লাইফ স্টাইল পোস্ট -- 💝 " ছেলের হাতের বানানো কেক খাওয়ার অনুভূতি " || আমার বাংলা ব্লগ

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম


আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি।

আমি @shimulakter,আমি একজন বাংলাদেশী।আমার বাংলা ব্লগএর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।তবে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে আজকের লাইফ স্টাইলের বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরছিঃ


photocollage_2023916184313825.jpg

বন্ধুরা, খুব বেশি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলাম।ছেলের এক্সাম চলছিল।আজ শেষ হলো।কিছুটা হলেও রিলাক্স হবো।তবে টেনশনমুক্ত একেবারে হবো না।কারন সামনে ফাইনাল এক্সাম।এর মাঝে ও আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করে যাচ্ছি। প্রতিদিনের ব্লগ সময়মতো দেয়া যেনো অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে।পোস্ট সময় মতো না দিলে মনটাতে কেমন যেনো ফাঁকা ফাঁকা লাগে।তাইতো সব কাজের মাঝেও নিজের পোস্ট সময় মতো শেয়ার করা অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে।যাই হোক আজ একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম।আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমার ছেলের জন্য আমি প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের কেক করে থাকি।যদিও চকলেট কেক ওর পছন্দ। আর বাইরের খাবার যতোটা কম খাওয়া যায় ততোই মঙ্গল।আর আমার কষ্ট হলেও আমি নিজের হাতের কেক ওর জন্য করে দেই।সেদিনের ঘটনা অর্থাৎ তিন দিন আগে আমি দুপুরে লাঞ্চ করে রেস্ট নিচ্ছিলাম। রামিন অর্থাৎ আমার ছেলে এসে বলে, মামনি আমি কেক খাবো।আমি বললাম আছরের নামাজ পড়ে করে দেবো।ছেলে একথা শুনে কেকের সবকিছু এনে টেবিলে সব জরো করে রাখলো।আমার দেরি ওর সহ্য হচ্ছিল না।আমাকে সব সময় কেক করতে সে সব সময়ই দেখে।তাই কেকের উপকরন কখন কোনটা দিতে হয়,তা সে ভালো ই জানে।


20230916_162926.jpg



ছেলে নিজে নিজেই কেকের মিশ্রন রেডি করে নিয়েছে।আমি গিয়ে দেখি কেকের মিশ্রন রেডি।এখন সে চুলা ধরিয়ে চুলায় প্যান বসিয়ে দিয়েছে।কি আর করার চাইলাম আমার কাছে দাও।না, ও নিজেই সেদিন প্যান কেক বানাবে।তাই আমার কাছে কিছুতেই দিচ্ছিল না।কি আর করবো বাধ্য হয়ে ওর পাশে দাঁড়িয়ে রইলাম।বললাম,একসাথে সব মিশ্রনটুকু দিয়ে বড় প্যান কেক করে নাও।কিন্তু না সে ছোট ছোট কেক করে নিলো।

20230916_163647.jpg

20230916_163541.jpg

কেক তো হলো।এবার কেকের উপর চকলেট সিরাপ দিয়ে ছেলে আমার কাছে এনে বলল,মামনি একটা খেয়ে দেখো কেমন হলো? ছেলের বানানো কেক খেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। সেই সময় আমি ডিসকোডে সবার সাথে চ্যাটিং করছিলাম।আপু আর ভাইয়ারা জানতে চাইছিলো আমি কি করছি? তখন বললাম ছেলের বানানো কেক খাচ্ছি।আমি এতো এতো রান্না বাসায় নিজে করার চেষ্টা করি।আর আমার ছেলে যে চেষ্টা করবে না তা কি হয় বলেন। যাক করতে চাইলে করবে।তবে কোন বিপদ যাতে না ঘটে তাইতো পাশে থাকা।


আজ আর নয়।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।

পোস্ট বিবরন


শ্রেনিলাইফ স্টাইল
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইসsamsungA20
ফটোগ্রাফার@shimulakter
স্থানঢাকা

আমার পরিচয়


আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

আপনার ছেলের বানানো কেকের ছবিগুলো ডিসকোর্ডে দিয়েছিলেন সেদিন। সে সময়টাতে আপনার সাথে কথা বলছিলাম আপু। এতো ছোট মানুষ বেশ সুন্দর কেক বানিয়েছে জেনে ভালো লাগছিলো সেদিনে। আপু আপনার ছেলে ও আপনার মতোই কাজের হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।

 last year 

এটা ঠিক বলেছেন।এখন এতো কাজের পটু সামনে কি যে হয় জানি না।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 last year 

মা যদি রান্নায় পারদর্শী হয় তাহলে ছেলে মেয়েরাও সেই রান্না শিখে নেয়। তাইতো আপনার ছোট ছেলেটা দারুন ভাবে কেক তৈরি করেছে। আসলে বাচ্চারা সব সময় অনুকরণ প্রিয়। তাই তো সে নিজেও কেক বানানো শিখে গেছে। আপনার ছেলের হাতে বানানো কেক খেতে ভালো হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো আপু।

 last year 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপনার ছেলে কেক তৈরির ফটোগ্রাফি দেখে আমি রীতিমতো অবাক হলাম। এত ছোট মানুষ হয়েও খুব সুন্দর কেক তৈরি করে নিল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার ছেলের হাতের তৈরি করা কেক খাওয়ার অনুভূতি পৈ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আর আপনার ছেলের জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

বাহ্! কি সৌভাগ্য আপনার, ছেলের বানানো কেক খেতে পেরেছেন। ছেলে এখনই কেক তৈরি করে খাইয়েছে,বড় হলে আরো অনেক কিছুই করবে আপনার জন্য। আসলে বাচ্চাদের ব্রেন খুব তীক্ষ্ণ হয়,তাই যেটা মনোযোগ সহকারে দেখে সেটা মনে থাকে। আবার আপনি তো পাক্কা রাঁধুনি, তাই আপনার ছেলে আপনাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করে। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

সুন্দর ও সাবলীল মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 last year 

ছেলে বানানো কেক খাওয়ার আনন্দই অন্য রকম। আজকাল ছেলে মেয়ে সকলেই রান্না শেখা দরকার। আপনার ছেলের দেখি রান্নায় আগ্রহ আছে। বেশ ভালই বানিয়ে প্যান কেক। মাঝে মাঝে রান্না করতে দিবেন। তবে সাবধানতা অবলম্বন করে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপু।দোয়া করবেন ওর জন্য।

 last year 

বাহ,অসাধারণ! খুবই চমৎকার ভাবে কেক তৈরি করেছে দেখছি। ছোট্ট বাবুর এত সুন্দর কার্যক্রম দেখে তো অনেক খুশি হলাম আপু। ইচ্ছে হচ্ছে যদি পাশে থাকতাম তাহলে বাবুর এই সুন্দর রেসিপি আমিও উপভোগ করতে পারতাম। যাই হোক খুবই ভালো লাগলো সুন্দর এই পোস্ট কাছে পেয়ে।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

বাহ্ আপু আপনার ছেলের তো বেশ মেধা ।অনেক কিছু শিখে গেছে এই অল্প বয়সে।বিভিন্ন ডাই পোস্ট আবার কেক ও তৈরি করে ফেলেছে।বাবুর জন্য শুভকামনা রইলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপু।

 last year 

হে আপু, আমার দেখাদেখি সবটা করারই চেষ্টা করে। দোয়া করবেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65769.61
ETH 2674.27
USDT 1.00
SBD 2.86