কমপ্লিকেটেড সময় ||@shy-fox 10% beneficiary
ঋতু পরিবর্তন কিন্তু শুরু হয়েছে । এক কথায় বলতে পারেন, এখন যে সময়টা চলছে এটাকে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় শীতকাল বলে বা এটাকে শীতের সিজন বলা হয়। যাইহোক এই সিজনের কিছু বিষয় আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব । আশা করি যদিও বিষয়গুলো আপনাদের জানা, তবে আমি আমার চিন্তা ভাবনা থেকে তথ্য গুলো দেওয়ার চেষ্টা করব। ব্যাপার গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগতেও পারে ।
এই পরিবর্তনগুলো আমি কয়েকদিন থেকে দেখছি। বিশেষ করে আমি এই রাস্তায় প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি। প্রতিদিন বিকেলবেলা আমি যখন রাস্তা দিয়ে যাই, তখন সিএনজির ভিতরে থেকে রাস্তার দুই পাশের ফসলের জমি গুলোর দিকে দেখার চেষ্টা করি । আজ হঠাৎ করেই কেন জানি ব্যাপার গুলো আমার কাছে অনেকটা একটু অদ্ভুত লাগছে। কারণ কিছুদিন আগেও রাস্তার দুই পাশের জমিগুলোতে একদম পাকা ধান দিয়ে ভর্তি ছিল কিন্তু যেহেতু এখন সময়টা শীতকাল চলছে এবং ধান কাটার সময় হয়ে এসেছে। তাই মূলত এলাকার লোকজন গুলো ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, ধান কাটা নিয়ে।
যেহেতু আমি মূলত , বিকেলবেলা করে গ্রামীণ অঞ্চলে প্র্যাকটিস করার জন্য যাই। তাই অনেক কিছুই আমাকে দেখতে হয় এবং অনেক কিছুর সাক্ষী হয়ে থাকে আমার এই দুই চোখ। যাইহোক ব্যাপার গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগছে আজকে। কারণ আমি দেখছি রাস্তার দুইপাশে কৃষকরা খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, ধান কাটা নিয়ে। অনেক জমিতে দেখলাম, কৃষকরা ধান কেটে সেগুলো রেখে দিয়েছে , শুধুমাত্র বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে ।
বিশেষ করে এই উত্তর অঞ্চলের মানুষের, এই শীতের সময় যখন ধান পেকে যায়, তখন একটা অন্যরকম অস্থিরতা কাজ করে। কারণ তাদের একটাই চিন্তা থাকে যে, কখন ধানগুলোকে বাড়িতে নিয়ে যাবে । কারণ সেই ধানগুলো থেকে কিছুটা ধান তারা বাড়িতে রাখবে এবং বাকি ধান গুলো বাজারে বিক্রি করে দেবে । মূলত যে ধানগুলো বাড়িতে রাখবে, সেই ধানগুলো পরবর্তীতে প্রক্রিয়াজাত করে সেগুলো থেকে চাল বানাবে । আবার সেই চাল পুরো বছরের খাওয়ার জন্য রাখবে । সর্বোপরি এই সময়ে গ্রামীণ মানুষজনের ব্যস্ততার কমতি থাকে না তারা প্রতিনিয়ত ব্যস্ত থাকে তাদের ফসলের জমিতে। কারণ তাদের প্রধান জীবিকা নির্ভর করে তাদের ফলানো এই ফসল থেকে ।
আমার শ্বাশুড়ি কয়েকদিন থেকে বাড়িতে নাই ।যার কারণে শায়ান বাবুর বেশ অসুবিধা হয়ে গিয়েছে। কারণ শায়ান বাবুর আম্মু ,শায়ান বাবুকে সামলিয়ে আবার বাসার জন্য রান্না করাটা মোটামুটি অনেকটা কষ্টকর হয়ে গিয়েছে শায়ান বাবুর আম্মুর জন্য। কারণ শায়ান বাবুর নানী, গ্রামের বাড়িতে গিয়েছে মূলত তাদের জমির ফসলের কাজ করার জন্য । আর আমার গ্রামের চেম্বারের অ্যাসিস্ট্যান্ট, মূলত আজ কয়েকদিন থেকে ছুটি নিয়েছে,কারণ তাদের জমিতে ধান কাটার কাজ হচ্ছে। সর্বোপরি একটা কমপ্লিকেটেড সময় যাচ্ছে আমার জন্য। তবে আশা করি এই সমস্যা তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যাবে।
আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট আমাকে বলেছে, তাদের ধান কাটা-মাড়াই শেষ হলে আমাকে নতুন চালের পিঠা খাওয়াবে এবং নতুন চালের ভাত খাওয়াবে। যাইহোক ব্যাপারটা আমার কাছে একটা আলাদা আগ্রহ পেয়েছে। আমি অপেক্ষায় আছি সেই সময়ের জন্যই ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে শীতের সিজনের সময়টাকে অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। এখন ধান কাটার মৌসুম, এই সময়টাতে গ্রামের বাড়ি আনন্দ-ফুর্তিতে মুখরিত থাকে। সবার মাঝে শুধু কাজ আর কাজ একটা উত্তেজনা কাজ করে। এবং যারা জমিতে ধান কাটে তাদের বেসুরো গলায় সুরে পরিণত হয়। এবং ধান কাটতে কাটতে অনেক সুন্দর সুন্দর গান করে লালন গীতি, পল্লীগীতি, রবীন্দ্র সংগীত, এবং আধুনিক গান মনমুগ্ধকর। অনেক সময় রাস্তার পাশে দাঁড়ালে তাদের আনন্দ উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগতো। দান কাটতেও গল্প করত তারা ধান কাটছে গান গাইছে তাদের কাজের মাঝে আনন্দের সীমা নেই। আবার আমিও অনেক সময় ধান কেটেছি, আবার সারাদিন আড্ডা মেরেছি রাতের বেলায় ধানগুলো বাড়িতে যখন উঠেছে তখন মেশিন দিয়ে ধান চরিয়েছি। আপনি পুরনো স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দিলেন এবং কি আমাদের সাথে অনেক সুন্দর করে শীতের সিজনে ধান কাটার বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন। ভাবির খুব কষ্টের মধ্যে আছে সায়ন বাবুকে সামলানো এবং রান্নাবান্না করতে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে, আমাদের সাথে অনেক সুন্দর করে শীতের সিজনে দানকাটার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
শীতের সময় যে ফসলটি ঘরে তুলে তাকে আমরা বলি রবিশস্য ।এই সময়ে বাংলাদেশের ধান কাটা-মাড়াই পরেও বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে মাঠ ভরে যায় বিশেষ করে যখন সরিষা, আলু চাষ করা হবে ।পুরো আবাদি জমি আবার হলুদ এবং সবুজ এর ছড়াছড়ি হবে ।আমাকে বেশ ভালো লাগে আমি যখন গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে যাই বিশাল অঞ্চলজুড়ে সরিষা চাষ এবং আলু চাষ হয় ।তবে আপনি যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন রাস্তার পাশে সোনালী ধান, কৃষকের ঘাম ঝরানো সোনার ফসল, সোনার ফসল নিয়ে তারা স্বপ্ন বনে থাকে। তাদের পরিবার তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তাদের এই ফসলের উপর ।সারা বছর কিভাবে চলবে তার পুরোটাই পুঁজি আছে এই ফসল থেকে। বিশেষ করে যারা গ্রামের কৃষক তাদের। আরেক দল আছে যারা দিনমজুর ধান কেটে তাদের যে রোজগার হয় সেটা নিয়ে তারা তাদের স্বপ্ন বুনে । আবার তাদের আমরা বলি মৌসুমী কৃষক তারা বছরের দুইটা বা তিনটা সময় শুধু দিনমজুরির কাজ করে বাকিটা বছর তারা বসে থাকে অর্থাৎ তারা কাজের সময় কাজ করে ওই যে রোজগারটা হয় সেটা দিয়েই তারা তাদের সারাবছর দিন বার করে ।এটা যদিও অনেক কষ্টকর তাদের জন্য। তবে ভাইয়াএকটা জিনিস আমার খুবই ভালো লাগে আপনি আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত প্রকৃতি, মানুষের আচার-আচরণ ,আপনার ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা গুলো বিভিন্ন ভাবে গুছিয়ে যুক্তিসহ করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেন । আমি সত্যিই মুগ্ধ এত সুন্দর করে গ্রামের প্রকৃতি, ফসলের মাঠ রাস্তা-ঘাট শীতের অভিজ্ঞতা সবকিছু মিলে আপনি দারুন লিখেছেন । আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি আমি আপনাদের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছি নিজের অভিজ্ঞতা, দেশ -সমাজ ও আমার চিন্তা-ভাবনাগুলো তুলে ধরার।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাই। প্রকৃতির মাঝে একটা পরিবর্তন ইতিমধ্যে দেখা গেছে। আজ সকালে তো আমাদের এলাকায় প্রচুর কুয়াশা ছিল। এবং এখন ধান কাটার মৌসুম। এই তো আর কিছুদিন পরেই আবার ধান লাগানোর মৌসুম শুরু হবে। আপনার পোস্টের ছবিগুলি দারুণ হয়েছে ভাই। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনার প্রতিটা পোস্ট পড়ে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। এই পোস্টটি আমি পড়লাম এবং আমার অনেক ভালো লাগলো। আমাদের এলাকায় এখন অনেক কুয়াশা পড়েছে এবং কৃষকেরা তাদের ফসলের জমি থেকে ধান কাটা শুরু করে দিয়েছে। ধান কাটার দৃশ্য গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কারণ তাদের কষ্টের বিনিময়ে এই ধানগুলো এখন বাড়িতে আনতে পারছে। এটি কৃষকদের জন্য খুবই আনন্দময় সময়।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আসলেই কিন্তু ভাবীর অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে দিক দিয়ে সামলাতে ।কারন একটা এতো বড় ঘরের কাজ তো কম নয়। তার উপর আবার শায়ান বাবু খুবই ছোট বলতে গেলে। ভাবিকে সব এক হাতেই সামলাতে হচ্ছে যা সত্যিই কষ্টকর। আবার এদিকে আপনার অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ও সমস্যা। তবে আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হবে। আর আপনিও খুব তাড়াতাড়ি নতুন চালের পিঠা খেতে পারবেন । তবে অবশ্যই আমাদের সাথে তা শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমানে চারপাশে ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। শীতকাল এলেই চারপাশে ধান কাটা শুরু হয়ে যায়। কৃষকরা হাসিমুখে নতুন ধান কাটে এবং সেগুলো ঘরে তুলে। আর এই ধানগুলো দিয়ে তাদের ভাতের জোগাড় হয়। আমি যেহেতু ছোটবেলা থেকে গ্রামে বড় হয়েছি তাই আপনার কথাগুলোর সাথে আমি অনেকটা পরিচিত। গ্রামীণ পরিবেশে ধান কাটার মৌসুমে শুরু হয়ে যায় এক নতুন ধরনের উৎসব। কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি দেখে খুবই ভালো লাগে তখন। এই সময়ে গ্রাম অঞ্চলে গেলে দেখতে পাওয়া যায় কৃষকরা তাদের ফসলের মাঠে কাজে ব্যস্ত রয়েছ। কেউ ধান কাটছে আবার কেউ সেই ধানগুলো সংগ্রহ করছে। সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত রয়েছ। তবে যাই হোক আমার মনে হচ্ছে শায়ান বাবুর নানী তাকে ছেড়ে যাওয়ায় তার নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট হয়েছে। কিন্তু কি আর করা যাবে ধান কাটার মৌসুমে সবাই অনেকটা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমি আশা করছি শায়ান বাবুর নানী খুব শীঘ্রই তার কাছে ফিরে আসবে। শায়ান বাবু সব সময় ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক এই কামনাই করি।
শায়ান বাবু তার নানীর কাছে থাকতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। শায়ান বাবুর নানী তার থেকে দূরে রয়েছে এটা জানতে পেরে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে এই সময় সবাই অনেক কাজে ব্যস্ত। কারণ চারদিকে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। শায়ান বাবু ছোটবেলা থেকেই তার নানীর কাছে থাকতে বেশি পছন্দ করে। এখন নিশ্চয়ই শায়ান বাবুর অনেক খারাপ লাগছে। শায়ান বাবুর জন্য আমারও খারাপ লাগছে কারণ তার নানীকে ছেড়ে থাকতে শায়ান বাবুর অনেক কষ্ট হবে। হয়তোবা অনেক কান্নাকাটি করবে। তবে আশা করছি এই পরিস্থিতি সহজে ঠিক হয়ে যাবে। শুধুমাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
ভাইয়া, সত্যি বলতে এখন আর ছয় ঋতু নেই,তিনটি ঋতু বিশেষভাবে পরিলক্ষিত।যাইহোক এই সময় খুবই ব্যাস্ততায় সময় কাটে কৃষকদের।কারণ কৃষকেরা এই সুন্দর সময়ের অপেক্ষা করে সোনালী ফসল ঘরে তোলার।শায়ান বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আশা করছি শায়ান বাবুর নানী খুব তাড়াতাড়ি ধান কাটার কার্যক্রম শেষ করে আবার শায়ান বাবুর সেবাযত্নে আত্মনিয়োগ করতে পারবে। আসলেই এই সময়টা যেমন অনেকের জন্য উপভোগ্য আবার আপনার জন্য একটু কমপ্লিকেটেড হয়ে গেল। তারপরও খুব শীঘ্রই সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে, আশা করি। আপনার অ্যাসিস্ট্যান্ট নতুন চালের যে আয়োজন করবে সেটা অবশ্যই শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ ভাই। ভালোবাসা অবিরাম।