কিশোর হান্নানের অপূর্ণ স্বপ্ন (চতুর্থ পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সেদিন আর তার এতো টাকা ইনকাম হয় না। সেদিন মাত্র চার পাঁচশ টাকা ইনকাম হয়। তখন হান্নান বুঝতে পারে প্রতিদিন এতো টাকা ইনকাম হবে না। তবে গড়ে যে টাকা ইনকাম হচ্ছে সে তাতেই খুশি। কয়েকদিন রিকশা চালানোর পরে কিছু টাকা হান্নান তার বাড়িতে পাঠায়। সেই টাকা দিয়ে হান্নানের মা বাজার করে নিজেরা চলতে থাকে। এদিকে শহরে এসে হান্নান সবকিছু দেখে অবাক হয়ে যায়। বড় বড় বিল্ডিং, সুন্দর সুন্দর সব গাড়ি, চমৎকার রাস্তাঘাট সে যতই দেখে ততই মুগ্ধ হয়। তবে সেই সাথে খারাপ লাগাও তার ভিতরে কাজ করে। সে খেয়াল করে দেখেছে শহরের মানুষের ব্যবহার খুব খারাপ।

Black and Gold Fancy New Year Card_20240908_103516_0000.png

বেশিরভাগ মানুষই গরীব মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না। যাইহোক তারপরেও হান্নান রাত দিন পরিশ্রম করতে থাকে। তবে প্রচন্ড গরমের ভেতর রিকশা চালাতে হান্নানের খুব কষ্ট হয়। একদিন হান্নান রিকশা চালাতে চালাতে ক্লান্ত হয়ে গেলে রাস্তার পাশে একটা চায়ের দোকানে বসে একটু বিশ্রাম নেয়ার জন্য। তখন কথায় কথায় সেই চা দোকানদার তাকে জানায় সেও একসময় রিক্সা চালাতো। তারপর টাকা পয়সা জোগাড় করে সে এই দোকান শুরু করেছে। এখন তার ইনকাম অনেক ভালো। আবার রিক্সা চালানোর মতো এতটা কষ্ট করতে হয় না।

হান্নান তখন সেই লোকের কাছ থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব কিছু জিজ্ঞেস করতে থাকে। পরবর্তীতে হান্নান মনে মনে একটা হিসাব করে। তারপর সে রাত দিন দোকান করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকে। খুব পরিশ্রম করে রিক্সা চালাতে থাকে। তার আয়ের থেকে কিছু টাকা সে তার বাড়িতে পাঠায়। বাদবাকি টাকা সে জমাতে থাকে। হান্নান পরিকল্পনা করেছে সে দোকান দিতে পারলে। যদি দোকানটা ভালো চলে। তাহলে সে পরিবারের সবাইকে শহরে নিয়ে আসবে। দোকান করার স্বপ্নে হান্নানের পরিশ্রম করা আরো বেড়ে যায়। (চলবে)


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.32
JST 0.050
BTC 99922.35
ETH 3986.90
SBD 4.08