বিউটি পার্লার এ গিয়ে টুকিটাকি কেনা কাটা।
হ্যাল্লো
আমার বাংলা ব্লগবাসী বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই।আশা করছি ভালো আছেন। আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো পূজো উপলক্ষে পার্লারে যাওয়া ও টুকিটাকি কেনাকাটা।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
এবার পুজোয় পুরা কেনাকাটাই অনলাইনে করছি।শুধু বাচ্চাদের গুলো কিনেছি মার্কেটে গিয়ে।অনলাইনে শপিং করে ভালোই লাগলো।বেশ ভালো প্রডাক্ট পেয়েছি।সমস্যা হয়নি কোন। তাই আর মার্কেটে গিয়ে ঘুরে ঘুরে শপিং করার মাঝেলা নাই। হঠাৎই মনে পড়লো একটু পার্লারে যাওয়া যাক উদ্দেশ্য নিজেকে একটু পরিপাটি করা।যে কথা সেই কাজ মেয়েকে নিয়ে রেডি হয়ে রওনা দিলাম গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে।দের ঘন্টার পথ অতিক্রম করে পৌছে গেলাম জেলা শহরে।আমাদের বাড়ির আশেপাশে ও পার্লার আছে কিন্তুু আমি নিয়মিত এই পার্লারেই যাই এবং ভালো লাগে আমার এই পার্লার। আমি ফেসিয়াল করি না কিন্তুু নিয়মিত চুল কাটাই।পূজোতে কিংবা যদি কারো বিয়ে লাগে তখনি শুধু ভ্র প্লাক করে থাকি।গাইবান্ধা গিয়ে সর্ব প্রথম এটিএম বুথে গেলাম এবং টাকা উঠালাম।
টাকা তুলে বের হয়েই আমি সোনালী ব্যাংকে গেলাম ডিপিএস দেয়ার জন্য। প্রতি মাসে হয় লাইনে গিয়ে দাড়াতে হয় নয়তো খেতে চলে যায় তাই আজ তারাতাড়ি গেলাম ব্যাংকে।এবং গিয়ে দেখি একদম ফাঁকা বল্লেই চলে।হাতে গোনা কয়েকজন শুধু। তাই তারাতাড়ি ডিপিএস দিয়ে দিলাম।
ডিপিএস দিয়ে আমি একটু জুয়েলার্সে গেলাম এই জুয়েলার্সে আমার সব গহনা বানানো। সব কিছু আমি এখানেই বানিয়ে থাকি।সোনার যে দাম তাই আজ গহনা বানাতে নয়।আমার মঙ্গল সুত্রের একটি টার্সেল কিনতে গেলাম।আমার নতুন নতুন টার্সেল দিয়ে মঙ্গলসূত্র পরতে বেশ ভালো লাগে।তাই এখান থেকে একটি সুন্দর পুঁথির সাদা কালারের টার্সেল কিনলাম।
জুয়েলার্স থেকে বেড়িয়েই রওনা হলাম পার্লারের উদ্দেশ্যে।রিক্সায় চেপে পার্লারের সামনে গিয়ে নামলাম এবং সিড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম এবং চুল কাটানোর ইচ্ছে না থাকলেও পরে সামনে লেয়ারও ভ্র প্লাক করে নিলাম।
মেয়েও বায়না ধরলো সেও প্লাগ করবে ভ্র তাকে বোঝালাম ছোটদের করতে নেই।আপুও বল্লেন তখন সে বুঝলো।আসার মুহুর্তে চোখ আটকে গেলো একটি অ্যালোভেরা ফেসওয়াশ এর দিকে।আপুকে বল্লাম এটা নিব নিলাম ৩৫০ টাকা দাম 100ml এর।দাম কম রাখতে বলতেই বল্লেন বাইরের প্রডাক্ট দাম একটু বেশি।কি আর করা নিয়ে নিলাম ওই দামেই।পার্লার থেকে বের হয়ে মিষ্টির দোকানে গেলাম উদ্দেশ্য ঘি নেব এবং শ্বশুড়ির মৃতু বার্ষিকী ছিলো সে উদ্দেশ্যে পাঁচ মিষ্টি নিতে হবে।তো অর্ডার করলাম এবং মেয়েকে বলছিলাম কিছু খাবে কি না মেয়ে তো বাইরে গেলে আইসক্রিম ও ফুচকা ছারা কিচ্ছু খেতে চায় না কিন্তুু আজ বল্লো সিংগারা খাবো। তো সিংগারা অর্ডার করলাম আমার জন্য অর্ডার করলাম মিষ্টি। এই মিষ্টি টি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। যদিও বা গাইবান্ধায় বিখ্যাত রস মুঞ্জরী আর এই সেই বিখ্যাত রমেশ ঘোশের বিখ্যাত রস মুঞ্জরীর দোকান।যদিও বা রমেশ ঘোস তার নাম বিক্রি করে ইন্ডিয়া চলে গেছেন বহু কাল আগেই।তবুও ওনার নামেই দোকান চলছে এখনো।
তো মেয়ে আমি খেয়ে ঘি,পাঁচ মিষ্টি নিয়ে রওনা দিলাম একটি কাপড়ের দোকানের উদ্দেশ্য। কাপড় তো অনলাইনে কিনিছি আজ শুধু কিনবো আমাদের বাড়িতে যে পিসি কাজ করে তার জন্য ও মা দূর্গার ডালায় দেয়ার জন্য একটি শাড়ি।তো দোকানে গিয়ে শাড়ি নিলাম দুটো এবং ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন দোকানদার কাকা বল্লেন আমার কি ছবি তুলবে, বলেই সুন্দর করে হেসে
পোজ দিলেন ছবি তোলার জন্য। সেই সুযোগে একয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম।আজ এ পর্যন্তই বাকী অংশ শেয়ার করবো পরবর্তী পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।এই প্রত্যাশায় আজকের মতো শেষ করছি।
টাটা।
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আমাদের এই ধারে অনলাইনে শপিং করা অনেক রিস্কি একটা ব্যাপার।ভালো জিনিস পাওয়া যায় না মার্কেটে যেয়ে কিনতে হয়। আপনি এটিএম বুথে টাকা তুলেছেন কিন্তু কিছু কিছু ছবি অস্পষ্ট ছিল ভালো বুঝতে পারি নাই। ছবিগুলো আরো সুন্দর হলে আরো সুন্দরভাবে পোস্টটি ফুটে উঠতো। এই ফেসওয়াশ টা অনেক কার্যকরী অনেক ভালো। আপনি সবার জন্য মার্কেট করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আপনার জন্য আশীর্বাদ রইল
ভালো কোন পেজ থেকে শপিং করলে সারাদেশেই নিরাপদ। পরবর্তী পোস্টে ক্লিয়ার ফটোগ্রাফি দেয়ার চেষ্টা করবো অবশ্যই। জেনে ভালো লাগলো ফেসওয়াস টি কার্যকর। ধন্যবাদ
অনলাইনে কেনাকাটা সহজ হলেও যেকোনো উৎসবের সময় মার্কেটে ঘুরে কেনাকাটা করতে আমার ভালো লাগে। উৎসবমুখর পরিবেশটা উপভোগ করা যায়। বাইরে দেশের প্রোডাক্টগুলোর দাম বেশি হলেও প্রোডাক্ট গুলো খুবই ভালো হয়। মা মেয়ে মিলে বেশ কয়েক জায়গায় গিয়েছেন। পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ঘুরে ঘুরে শপিং করার মজা আলাদা তবে শপিং ঘুরে ঘুরেও করেছি কিন্তুু বেশিটাই অনলাইনে করেছি।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।