লাইফ স্টাইল --- 💝 "নিজের হাতে লাগানো গাছের আম খাওয়ার অনুভূতি || আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
এই রৌদ্র ওঠা ঝাঁঝালো দুপুরে কি করছেন সবাই??এই গরমে জনজীবন একদম অতীষ্ঠ।কিন্তু বৃষ্টির কোন দেখা নেই।মানুষ গরমে হাঁসফাঁস করছে।একটু বৃষ্টি অপেক্ষায় আছে সবাই। এই গরমে এখনো সুস্থ আছি এটাই যেনো পরম পাওয়া।কারন সুস্থ থাকা আল্লাহর একটি বড় নিয়ামত।আশাকরি সবাই নিজ নিজ সুস্থতা নিশ্চিত করে চলবেন।
আমি @shimulakter, আমি একজন বাংলাদেশী।"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে,নিজের মধ্যে অনেক ভাল লাগা আমি অনুভব করি। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আপনাদের ভালো লাগাতেই আমার সার্থকতা।
নিজের হাতে লাগানো গাছের আম খাওয়ার অনুভূতিঃ
বন্ধুরা,আমার আজকের শেয়ার করা ব্লগের টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝে গেছেন আমার আজকের লেখার বিষয়টি মূলত কি নিয়ে।হ্যাঁ বন্ধুরা, আপনারা ঠিক ধরেছেন আমার আজকের ব্লগটি হলো নিজের হাতে লাগানো গাছের আম খাওয়ার অনুভূতি। আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন আমি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। সমুদ্র আমায় না টানলেও প্রকৃতি আমায় সব সময়ই টানে।প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেলেও নিজেকে আর খুঁজতে ইচ্ছে হয়না আমার, হিহিহি।
যাই হোক এবার আসল কথায় আসি।সত্যি কথা বলতে গাছ আমি প্রচন্ড রকমের ভালোবাসি।তাই বাড়িতে গেলে গাছ আমি লাগাবোই।ফুলের গাছ খুব একটা লাগানো হয় না বাড়িতে।কারন ফুল গাছের জন্য আলাদা যত্নের দরকার হয়।আমার শ্বাশুড়ি মারা গেছেন ৩ বছর হয়ে গেলো।কে করবে আর দেখাশোনা।আমি ছাদে একটা পেয়ারা গাছ লাগিয়ে ছিলাম।তিনটা পেয়ারা ও খেয়েছিলাম।তারপর গাছটা মরে যায়।এরপর আমি বাড়িতে গিয়ে ড্রাইভার ভাইকে দিয়ে নার্সারি থেকে আম গাছের চারা আনি।অনেক রকমেরই আম আজকাল পাওয়া যায়। তবে আমার খুব পছন্দের আম হলো ল্যাংরা,রুপালি আর ফজলি আম।
আমের চারা তিন থেকে চারটি আনলেও ল্যাংরা আম বলা হলেও সেটা ল্যাংরা আমের গাছ ছিল না। তবে রুপালি আম গাছটা ঠিক দিয়েছে।আর বড় আমের নামটা আমার জানা নেই।কিন্তু খেতে দুটো আমই খুব মজার ছিল।নিজের হাতের লাগানো গাছ বলে হয়ত মিষ্টি একটু বেশীই লেগেছে।
বাড়িতে এখন আমার এক ফুপু শ্বাশুড়ি আছেন।তিনি আর তাকে সাহায্য করে একটি মেয়ে এ দুজন মিলে গাছের দেখাশোনা করেন।এমনিতেই বাড়িতে অনেক গাছ আমার শ্বাশুড়ি লাগিয়েছিলেন। এই প্রথম আমার লাগানো আম গাছের আম খেতে পেরে খুব ভালো লাগলো।বেশকিছু আম ধরেছিল।আমি ফুপু শ্বাশুড়িকে বলেছিলাম আমাদের সব ভাড়াটিয়াদের ঘরে আম দেয়ার জন্য। এরপর অল্প কিছু আম আমাকে পাঠাতে বলেছিলাম।আমার শ্বাশুড়ি সব রকমের ফল একটি করে হলেও সবাইকে দিতেন।তাই ফুপুও তাই করেছে।আমার জন্য এই আমগুলো পাঠিয়েছে।আমি আমের ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম।
নিজের হাতে লাগানো গাছের আম খুব তৃপ্তি নিয়ে খেলাম।ফরমালিনমুক্ত, নির্ভেজাল। আর সবাইকে দিতে পেরেও আরো বেশী ভালো লাগলো। কারন আমি ছোটবেলা থেকে যা কিছু বাসায় নিজে নিয়ে আসতাম।তার মধ্যে থেকে ভাই-বোন এমনকি আম্মুকে দিয়ে তারপর খেতাম।এ অভ্যাসটা আমার এখনো আছে।তাই সবাইকে দিয়ে খেতে পারার মাঝে অনেকবেশি আনন্দ কাজ করছে আমার মাঝে।আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লেগেছে।
এই ছিল আমার নিজের হাতে লাগানো গাছের আম খাওয়ার অনুভূতি।আজ আর নয়।আশাকরি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে খুব ভালো লেগেছে।ভাল লেগে থাকলেই আমার এই ব্লগটি লেখা সার্থক হবে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হব।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল পোস্ট |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা |
Twitter link
আর বলিয়েন না গরমে বেশ অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। যাই হোক আসলেই নিজের হাতে লাগানো গাছের ফল খাওয়ার অন্যরকম অনুভূতি আপু।বেশ ভালো লাগছে আমগুলো দেখে।যাক ফুপু শাশুড়ী আর তার মেয়ে বেশ ভালোই যত্ন করেছে।আর সবাইকে দিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। ভালো লাগলো আপু।আমাকেও পাঠিয়েন🤪🤪।ধন্যবাদ
অবশ্যই পাঠাবো আপু দোয়া করতে থাকেন যাতে আম অনেক ধরে গাছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।
নিজের লাগানো গাছের আম খাবার অনুভূতিটাই যেন অন্যরকম। খুবই ভালো করেছেন ছাদে আমগাছ লাগিয়ে দিয়ে। আমগুলো দেখছি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিজের হাতে লাগানো গাছের ফল খাওয়ার অনুভূতি আসলেই অন্যরকম হয়তো আপনার পোস্ট পড়ে যেত বুঝলাম আপু।এই অনুভূতিটা আমার পাওয়া হয়নি কখনও গাছ লাগাবো একদিন,এই অনুভূতি পাওয়ার জন্য🥰। ফরমালিন মুক্ত আম খেয়ে বেশ তৃপ্তি পেয়েছেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে নিজের হাতে কিছু লাগাতে পারলে এবং তা খেতে পারলে অনেক মজাই লাগে। যেমন আপনি ড্রাইভার দিয়ে আম গাছের চারা কিনে এনে রোপন করেছেন। আপনার শ্বশুর মারা যাওয়ার পর আপনি আমের চারা রোপন করে দেখাশুনা করলেন। এখন অনেক মজা করে এখন আমগুলো খাচ্ছেন। সত্যি বলতে আম গুলো খেতে মনে হয় অনেক মজাই পেয়েছেন। এবং অনেক সুন্দর করে অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেন।
বাহ্ নিজের গাছের আম। কি চমৎকার একটি অভিজ্ঞতা অনুভূতি আর ভালোলাগা। নিশ্চয়ই আমগুলো খেতে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। তো যাই হোক একটা জিনিস কিন্তু আপনার সাথে আমার মিল আছে।আমিও কোন কিছু আমার মা ভাই বোনদেরকে না দিয়ে খাই না
নিজের হাতে লাগানো আম গাছের পাকা আম খাওয়ার মধ্যে রয়েছে অনাবিল আনন্দ ও সুখ। আপনার নিজের লাগানো আম গাছের আম খাওয়ার অনুভূতির কথাগুলো জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমাদের সকলের উচিত এভাবে ফলের গাছ লাগিয়ে, সেই ফল গাছের ফল ভোগ করা। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে গরমে জীবন যাপন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে আপু। এখন শুধু অপেক্ষায় আছি কবে বৃষ্টি হবে।
আমার আবার হিমসাগর আম খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
নিজের লাগানো গাছের আম খেতে আসলেই অনেক মিষ্টি লাগে। হা হা হা... সবাইকে যেহেতু আম ভাগ করে দিয়েছেন, তাই আমার জন্যও পাঠিয়ে দেন আপু, বসে বসে খাই।🤭
চারিদিকে ভেজালের যুগেও আপনি যে নিজের বাড়িতে গাছ লাগিয়ে নির্ভেজাল আম পেরে খাচ্ছেন,সেটা দেখেও বেশ ভালো লাগছে। ব্যস্ততার যুগে মানুষ কেমিক্যাল খেয়ে খেয়েই নিজেকে শেষ করছে। কিছুদিন আগেই পাড়ার এক জেঠু নিজের বাড়ির গাছ থেকে চারটে আম বাবাকে দিয়ে বলল বাজার থেকে তো অনেক আম এনে খাও। আমার গাছের আম খেয়ে দেখো, কেমন লাগে। সত্যি খেয়ে দেখলাম বাজারের থেকে আনা আমের চেয়ে স্বাদ একদমই আলাদা। আর খুবই ভালো।