বর্ষণমুখর বেলায় || @shy-fox 10% beneficiary
এই ঘটনাতা সম্ভবত গত সপ্তাহের । আমার মনে আছে সেদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই একটা ভিন্ন রকম অনুভূতি কাজ করছিল নিজের মাঝে । সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে যেহেতু ভোর বেলার দিকে এসে বাবুর রুমে ঘুমিয়ে ছিলাম । হঠাৎ করে যখন সকাল বেলার দিকে প্রচুর জোরে জোরে আকাশ ডাকছিল ঠিক সেই মুহূর্তেই ঘুমকাতুরে চোখে বাবুকে সঙ্গে নিয়ে বেলকুনিতে চলে গিয়েছিলাম । গিয়ে দেখি পুরো আকাশ একদম কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছে ।
তখন মনে হল যে আমি সময়টাকে উপভোগ করি নিজের মতো করে । এই যান্ত্রিক নগরের জীবনে যখন ঘুম থেকে উঠে এই রকম একটা মুহূর্ত দেখা যায় আর যখন প্রিয় মানুষগুলো পাশে থাকে , তখন আসলেই সেই মুহুর্তটা খুবই সুখকর সময় হয় । কারণ কয়েকদিন থেকে বেশ গরম ছিল আর আজ যখন হুট করে এরকম বৃষ্টিমুখর একটা সময় চলে এসেছে এবং মেঘলা পরিবেশ ও হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস, তখন সেটা অনেকটাই উপভোগ্য কর হয়ে যায় নিজেদের কাছে ।
আমার যদিও প্রথম দিকে বেশ একঘেয়ামি লাগছিল কারণ ঘুমটা ঠিকমত হয়নি । তবে পরবর্তীতে যখন আমরা পরিবারের সকলে মিলে বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে মুহূর্তটা উপভোগ করছিলাম এবং তখন বেশ ভালই লাগছিল । মাথা ব্যথাটা একটু কমে গিয়েছিল প্রকৃতির নির্মল ঠান্ডা বাতাসে । এমন পরিবেশ অশান্ত মনকে শান্ত করার জন্য একদম পরিপক্ক সমাধান হতে পারে ।
বৃষ্টি নামার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মোটামুটি বেশ খানিকটা সময় বেলকুনিতে পুরো পরিবার নিয়ে সময় কাটিয়েছি । কারণ যখন বৃষ্টি নেমেছিল তখন বেশ জোড়ালো ছিল যে এবং সঙ্গে বাতাস থাকার কারণে প্রতিনিয়ত বৃষ্টির পানি ছিঁটে আসছিল এবং এই জন্যই মূলত আমরা রুমের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছিলাম । তবে প্রথম দিক পর্যন্ত অনেকটাই উপভোগ করেছি এবং আমি আর বাবু তো বেলকুনির গ্রিলের ভিতর দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বৃষ্টির পানি ধরার চেষ্টা করছিলাম ।
আমি তো মনেকরি এরকম পরিবেশে যদি পারিবারিকভাবে সময় কাটানো যায়, সেটা অনেকটাই মনে থাকার মত হয়ে যায় । আমি মূলত হীরা কে বললাম, তুমি আজকে একটু খিঁচুড়ি বানানোর চেষ্টা করো এবং আমরা সেটা সকলে মিলে খাব । কারণ এই বর্ষণমুখর দিনে যদি গরম খিঁচুড়ি খাওয়া যায় আর যদি সঙ্গে ডিম ভাজি ও হালকা আচার থাকে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে আরও খাবারের স্বাদের পরিমাণ বেড়ে যায় । যাইহোক এই সময়টা স্বরণীয় করে রাখার জন্য, সেদিন এরকম একটা বুদ্ধি বের করেছিলাম ।
অতঃপর হীরা চলে গিয়েছিল রান্না করতে । আর আমি বাবুকে নিয়ে অনেকটা সময় আরো ছিলাম বেলকুনিতে । যাইহোক সদ্য জন্মানো তুলসী গাছের চরাটার দিকে বারবার দেখার চেষ্টা করছিলাম । এটার বীজ আমি সংগ্রহ করেছিলাম কিছুদিন আগে । সেটা আমি তারপরে লাগিয়ে দিয়েছিলাম বেলকুনিতে টবে । অন্যান্য গাছগুলোর দিকেও বারবার দেখার চেষ্টা করছিলাম এবং আমার বাগানের গাছগুলো আরো সতেজ হয়ে যাচ্ছে । আমার বাগান বলতে মূলত এটার কারিগর হচ্ছে হীরা । কারণ সে নিজের থেকে যত্ন করে এই বাগানটা গড়ে তুলেছে। আমি মাঝে মাঝেই বিকাল বেলার সময়টাতে যখন কফি খাই , তখন বাগানের গাছগুলো দেখি আর সামনের প্রকৃতির সৌন্দর্য্য দেখার চেষ্টা করি । তবে আজকে বর্ষণমুখর বেলায় যখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টির পানি শরীরে লাগছিল তখন ব্যাপারটা মনমুগ্ধকর ছিল ।
এই ফ্ল্যাটটা আমরা কয়দিন পরেই ছেড়ে দিচ্ছি এবং পার্শ্ববর্তী বড় ফ্ল্যাটে চলে যাব । তখন হয়তো এই ফ্ল্যাটের স্মরণীয় দিন গুলোর কথা মাঝেমাঝেই মনে পড়বে আমাদের । হয়তো যখন ছবিগুলো দেখব , তখন এই ফ্ল্যাটে কাটানো সময়গুলোর কথা হয়তো মনের মনিকোঠায় এসে বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়ে যাবে । আসলে স্মৃতি এমনি হুটহাট আবেগপ্রবণ করে তোলে নিজেদের।
অন্যান্য দিনের কথা কতটুকু মনে পড়বে তা আমি জানিনা । তবে এই বর্ষণমুখর দিনের কথা হয়তো মাঝে মাঝেই মনে পড়বে । কারণ এই স্মৃতিটা বেশ গেঁথে গিয়েছে মনে ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমাদের এদিকে প্রায় তিন সপ্তাহ হল বৃষ্টি নেই। সূর্যের প্রখর তাপ আর গরমে মানুষের জায়গায় অবস্থা। সত্যি যদি এরকম হুট বৃষ্টি হতো তাহলে আপনার মত বর্ষণমুখর বেলা প্রাণ ভরে ভোগ করতাম। আপনি বেশ ভালই সময় বর্ষণমুখর সময় অতিবাহিত করেছেন এবং সাথে গরম খিচুড়ি খেয়েছেন। ওহ দারুন মজা করেছেন। আপনার জন্য ও আপনার বাবুটার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার ঐদিকের আবহাওয়ার অবস্থা জেনে ব্যাথিত হলাম ভাই । পরিবেশ সব দিকে ঠিক হোক এমনটাই কামনাই করি ।
বৃষ্টির আগের মেঘের অন্ধকার,হিমেল আকাশ, ফাকা জায়গায় বসে উপভোগ করার মত আনন্দের তুলনা নেই।তারউপর যদি পাশে থাকে প্রিয়জন।আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।
ভাইয়া ঘুমের কিছুটা ডিস্টার্ব হলেও মুহূর্তগুলো কিন্তু অনেক ভালো কাটিয়েছেন। এরকম মুহূর্ত আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখা এবং বৃষ্টির ছোঁয়া নেয়া অসাধারণ ব্যাপার। সঙ্গে আবার খিচুড়ি, ডিম ভাজি ও আচার। মেঘলা আকাশের ফটোগ্রাফিটা অসাধারণ হয়েছে। তাছাড়া আপনার বারান্দায় ছোট্ট বাগানটি খুব সুন্দর সেজে উঠেছে। বারান্দায় ছোট্ট বাগানে তুলসী গাছ দেখে খুব ভালো একটা মেসেজ পেলাম। আসলে আমাদের প্রত্যেকের বাসায় এরকম দুই একটা ঔষধি গাছ থাকা প্রয়োজন। বাচ্চাদের সর্দি কাশিতে খুব ভালো কাজে লাগে। শায়ান বাবু এই বয়সে খুব ভালো পোজ দেওয়া শিখেছে দেখছি।
হুম আসলেই ভালো ছিল মুহূর্তটা । তার মধ্যে তুলশী গাছটাও বেশ প্রাণবন্ত হয়েছে ।
কিছুদিন আগে আমার মেয়ের কাশি হয়েছিল তখন বুঝতে পেরেছিলাম তুলসী পাতার কি উপকারিতা।
জি ভাই আসলে কিছু স্মৃতি ভুলার নয় এগুলো সব সময় মনে পড়ে বিশেষ করে যেগুলো মনের ভিতর গেঁথে যায় সেগুলো তো ভুলাই যায় না। প্রিয় মানুষগুলোকে নিয়ে এরকম মুহূর্ত কাটানোর মজাই আলাদা। বেশ ভালই আনন্দ ঘন মুহূর্ত কাটিয়েছেন বারান্দায় প্রিয় মানুষগুলোকে নিয়ে।
একটি উদাহরণ দিয়ে আমি বলতে চাই, মানুষ অনেক সময়ে বলে 'এক ঘেয়েমিতা দূর করার জন্য আমাদের বাইরে বেড়াতে যাওয়ার প্রয়োজন। তাহলে মন প্রফুল্ল থাকে' ঠিক তেমনি কিছুদিন যাবত অতিরিক্ত রোদ গরমের ফলে মানুষের মন একঘেয়েমি আর অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। তাই রোদ গরমের মধ্যে হঠাৎ যদি আকাশে এরকম মেঘের ছায়া দেখা যায় এবং তার পাশাপাশি বৃষ্টি শুরু হয় তাহলে মনের মধ্যে অনেক ভালো লাগা সৃষ্টি হয়। আমি অনেক কবি সাহিত্যিকদের লেখার মধ্যে পড়েছি 'বৃষ্টি হলে প্রিয়জনের কথা বেশি মনে পড়ে' আর এটা যদি হয় এমন ক্লান্তকর অবস্থার পরে,তাহলে তো কতটা ভালো লাগার সৃষ্টি হবে তা বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
ভাইয়া আপনার লেখাটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।এই প্রচন্ড গরমের পর এরকম বৃষ্টির সময় টুকু সত্যি উপভোগ্য হয় ।আপনি পরিবারের সঙ্গে খুব ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন ।আর আপনি ঠিকই বলেছেন বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি অন্যরকম মজার হয়ে থাকে ।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্তটুকু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বৃষ্টি আসার মুখের সময় গুলো সত্যি খুব ভালো লাগে। বিশেষত এইসময় ঠান্ডা বাতাস বয়, যা হৃদয় প্রাণকে স্নিগ্ধ করে তোলে।
মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি ভেজা দিন আমার দারুন লাগে। ভাইয়া আপনি আপনার পরিবারের সকলের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। এই বৃষ্টি ভেজা দিনে গরম গরম খিচুড়ি এবং সাথে যদি হয় ডিম ভাজা তাহলে একেবারে জমে যায়। বারান্দায় লাগানো গাছগুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই গাছগুলোকে খুবই যত্নে লাল করা হয়েছে। নতুন বাসায় গিয়ে নতুন ভাবে নিজের ঘর সাজিয়ে নিয়েন এই কামনা করি ভাইয়া। এই বাসায় প্রচন্ড গরম ছিল এটা আপনার বিগত পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি। বাসা বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেনে ভালই লাগলো।
ভীষণ মাথা ব্যাথা করছিল তবে প্রকৃতির হিম শীতল বাতাসে বেশ শান্ত অনুভব করছিলাম সেই সময়ে ।
বৃষ্টি হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গেলেও অভাবের ঠান্ডা হয়ে যায় এবং ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকে। আর এরকম মুহূর্তটুকু পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে উপভোগ করার মজায় আলাদা। বর্ষণমুখর বেলায় বৃষ্টির পানি ছিটিয়ে শরীরে পড়লে বেশ ভালই লাগে। ভাইয়া তুলসী গাছটি আরো বেশি করে যত্ন নিবেন কারণ তুলসী গাছ গুলো বিপদের বন্ধু। সাধারণ সর্দি কাশিতে বেশ উপকার দিবে। বর্ষণমুখর বেলার অনুভূতির কথাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হুম আসলেই বেশ উপভোগ্য ছিল সময়টা । এবং আমরাও সকলেই ভালই মজা করেছি সেই মুহুর্তে ।
আপনার পোস্টে ছোট বাবুকে দেখতে খুব ভালো লাগে আমার দাদা। বৃষ্টির দিনে খিচুড়িটা না হলে যেন চলে না। তাই না?
একদম খিচুড়ি না হলে চলেই না রে আপু । এই রকম আবহাওয়ার সঙ্গে খিচুড়ির সখ্যতা বেশ জোড়ালো ।