প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আমি @srshelly0399
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জে অবস্থান করছি ।
টাইটেল আর ছবি দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আজকে আমি কি নিয়ে পোস্ট করতে চলেছি। অনেকদিন হলো গ্রামে যাওয়া হয় না। কিন্তু কিছুদিন হল আম্মু গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় আমাদেরও যেতে ইচ্ছে করছিল। দিদিকে আমার মেজ বোনের প্রাইভেট ছিল তাই যেতে পারছিলাম না। একদিন ছুটি দেখে ভাবলাম এইতো ছুটির দিন পেয়েছি। আমি আমার সব টিউশনি শেষ করে, দুই বোন মিলে রওনা দেই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে। রাস্তায় প্রচন্ড ঠান্ডা যেহেতু আমাদের যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছিল। ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে দুপাশে ধানের ক্ষেত মাঝখানে রাস্তা খুবই দারুন লাগছিল। বাড়িতে পৌঁছে খাবার-দাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি সবাই শুয়ে পড়লো। গ্রামের সবাই খুব তাড়াতাড়ি ঘুমায় কারণ সারাদিন তারা অনেক কাজ করে। অনেকদিন পর বাড়িতে এসে খুব ভোরে জায়গা পেলাম সূর্য তো ওঠেনি রাতের আধারও শেষ হয়নি। যাক অনেকদিন পর গ্রামের সকাল দেখার সুযোগ মিললো। ভাবলাম আপনাদের মাঝেও তুলে ধরি।
ফটোগ্রাফি🖼️ -১👇
অবস্থান
ঘুম থেকে উঠে একটু বাহিরে গেলাম হাটাহাটি করতে এবং দেখতে শীত কেমন পড়েছে। আমাদের বাড়ির সামনে একটা পুকুর আছে, পুকুরের ধারে গিয়ে দেখলাম আজ এত পরিমান কুয়াশা পড়েছে যে ওই পাশের কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পুকুর ধারে মানুষের হাঁটাচলা, সবার যাওয়া আসা কিছুই যেন দেখা যাচ্ছে না, চারপাশ একদম কুয়াশায় ছেয়ে গেছে। অনেকদিন পর এরকম দৃশ্য দেখার সুযোগ মিললো।
ফটোগ্রাফি🖼️ -২👇
অবস্থান
একদম পুকুরের ধারে গেলাম। পুকুরের এই পাশের গাছপালা সবুজ অথচ অন্যপাশের ধূসর রং এর সব কিছু। কোনটা পুকুরের পানি আর কোনটা পুকুর ধারের গাছের রং কিছুই বোঝার উপায় নেই। কিন্তু দেখতে আমার খুবই মজা লাগছিল।
ফটোগ্রাফি🖼️ -৩👇
অবস্থান
ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম আম কাঁঠাল গাছে নতুন করে গাছের পাতা জন্মাচ্ছে। সকাল সকাল এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশের অনুভূতি সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এই প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছিল। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে আমার দাদাভাই বললো পুকুরে অনেকদিন হল মাছ তোলা হয় না। তোর বাবাকে বল মাছ ধরতে। দেখতো মাছগুলো বড় হয়েছে কিনা অনেকদিন আগে পুকুরে ছেড়েছিলাম। যেই বলা সেই কাজ দৌড়ে গিয়ে বাবাকে ডেকে তুলে দিলাম। বাবাও চলে আসলো মাছ ধরতে।
ফটোগ্রাফি🖼️-৪👇
অবস্থান
দুই থেকে তিনবার জাল ফেলতেই দেখলাম হরেক রকমের মাছ। ছোট ছোট মোয়া মাছ, বড় বড় তেলাপিয়া, আবার দেখি শিং মাছও আছে,সাথে গ্লাস কার্প মাছ আছে । বেশি ধরেনি। কয়েকটা নিয়ে চলে গেলাম আম্মুর কাছে।
ফটোগ্রাফি🖼️ -৫👇
অবস্থান
আম্মুর কাছে গিয়ে দেখি আম্মু ধান সেদ্ধ করার এখানে। অনেকদিন পর দেখলাম ধান সিদ্ধ করা। গ্রামে এভাবেই ধান সিদ্ধ করে, রোদে শুকিয়ে তারপর চাউলে রূপান্তর করা হয়। আমরা চাল বাজার থেকে কিনে এনে রান্না করে খাই বা কেউ গ্রাম থেকে কিনে নিয়ে আসে খায়, কিন্তু এর পিছনে যে কি পরিমান কষ্ট, শ্রম আছে কেউ বুঝতে পারিনা। আমার আম্মুর সেই ভোর থেকে ধান সিদ্ধ করার এখানে আছে। মাছগুলো দেখিয়ে বললাম কি করা যায়। বলল তোর দাদি তো অসুস্থ প্রায়, তুই গিয়ে মাছগুলো কেটে ফেল। অনেকদিন হলো মাছ কাটিও না। এরকম টাটকা মাছ কাঁটতেও ভালো লাগে। চলে গেলাম বাড়িতে। একে একে সবগুলো মাছ কেটে ধুয়ে রেখে দিলাম। কিছুক্ষণ পর আমার মেজো বোন ঘুম থেকে উঠে এসে বলছে তার নাকি একটা প্রাইভেট এ পরীক্ষা নিবে। সকালে নাকি স্যার ফোন দিয়ে যেতে বলেছে। অগত্যা কি করার, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে দুই বোন আবার শহরের দিকে ছুটলাম।
ফটোগ্রাফি🖼️ -৬👇
অবস্থান
বাড়ি থেকে চলে আসার সময় হালকা সূর্যের আলো উঁকি দিচ্ছে। কি অপরূপ দৃশ্য, কৃষকেরা ধান ক্ষেত কেটে বাড়িতে তুলেছে। কিছুদিন পর নবান্ন উৎসব হবে, বাড়িতে বাড়িতে নতুন ধানের পিঠে। এই প্রকৃতি ছেড়ে চলে আসতেও ইচ্ছা করছিল না। কি আর করার নিরুপায় হয়ে চলে আসলাম শহরে।
এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি আবার অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
এখন শীতের সময় চলে এসেছে। নতুন গাছে নতুন পাতা। ফসলের মাঠে ফসল পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা। অনেকে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া। আবার অনেকে পাকা ধান সিদ্ধ করছেন। চারিপাশে কুয়াশা ঘিরে এসেছে। আর এভাবেই সুন্দর মনোরম পরিবেশ শীতের। হালকা হালকা শীত অনুভব বেশ কিছুদিন ধরে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দেখতে দেখতে শীতের সময় চলে এসেছে। সকাল বেলায় বেশ ভালোই ঠান্ডা পড়ছে। এই মুহূর্তে আমাদের অনেক কিছু মেনে চলতে হবে। আপনি শীতের সকালের সুন্দর কিছু ফটো ধারণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বিশেষ করে গ্রামীন পর্যায় গুলো অনেক ভালো লাগে শীতের সময়ে।
অনেকদিন পরে গ্রামীণ শীতের সকাল দেখে অনেক উৎফুল্ল হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। গ্রামীন শীতের কুয়াশা প্রকৃতি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
https://x.com/JannatulF57996/status/1860009655671620063?t=nBd8bsLHYED-3COaS5qeFw&s=19
শীতের সকালে গ্রামের এরকম পরিবেশ দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেকদিন পর গ্রামের এই পরিবেশ দেখে উচ্ছ্বাসিত হয়েছেন। শীতের সকালের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এবার আমিও শীতের সকাল উপভোগ করেছি মাত্র একদিন। সেই শীতের সকালে এতটাই সুন্দর ছিল। সেই অনুভূতিটাই অন্যরকম নিজের গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে যাচ্ছেন শীতের সকালে ভালোলাগার বিষয়। আমাদের সাথে শীতের সকাল উপভোগ করার পাশাপাশি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শীতকালে গ্ৰাম এলাকার সৌন্দর্য অনেক টা বৃদ্ধি পায়। চারদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দৃশ্য গুলো আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে মাঠ ঘাটের সৌন্দর্য গুলো মানুষ কে অনেক বেশি আকৃষ্ট করে তোলে। শীতকাল মানেই এক নতুন সৌন্দর্যের আগমন।
শীতের সকালে গ্রামের পরিবেশ দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনি গ্রামের পরিবেশের সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন অসাধারণ ছিল ফটোগ্রাফি গুলো।