🥰" শীতের পিঠা " 🥰 | | 10 % beneficiary for @shy-fox | | ১৬ | ১১| ২২ ইং | |

🌼 আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভাল আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছি।

Canva দিয়ে তৈরি


আজ আমি আবার হাজির হলাম নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে।আমার আজকের ব্লগ মূলত শীত ঋতু নিয়ে। আমার পোস্টের টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আমার আজকের লেখার বিষয় শীতের পিঠাকে কেন্দ্র করে।শীত নিয়ে আমার যেমন ভাল লাগা অনুভূতি আছে,তেমনি খারাপ লাগা অনুভূতিও আছে। আজ আমি আমার ভালো লাগা অনুভূতিগুলো তুলে ধরব আপনাদের মাঝে।আপনারাও আপনাদের ভাল লাগা,মন্দ লাগা অনুভূতি পোস্টে মন্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন।

শীত আসি আসি করেও আসছে না।ঢাকার বাইরে হয়ত অনেক জায়গায় শীত শীত অনুভূত হচ্ছে।শহরে ত আসলে সেভাবে শীত আসেনা।পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস নিয়ে শীতকাল।শীতকাল মানেই চারিদিকে কুয়াশায় ঢাকা পরে থাকে।বাংলাদেশে তখন প্রচুর শীত পরে। বিশেষ করে উত্তরের হিমালয়ের বাতাসে উত্তর বঙ্গে বেশি শীত অনুভব হয়। এখানে শীত পরার একটি কারণ হচ্ছে আমাদের দেশের পাশেই হিমালয় পর্বত রয়েছে। সেখান থেকে বরফ গলা পানি চলে আসে এবং সেই কারনে এদেশে তখন ঠান্ডা আবহাওয়া আমরা অনুভব করি। তখন ঘরে ঘরে পিঠা পুলি খাওয়ার ধুম পরে যায়।বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ভিন্ন ভিন্ন পিঠা করে থাকে।

ঋতু বৈচিত্র্যের এই বাংলাদেশে ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন কর্মকাণ্ড করে থাকে। শীত এলে অনেক কিছুর পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। শীতকালে ভোরের শিশির ভেজা ঘাস দেখতে খুব বেশি মিষ্টি লাগে।এসময়টাতে গ্রাম অঞ্চলে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে। গ্রামের ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর খুব বেশি প্রচলন দেখা যায়।খেজুরের রসের মিষ্টি গন্ধে চারিদিক মৌ মৌ করে। খেজুরের এই রস দিয়ে গুড় বানানো হয়।এই গুড় দিয়েই নানা ধরনের পিঠা,পায়েস করে সবাই খুব মজা করে খেয়ে থাকে। এসময় নানা ধরনের পিঠা বানাতে দেখা যায়।

শীতের পিঠার মূল উপাদান হল চালের গুড়া,গুড়, নারিকেল,দুধ এই সামান্য উপকরণ দিয়ে নানা ধরনের পিঠা বানানো যায়।এই শীতে ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা,তেলের পিঠা,পুলি পিঠা,নকশি পিঠা,সেমাই পিঠা,খেজুরের গুড়ের পায়েস,বিবিখানা, চিতই পিঠা ,মালপোয়া পিঠা,দুধ পুলি,দুধ চিতই, ভাপা পুলি নানা ধরনের পিঠা করতে দেখা যায়। এখন আবার মিষ্টির পাশাপাশি ঝাল পিঠাও বানাতে দেখা যায়। শীত এলেই আমার হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলার স্মৃতি মনের মধ্যে ভিড় করে।শহরে বড় হলেও আমার পরিবারের মধ্যে দেখেছি,এসময়ে সব আত্মীয়-স্বজনদেরকে শীতের পিঠার দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতো।এখনও এই রীতি আমার পরিবারের মধ্যে দেখা যায়।এই শীতের সময়টাতে নানা ধরনের পিঠা বানানো হতো রাত জেগে জেগে।কারন অনেক লোকজনের জন্য ব্যবস্থা করা হতো। আমরা ছোট ছোট সব ভাইবোনেরা এতে অংশ নিতাম।বড়রা যেভাবে বানাতো আমরা দেখে দেখে তেমনটাই করার চেষ্টা করতাম।মূ্লত এভাবেই আমি আজ সুন্দর সুন্দর পিঠা নিজেই বানিয়ে নিতে পারি।ভালমত শীতটা যখন পরবে,তখন আপনাদের সাথে অনেক পিঠার রেসিপি আমি শেয়ার করব আশাকরি।

শীতের সকালে ধোঁয়া উঠানো ভাপা পিঠা আমার খুব বেশি ভাল লাগে।রাজধানীর অনেক বড় বড় দোকানগুলোতে,রাস্তার পাশে গড়ে তোলা দোকানগুলোতে মজার মজার পিঠা বানাতে দেখা যায়।দেখতে খুব ভাল লাগে।কিন্তু বাইরের খাবার কম খাওয়া হয় বিধায় নিজের হাতে করেই পিঠা খাওয়া হয় আমার।আপনারা সবাই কে কি পিঠা খেতে পছন্দ করেন ,কমেন্ট করে জানাবেন।আমি বাসায় অনেক ধরনের পিঠা করতে যতটা ভালোবাসি,ততটা পিঠা কিন্তু আমি আবার খাই না। সবাই ভাববেন না আবার আমি অনেক পিঠা খেয়ে ফেলি, হিহিহি।আমি তৈরি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।সবাইকে করে খাওয়ানোতে আমি অনেক বেশি সুখ খুঁজে পাই।

শীতে গ্রামে খুব মজা হয়।ছেলেবেলা অপেক্ষা করতাম কবে এক্সাম শেষ হবে ? কবে বাড়িতে যাব ? সবাই মিলে হৈ চৈ করব,এক সাথে শীতের পিঠা খাব। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই।গ্রামে কেউ থাকে না এখন।তাই শীতের আনন্দটা শহরেই অনুভব করার চেষ্টা করি।দাদু ছিল,তখন সবাই মিলে যাওয়া হত গ্রামে।মাটির চুলার পাশে বসে গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজাই অন্য রকম।এই শীতে সবাই একবার হলেও গ্রামে যাবেন।তবেই সত্যিকারের শীত আর শীতের পিঠা খাওয়ার আনন্দটা পুরোপুরি পাবেন।লিখতে লিখতে অনেক কিছুই লিখে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।আশাকরি শীতে আমাদের ঐতিহ্য শীতের পিঠা সবাই ঘরে ঘরে তৈরি করে শীতের আমেজটাকে আমরা সবাই উপভোগ করব।