মাছ বাজার
মাসে অন্তত এক থেকে দুবার মাছ বাজারে যাওয়া হয়। তাও আমি নিজে নিজে একা কখনো যাওয়ার সাহস করে উঠতে পারিনা, মূলত মাছ বাজারে গেলে আমার সঙ্গে সঙ্গী হয়ে যায় গিন্নি। এর অবশ্য কারণ আছে, কেননা বিগত সময়ে যতবারই আমি একা মাছ কিনেছি, ততবারই বাসায় এসে আমার উপর দিয়ে কিছুটা ঝড় তুফান গিয়েছে।
এজন্যই এখন মাছ বাজারে গেলে, সঙ্গে গিন্নিকে নিয়ে যাই। যাতে আর বাসায় ঝামেলা না হয়। সবকিছুর যে দাম, তা নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার নেই যদি। কবে যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে তাও বলা মুশকিল।
কোন কিছুর ছবি তুলতে তো আর পয়সা লাগে না, তাই মোটামুটি ফ্রিতেই ছবি তোলা যায়। সেদিন যখন মাছ বাজারে গিয়েছিলাম, তখন ঘুরে ঘুরে দেখার চেষ্টা করছিলাম পুরো মাছ বাজার। মাছ বিক্রিতাদের কাছে হরেক রকমের মাছের সমাহার। প্রতিটি মাছের দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম আর টুকটাক দাম শোনা আর ছবি তোলার চেষ্টা করছিলাম।
যে মাছটা একটু পছন্দ হয় তার অগ্নিঝরা দাম শুনে যেন আমার মুখ থেকে কথা বের হয় না। শুরুতে প্রথম দিকে যেও টুকটাক একটু কথা দোকানদারদের সঙ্গে বলেছিলাম , পরের দিকে গিয়ে তেমন তার কথা বলাই হয়নি। শুধু শুধু মুঠোফোনের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে ছিলাম।
পুকুর, নদী, বিল কিংবা সামুদ্রিক অনেক মাছ উঠেছিল বাজারে। ক্রেতা যেমন ছিল তেমনটা আমার মত দর্শনার্থীও ঘুরে ঘুরে দেখছিল মাছগুলো। শুরুতে ভেবেছিলাম বড় মাছ কিনব, তবে পরের দিকে গিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন। ছোট মাছ কিনতে হয়েছে, তবে ছোট মাছের দাম মনে হচ্ছিল যেন আরও বেশি।
টেংরা, পাবদা, পুঁটি ও মলা-ঢেলা মাছ অবশেষে কিনেছিলাম আর সঙ্গে বাকি মাছগুলোর ছবি তুলে নিয়ে বাড়ি ফিরে চলে এসেছিলাম। মোটামুটি আজকে আপনাদেরকে আমি ছবির মাধ্যমে অনেক প্রজাতির মাছ দেখানোর চেষ্টা করব আশা করি ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক, মাছের ছবিগুলো।
স্থানঃ গোবিন্দগঞ্জ মাছ বাজার, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা।
ডিভাইসঃ samsung galaxy s10।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন ভাইয়া পছন্দ মত মাছ বাসায় না আনা হলে বাসায় বকা শুনতেই হয়। তবে মেয়েরা কিন্তু মাছ কিনতে গিয়ে বেশ সাবধানে মাছ কিনে। ভালো মন্দ সবকিছু যাচাই করে কিনে। বর্তমানে তো সব মাছের দাম অনেক বেশি।
খালি সাবধানে নয় আপু, মেয়েরা অনেক দেখেশুনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সবকিছু কেনাকাটা করে।
নরম মাছ আনলে বাসায় এসে কথা শুনতেই হয় ভাই হা হা হা। সেজন্য মাছ কিনতে গেলে আমি ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করি। যাইহোক হীরা আপুকে নিয়ে মাছ কিনতে গিয়েছেন,দেখে খুব ভালো লাগলো। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাছের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এজন্যই ভাই, বাজার করতে গেলে সঙ্গে আপনার ভাবী কে নিয়ে যাই। বাড়ি ঠান্ডা তো, সব ঠান্ডা।
এখন কিন্তু সব জিনিসের দাম অনেক বেশি। কিনতে গেলে সত্যিই দাম শুনে মুখের কথা একদম থেমে যায়। কি আর করার ছোট হোক বা বড় হোক আমাদের পকেটের চাহিদা অনুযায়ী জিনিস গুলো কিনতে হয়। না খেয়ে তো পারা যায় না কোন রকম খেতে হবে। যাক ছোট মাছে অনেক পুষ্টি বেশি। আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর মাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। মন চাইছে মাছগুলো ছবি দেখে নিয়ে পরিষ্কার করে রান্না করে খেয়ে ফেলি।
ধন্যবাদ আপু আপনার যৌক্তিক মন্তব্যের জন্য।
ভাবিকে সাথে নিয়ে মাছ বাজারে যাওয়াটা আপনার বুদ্ধিমানের কাজ ভাইয়া ৷ নয়তো ভাবি আমাদের কোথাকার রাগ কথায় ঝেড়ে দেবে বলা মুশকিল ৷ যাই হোক , বর্তমান বাজার পরিস্থিতি আসলেই খুবই ভয়ঙ্কর ৷ বিশেষ করে গরিব আর মধ্যবিত্ত পরিবার বাজারে গিয়ে দর্শনার্থীর ভূমিকা পালন করে ৷ স্বাদ থাকলেও সাধ্য নেই ৷ যাই হোক , পোস্ট টা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে ৷
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই।
যে জিনিস অবধারিত সেই জিনিসের ঝুঁকি না নেওয়াই ঠিক। আপনি সাথে আপুকে নিয়ে গিয়ে ঠিকই করেন। না হলে আপনি যতই ভালো করেন না কেন আপনাকে কথা শুনতেই হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সত্যি অনেক। এটার কোন সমাধান দেখছি না। মাছের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ করেছেন ভাই।