চার পর্বের দ্বিতীয় অংশ || @shy-fox 10% beneficiary
যেহেতু আমি গতকালকে বলেছিলাম যে , আজকে আমি ভিডিও পর্ব শেয়ার করব এবং সেখানে মূলত মম ইন রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব । আজকে সেই কথা আমি রাখার চেষ্টা করছি ।
প্রথমত বলে নেই , আমাদের এই উত্তরবঙ্গে এটাই সর্ববৃহৎ একটা ফাইভ স্টার হোটেল এন্ড রিসোর্ট । যার নাম মম ইন । আর তাছাড়া এটা একটা এনজিও প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে আছে । সেই এনজিওর নাম হচ্ছে টিএমএসএস । যদি আরো আপনারা বিস্তারিত তথ্য এই হোটেল সম্পর্কে নিতে চান , তাহলে মোটামুটি গুগল করলেই অনেক তথ্যে পেয়ে যাবেন ।
যেহেতু আমরা শুরুতেই সুইমিং করতে পারিনি তাই মোটামুটি কিছুটা বিব্রতবোধ করেছিলাম । অতঃপর আমরা ওদের গ্র্যান্ড রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার অর্ডার করেছিলাম এবং দুপুর বেলার সময়টা মোটামুটি চেষ্টা করেছি হোটেলের ভিতরেই সময় কাটানোর জন্য । সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে, আমরা যে সময়টাতে গিয়েছি সেই সময়টাতে ঐদিন খুব একটা বেশি লোকজন ছিল না হোটেলে । যার কারণে পুরো হোটেলটা একদম আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল আর তাছাড়া সেখানকার স্টাফ আমাদেরকে বেশ সহযোগিতা করেছে ।
যেহেতু প্রচুর ক্ষুধার্ত ছিলাম তাই মোটামুটি দেশী ও চাইনিজ খাবারের সংমিশ্রণে দুপুরের খাবারটা সেরে নিয়েছি এবং তারপরে বিকেলের দিকে গিয়েছিলাম সুইমিং করতে । সেই বিষয় নিয়ে আমি আগামী পর্বে লিখব এবং ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করব । আশাকরি ঐ পর্বগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যে , আমাদের মুহূর্তটা আসলেই বেশ ভালো কেটেছিল । যাইহোক আমি অগ্রিম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম ।
চতুর্দিকে একদম সুন্দর নিরিবিলি পরিবেশ । খুবই সাজানো গোছানো এবং পরিপাটি । মনে হচ্ছে না যে , আমরা দেশের ভিতরে আছি । ওখানে ঢোকার পরে মনে হল যেন, সম্পূর্ণ বিদেশে চলে এসেছি । তাদের আপ্যায়ন ও সুযোগ সুবিধা সবকিছুই আমাদেরকে বেশ মুগ্ধ করেছে এবং আমার প্রিয়তমা স্ত্রী ও ছোট ভাই বেশ ভালই সময় কাটিয়েছে । যদিও আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার এখানে এসেছি, তাই আমার কাছে সবকিছুই খুব স্বাভাবিক লাগছিল । তবে আমার পরিবারের লোকজন গিয়ে, একদম মোটামুটি বেশ আনন্দঘন সময় কাটিয়েছে ।
দুপুরবেলা খাওয়া-দাওয়ার পরে যখন আমরা বিকেল বেলার দিকে আবারো হোটেলে ফেরত এসেছিলাম , তখনও মূলত হোটেল ফাঁকা ছিল । আর এটাই হচ্ছে মূলত প্রধান সময় । কারণ আমরা এই বিকেল বেলার সময়টাতেই ঠিক করেছিলাম , সবাই মিলে একত্রিত হয়ে কেক কাটবো । সবাই বলতে, আমি আসলে ঐ হোটেলের স্টাফদেরকে বুঝেয়েছি। আমি তাদের বলার চেষ্টা করলাম, যদি আপনাদের কোন সংকোচ না থাকে, তাহলে আপনারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন । আমার ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ।
এমনিতেই মোটামুটি দুই ঘন্টা সুইমিং করে আমরা বেশ কাহিল হয়ে গিয়েছিলাম । তারপরেও যখন আবার হোটেলের ভিতরে প্রবেশ করেছি নতুন করে , তখন বেশ এসির ঠান্ডা বাতাসে সতেজ অনুভব করতে লাগলাম এবং হোটেল স্টাফরা আমাদেরকে বেশ সহযোগিতা করেছে । বিশেষ করে তাদেরকে যে আমি অনুরোধ করেছি , তারা আসলে বেশ ভালোভাবেই সেটা গ্রহণ করেছে । সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে , হোটেলের চিফ শেফ থেকে শুরু করে সকলেই আমার ছেলের কেক কাটার সময়ে উপস্থিত ছিল এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে আরো যে কয়েকজন গেস্ট ছিল হোটেলে, তাদেরকেও অনুরোধ করেছিলাম । বলেছিলাম যে এই বিশেষ মুহূর্তটাতে তারা যেন একটু কষ্ট করে হলেও ক্যামেরাবন্দি হয় । বেশ স্বাচ্ছন্দেই তারা আমার অনুরোধটা গ্রহণ করেছিল ।
যে মানুষ আমি পয়সা বাঁচানোর জন্য প্রতিনিয়ত কত কিছুই করে থাকি । সেই মানুষ আমি নিজের ছেলের জন্মদিনে কত্তগুলো পয়সা একদিনে উড়িয়ে দিলাম । যদিও আমার কাছে এই ব্যাপারটা তেমন খুব একটা গায়ে লাগেনি । কারণ দিনশেষে আমার একটা মাত্র ছেলে, তাকে ঘিরেই আমার সবকিছু । মূলত এজন্যই আমি চেষ্টা করেছি , আমার সাধ্যের মধ্যে সবকিছু করার জন্য ।
আমি হোটেলের মেইন যে কন্ট্রোলরুম আছে, সেখানে গিয়ে তাদের মাইকে অ্যানাউন্সমেন্ট করেছি যে , আপনারা যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আপনারা সকলে মিলে আমার ছেলের প্রথম জন্মদিনের কেক কাটার সময় উপস্থিত হতে পারেন । যাইহোক বিষয়টা, সেখানকার স্টাফরা খুবই ভালোভাবে গ্রহণ করেছে এবং তারা অল্প সময়ের মধ্যেই চেষ্টা করেছে আমাদের কেক কাটার অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্য ।
অতঃপর বেশ আনন্দঘন মুহূর্তে শায়ান বাবুর প্রথম জন্মদিনের কেক কর্তন করা হলো এবং আমরা চেষ্টা করলাম সকলকে কেক বিতরণ করে দেওয়া এবং মিষ্টিমুখ করানোর জন্য । সত্যি বলতে কি, এরকম একটা পাঁচ তারকা মানের হোটেলে বসে, বাবুর প্রথম জন্মদিন করব এটা আমি আগেও কখনো ভাবি নি । তারপরেও যেহেতু আমি বাবা, এটার জন্য অনেকটাই গর্ববোধ হচ্ছে । এমন সময় তো আর প্রতিনিয়ত আসে না । তবে যেহেতু সুযোগ এসেছে, তাই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ফেললাম ।
অতঃপর জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পরে মূলত আমরা বাহিরে কিছুটা সময় একদম ঘাসের উপরে হাঁটাহাঁটি করেছি । সেখানে গিয়ে একটা মজার ব্যাপার হয়েছে । আমার ছেলের নামেই নাম এমন একটা ছোট বাবুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে । রীতিমতো আমরা কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছি যে,আমার ছেলের নামের সঙ্গে সেই বাবুর নামের মিল আছে । অতঃপর দুজন বাবুকে একত্রে বসে দিয়েছিলাম খেলা করার জন্য এবং বেশ ভালোই লেগেছে । বিকেল বেলার দিকে বেশ খানিকটা সময় পুরো হোটেলের ভিতরে ঘোরাঘুরি করে , চারিপাশটা দেখে সন্ধ্যা বেলার দিকে আমরা বিদায় নিয়েছি মম ইন হোটেল থেকে ।
এমন সময় আবার কবে আসবে তা আমি বলতে পারছি না । তবে এই সময়টাকে আমি নিজের মতো করে গেঁথে রাখলাম ব্লগের পাতায় । হয়তো কোন এক সময় যখন বুড়ো হয়ে যাব, তখন ঘেঁটে ঘেঁটে দেখবো পুরনো দিনগুলো আর ছেলেকে দেখাবো যে, বাবা আমি তোমাকে নিয়ে এভাবেই সময় কাটিয়েছি আমার শত ব্যস্ততার মাঝে ।
এবারও বলবো বন্ধুরা, আমার ছেলের জন্য মন থেকে আশীর্বাদ করবেন । আমার আসলে বেশি কিছু চাওয়ার নেই । দিনশেষে ও মানুষ হওয়ার চেষ্টা করুক, শুধু এটাই চাওয়া । ভালোবাসা রইলো সকলের জন্য । দেখা হবে পরবর্তীতে সুইমিং এর পর্ব নিয়ে । ততক্ষণ পর্যন্ত সঙ্গেই থাকুন ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এই মাসের ২৮ তারিখ যেহেতু আমাদের প্রিয় শায়ানের জন্মদিন তাই অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া। আপনি আপনার এবং আমাদের আদরের শায়ানের জন্মদিনে আবারো নতুন কোন কিছু আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন এই প্রত্যাশা করি। তবে এতোটুকুই বলতে পারি পুরোটা দিন আপনারা সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছেন। এই রেস্টুরেন্টটি সত্যি অনেক বড় এবং সুন্দর করে ডেকোরেশন করা। পরবর্তী ভিডিওগ্রাফির অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
অবশ্যই আপু , আমরা বাসায় আবার বড় করে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো তখন । আপনাকে আগেই দাওয়াত দিলাম।
মম ইন রেস্টুরেন্ট নামটি আসলে খুব ব্যতিক্রমধর্মী। জি ভাই মন থেকে বলছি আপনার ছেলের জন্য অনেক দোয়া রইল। আল্লাহ যেন আপনার ছেলেকে আপনাদের মত করে মানুষের মত মানুষ করেন।
অনেক ভাল লাগলো ভাইয়া 🥰 । আকাশটা খুবই সুন্দর লেগেছে 😍। আপনাদের সবাইকে খুব ভাল লেগেছে💕সায়ান বাবুকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ❣️💕। আপনার ব্লগটি অসাধারন হয়েছে। 🥰🥰🥰ধন্যবাদ
অগ্রীম জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল শায়ান বাবু।সবসময় ভালো থেকো, মানুষের মতো মানুষ হও এই প্রার্থনা করি। ❤️❤️❤️❤️
ভাইয়া মন থেকে অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো শায়ানের জন্য। এই মাসটি শায়ানের বার্থডে মাস জেনে ভালো লাগলো। সামনে যেহেতু শায়ানের বার্থডে আসছে তাই সেদিনটি নিশ্চয়ই আরো ভালোভাবে উদযাপন করবেন। তবে যাই হোক আপনার শেয়ার করা ভিডিওগ্রাফিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। হয়তো এই হোটেলে বা রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কখনো সুযোগ হবে না। রেস্টুরেন্টের ভিতরের পরিবেশ অনেক সুন্দর। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সেখানকার কর্মীরা সকলে কেক কাটার সময় উপস্থিত ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার এই ভিডিওগ্রাফি এবং আপনাদের কাটানো মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ❤️❤️
আমাদের মতো পাঠক পেয়ে আমি সত্যিই অনেক সৌভাগ্যবান ভাই । আমি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি আপনাদের কাছে ।
আপনার ছেলে ও আমাদের প্রানপ্রিয় বাতিজা শায়ন বাবুর জন্মদিনের দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে অনেক ভাল লাগলো। উত্তরবঙ্গের সবথেকে বড় পাচঁ তারকা হোটেল বগুড়াতে সেটা আমি জানতাম না। আপনার মাধ্যমে জানলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক ভাল লাগলো। দোয়া রইল প্রিয় শায়ন বাবুর জন্য।
প্রথম পর্বের পরের দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় ছিলাম ভাইয়া। প্রথম পর্বে ভিডিও দেবেন বলেছিলেন। তো ভিডিওটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর পরিবেশ যদি আমার এখনো যাওয়া হয়নি। তবে আপনার ভিডিওটা দেখে যেতে খুব ইচ্ছা করছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি যাব। সায়ন বাবার বার্থডে কেকটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ভিডিও টা শেয়ার করার জন্য। আশাকরি তৃতীয় পর্ব টা খুব তাড়াতাড়ি দেখতে পাবো।
অবশ্যই ম্যাম সামনেই আসবে তৃতীয় পর্ব সঙ্গেই থাকুন।
ভাইয়া ভিডিওটা যতক্ষণ দেখছিলাম মনে হচ্ছিল শায়ান বাবুর জন্মদিনের কেক কাটার সময় আমি সামনেই উপস্থিত ছিলাম। ঠিক এরকম একটা ফিলিংস হচ্ছিল মনে। আসলেই মম ইন ফাইভ স্টার রেস্টুরেন্টই অনেক সুন্দর আমার আগে থেকেই বাইরের অবস্থা দেখে খুব ভালো লেগেছিল। কিন্তু আমি কখনো ভেতরে ঠিকভাবে দেখিনি আজকে আপনার ভিডিওর মাধ্যমে সবকিছু স্পষ্ট হলো। আসলেই অসাধারণ ছিল মুহূর্তগুলো। আপনার ভালো লাগার জায়গাটা আমি কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি। কারণ দিনশেষে আমিও একজন বাবা।
আবারো শায়ান বাবুর জন্য অন্তর থেকে দোয়া করছি।
বেড়াতে আসেন ভাই আবারও যাবো সবাই মিলে এক সঙ্গে ।
আপনার নিমন্ত্রণ গ্রহণ করলাম ভাইয়া
ভাইয়া বেশী কিছু বলবো না। এককথায় বলতে গেলে অসাধারণ! আর আমার সায়ান সোনা বাবুর প্রতি রইলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর অনেক অনেক ভালবাসা। হোটেলের পরিবেশ খুব সুন্দর ছিল। বাইরের পরিবেশ টা ও চোখ জোড়ানো। ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
পুরো ভিডিওটা বসে বসে দেখলাম। চমৎকার সময় কাটিয়েছেন ছেলেকে সাথে নিয়ে। শায়ান বড় হয়ে যখন এই ভিডিওগুলি দেখবে। তখন নিশ্চয়ই সে তার বাবাকে নিয়ে গর্ব করবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সময় করে আপনার পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসুন ভাই । আবারও ঘোরাঘুরি করবো আমরা ,বেশ ভালই মজা হবে ।