পরিশ্রম করলাম সেই পরিশ্রমের ফল মাত্র একটা মাছ। তারপরেও এ নিয়ে কোন অভিযোগ ছিল না কিংবা মন খারাপ হতো না। ওই একটা মাছ নিয়ে বাসায় চলে আসতাম এবং মাকে দিয়ে বলতাম এই মাছ রান্না করার জন্য।
তবে মা এই ছোট্ট একটা পুটি মাছ দেখে অনেক অনেক বকাবকি করত এবং বলতো সারাদিন নাই খাওয়া নাই গোসল এগুলোই করে সময় পার করলি?? বড় কবে হবি আর কবে বুঝবি এই নিয়ে মায়ের অনেক অনেক মাথা ব্যথা ছিল
তবে সেই সময় আসলে বন্ধুদের সঙ্গে যে মাছ ধরার আনন্দ সেটা শুধুমাত্র উপভোগ করতাম। মাছ আসলে কয়টা পাব সে বিষয় নিয়ে কোন মাথা ব্যথা ছিল না।
মাছ ধরতে ধরতে যে কখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে বলতে পারিনা। যখন চারিদিকে ঘর অন্ধকার নেমে আসতো তখন চলে যেতাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
তাছাড়াও এই মাছ ধরার জন্য কত পাট ক্ষেতের ভিতরে গিয়ে বড় বড় বললা 🐲 এর কামড় খাইছি তার কোন হিসাব নাই। মাছি গুলো কামড় দিয়ে চোখ ফুলিয়ে দিত। তারপরেও সেই কষ্ট কখনো মনে রাখতাম না শুধুমাত্র মাছ ধরার আনন্দ নিতে পারব বলে।
আসলেই শৈশবটা ছিল অনেক চমৎকার যে শৈশব আর কখনোই ফিরে পাবো না। তবে যখনি একা থাকি কিংবা মনটা খারাপ থাকে তখন শুধু শৈশবের সেই পুরনো দিনগুলো মনে পড়ে যায়। ইস যদি আবার সেই শৈশবে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। তবে এখন আর সেই সুযোগ নাই। তবে আপনাদের মাধ্যমে আমার শৈশবের এই পোস্ট শেয়ার করতে পেরে অনেক অনেক আনন্দ লাগছে। মনের ভেতর কিছুটা হলেও ভালো লাগা কাজ করছে।
ভাইয়া আজকে আপনি আপনাদের শৈশবকালের কোন স্মৃতি বিজড়িত ধারুন একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করলেন। আমার মনে হয় সাধারনত ৮০% মানুষের শৈশব এমন ভাবেই কাটে। আপনার পোষ্টটি পরে আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই। প্রতিটি শিশুর শৈশবকাল কাটে মাছ ধরা ঘুড়ি ওড়ানো এবং বন্ধুদের সাথে খেলার মাধ্যমে।
আর সে সকল মুহূর্তগুলো আমি প্রতিনিয়ত অনেক অনেক মিস করি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য
ছোটবেলায় ভাই আমিও পুটি মাছ ধরতাম আপনার পোস্টটা পড়ার পরে আসলেই ছোটবেলার কথা অনেক মনে পড়ছিল খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনি আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক মোটিভেশন পেলাম আপনার পোস্ট থেকে। ধন্যবাদ আপনাকে