নবমীর ঘোরাঘুরি||শেরপুরের পুজা দেখা
এই মন খারাপ ভাব কাটাতে বেরিয়ে পড়লাম ভাইদের সাথে নিয়ে।আমার মতে বগুড়া জেলার মাঝে সব থেকে ভাল পুজা হয় শেরপুর থানায়।যেহেতু বর্তমান ঠিকানা থেকে শেরপুর খুব কাছেই তাই আজকের গন্তব্য ঠিক করলাম শেরপুর।
চার ভাই মিলে সিএনজি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম।কিন্তু একটু পড়েই বাধল বিপত্তি।শুরু হল প্রবল বৃষ্টি।আমি সিএনজির সামনে দিকে বসে ছিলাম তাই আমার একদিক পুরাই ভিযে গেল।সিএনজি থেকে নামার পর দেখি আমার শার্টের একপাশের রং গাঢ় আরেক পাশের রঙ হালকা।
বাস স্ট্যান্ড থেকে একটু সামনে রাজধানী পুজামন্ডপ।এই মন্ডপের পুজার স্টাইল টা বেশ লেগেছে।
থিমঃকোন থিম নেই
লোকেশনঃশেরপুর বাস স্ট্যান্ড
সুন্দর ভাবে রাস্তার ২পাশ এবং উপরে সামিয়ানা দিয়ে ঘেরা।সামিয়ানা দেখে আপনি হয়ত ভাববেন সামিয়ানার শেষে প্রতিমা কিন্তু দেখবেন সামিয়ানার শেষে প্রতিমা নেই।কারন প্রতিমা রাখা আছে শামিয়ানারা ভেতরে গুহার মত করে।
পরের মন্দিরঃদক্ষিণ সাহাপাড়া।
থিমঃকোন থিম নেই
মন্দিরটি সামিয়ানা ও বাশ দিয়ে তোড়ণ এর মত করে বানানো হয়েছে।
এরপর আমরা চলে গেলাম শেরপুর টাউন বারোয়ারী মন্দিরে।এই মন্দিরের পুজা বেশ বিখ্যাত।এরা প্রতিবারই নতুন কিছু না কিছু চেষ্টা করে।এবার লাইটিং এর পাশাপাশি মন্দিরের বাইরের সব কিছু ককশিট বা শোলা দিয়ে বানানো।মন্দিরের ভেতর মায়ের প্রতিমার আশেপাশে কৃত্রিম ফুল দিয়ে সুন্দর ভাবে সাজানো।
এরপর এখানে থেকে চলে গেলাম পূবালী সংঘের পুজা দেখতে।আমার কাছে সব থেকে জাকজমক লেগেছে এই পূবালী সঙ্ঘের পুজা।
থিমঃকুড়েঘর,
আমাদের অতীতে মানুষ কুড়ে ঘরেই বাস করত।তখন ইট কাঠ টিনের জঙ্গল ছিল না।সেই অতীত কে আবার সবার মাঝে ফিরিয়ে আনার জন্য পূবালী সঙ্ঘের এই উদ্যোগ।তার খড়ের বদলে খড়ের মত কাঠ ব্যবহার করেছে।
লোকেশনঃপূবালি সঙ্ঘ
এরপর এখান থেকে যাই আনন্দ আশ্রম এর পুজা দেখতে।আনন্দ আশ্রম এর পুজা টা বেশ ভাল হয়েছে। লাইটিং অনেক সুন্দর হয়েছে।কোন থিম নেই।মায়ের প্রতিমাও অনেক সুন্দর হয়েছে
শেরপুর একসাথে অল্প দূরত্বে প্রায় ১৫-২০টি পুজা হয়।রাত যত গভীর হয় পুজার মজা তত বাড়তে থাকে।মানুষের আনাগোনা বাড়ে।এখানে রিক্সা বা টোটো নিয়ে পুজা দেখে মজা পাবেন না।আপনাকে পায়ে হেটে দেখতে হবে।উত্তরবঙ্গের মধ্যে অন্যতম সেরা পুজা হয় এখানে।বেশিরভাগ পুজার ছবি গুলো দিলাম না। কারন সেগুলো প্রায় পারিবারিক পুজা।আর ভিড়ের জন্য ভাল মত ছবি তুলতে পারি নি।এরপর সব পুজা দেখে বাড়ি ফিরেছি প্রায় রাত ৩টায়।অনেক মজা হয়েছে।
![IMG_20221004_201935.jpg]()ফটোগ্রাফার | বৃত্ত |
---|---|
ডিভাইস | poco x2 |
লোকেশন | শেরপুর |
মন ভালো করতে গিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন চার ভাই মিলে। তবে বৃষ্টির কবলে পড়ে বিপত্তি ঘটলো অন্যরকম। তবুও থেমেছিলেন না ঘুরে বেড়িয়েছেন শেরপুরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ। এবং খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে। খুবই ভালো লাগলো, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যে জন্য।আপনার জন্যেও রইল শুভ কামনা
শুভ বিজয়া ভাই। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটা প্যান্ডেলের ঠাকুর দেখলাম। আপনি যথেষ্ট ঘোরাঘুরি এবং যথেষ্ট কষ্ট করে ফটোগুলো তুলেছেন। সবগুলো দুর্গা প্রতিমাই খুব অসাধারণ ছিল।
আপনার পূজো নিয়ে প্রত্যেকটা পোস্ট আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমিও এই প্রথমবার পুজো দেখতে গিয়েছিলাম তাও নবমীর দিনে। আপনি তো দেখছি প্রায় অনেক জায়গায় পুজো দেখেছেন। প্রতিটা জায়গার পুজো খুবই সুন্দর। আর প্রত্যেকটা খুবই সুন্দর করে সাজানো।