পাটিসাপটা পিঠা রেসিপি
হ্যাল্লো,
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি পাটিসাপটা পিঠা রেসিপি নিয়ে। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ |
---|
চালের গুড়ি |
ময়দা |
চিনি |
নারিকেল কোড়া |
গুড় |
লিকুইড দুধ |
ক্ষীর |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি চালের গুড়ি,ময়দা,চিনি,ও লিকুইড গরুর দুধ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
আমি এবার দুই লিটার পরিমাণে গরুর দুধ একটি পাত্রে বসিয়ে, খুব ধির আচে জ্বাল করেছি ও তা অনবরত নারাচারা করেছি যাতে তলায় লেগে না যায়।
তৃতীয় ধাপ
দুধ গুলো ঘনো হয়ে এসেছে তাই কয়েকটি সাদা এলাচ গুড়া করে দুধে দিয়ে দিয়েছি। সাদা এলাচ দিলে ক্ষীরে একটা মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ হয়।
চতুর্থ ধাপ
এখন আমি দুধ গুলো অনবরত নারাচারা করেছি কারন নিচে লেগে যাবে জন্য এবং আস্তে আস্তে আঠালো হয়ে ক্ষীর তৈরি হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন আমি একটা রুটি ভাজা তাওয়া চুলায় বসিয়েছি। তাওয়া টি গরম করে নিয়েছি এবং একটু ঘি দিয়ে ব্রাশ করে নিয়েছি যাতে করে পিঠা আটকে না যায়।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন আমি একটা মাঝিড়ি তরকারির চামুচে করে তাওয়াতে আগে থেকে করে রাখা চালও ময়দার করে রাখা মিশ্রিণ টি দিয়েছি ও ক্ষীর মাঝ খানে দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন আমি পিঠা টিকে রোল করে নিয়েছি। মাঝে ক্ষীর দিয়ে রোল করে নিয়েছি ও ভালো করে ভেজে নিয়েছি খুব অল্প আঁচে।
অষ্টম ধাপ
এভাবে একে একে সব গুলো পিঠা একটি পাত্রে ভেজে ভেজে তুলে নিয়েছি।
নবম ধাপ
এভাবে তৈরি করেছি মজাদার পাটিসাপটা পিঠাও পরিবেশ করেছি।আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণী | পদ্ধতি |
ডিভাইস | OppoA95 |
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আপনি আমার খুবই পছন্দের পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন, যেটা দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে। পাটিসাপটা পিঠা অনেক মজাদার হয়। আর এটা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ধাপে ধাপে এত সুন্দর করে এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন খুব মজাদার হয় পাটিসাপটা পিঠা।ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্ট টি ভালো লাগার জন্য।
আহা লোভনীয় খাবার 😋
পাটিসাপটা পিঠা খেয়েছি বেশ কিছু দিন আগে। আপনার রেসিপি দেখে আবারও খেতে ইচ্ছে করছে।
বেশ গুছিয়ে চমৎকার উপস্থাপনার মাধ্যমে রেসিপিটি পোস্ট করেছেন আপু।
পাটি সাপটা পিঠা সত্যি লোভনীয় খাবার।ইচ্ছে যেহেতু করছে বানিয়ে খেয়ে নিন🙂।
আরে বা শীত না আসতেই শীতের পিঠা দেখছি।খুব সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যদিও আমি এই পিঠাটা কম পছন্দ করি।আসলে একেক জনের পছন্দ একেক রকম।ধন্যবাদ আপনাকে।গুছিয়ে শেয়ার করার জন্য।
এখন আর কোন খবারের সিজনের অপেক্ষা কেউ থাকে না যখন যা খেতে মন চায় তখনি বানিয়ে খেলে ফেলে মানুষ। ঠিক বলেছেন একেক জনের পছন্দ একেক রকম।ধন্যবাদ
দিদি পাটিসাপটা পিঠা তো আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। ইচ্ছা আছে এবারে পুজোর ভেতরে বাড়িতে গিয়ে পাটিসাপটা পিঠা পেট ভরে খাব। সুন্দর এই পাটিসাপটা পিঠার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ অবশ্যই খাবেন বানিয়ে। আসলে যে কোন জিনিস খেতে মন চাইলে মনে হয় অনেক খাবো কিন্তুু খেতে গেলে ততটাও খাওয়া হয় না কিন্তুু।আমারও পছন্দের পিঠা এটি।ধন্যবাদ
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পাটিসাপটা পিঠা তৈরির রেসিপি। আসলে কিছুদিন আগে বাড়িতে গিয়েছিলাম আম্মু এই রেসিপি তৈরি করে খাবিয়ে ছিল খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে এই রেসিপি যখন তেলে ভেজে উপরে তোলা হয় গরম গরম খেতে কিন্তু বেশ দারুন লাগে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে আবারও খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
মায়ের হাতের পিঠা হলে তো আরো বেশি মজাদার হয়।আমি তেমন পিঠা বানাতে পারি না জিবনে প্রথম বানিয়েছি।শ্বাশুড়ি বানিয়ে খাওয়াতো ওনি বেঁচে নেই তাই নিজে বানানোর চেষ্টা করে বানিয়েছি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
বেশ মজাদার একটি রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। পাটিসাপটা পিঠা খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।বলতে গেলে আমার পছন্দের একটি পিঠা। আপনার পিঠা দেখে তো আমার এক্ষুনি খেতে ইচ্ছে করছে। এরকমই লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
পাটিসাপটা পিঠা কম বেশি সবার প্রিয় হয়।ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার পোস্ট টি পড়ে কমেন্ট করার জন্য।
আপু আপনি আজকে খুব চমৎকার একটি পিঠা তৈরি করেছেন। গ্রাম অঞ্চলে মানুষগণ এই পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করতে খুব ভালোবাসে এবং খেতেও খুব ভালোবাসে। পাটসাপটা পিঠার মধ্যে নারিকেলে খোরা দেওয়াতে এটি খেতে বেশি সুস্বাদ লাগে এই পিঠা তৈরি প্রতিটা ধনে খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের গন্ডি পেরিয়ে এখন এই পাটিসাপটা পিঠা শহরের মিষ্টির দোকানে দোকানে শোভা পাচ্ছে। এমন ক্ষীরের পুর দেয়া পিঠা মিষ্টির দোকানেও পাওয়া যায়।ঠিক বলেছেন নারিকেল দিয়ে করলেও স্বাদ লাগে তবে ক্ষীরও নারকেল দুটির স্বাদ দুরকম।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পাটিসাপটা পিঠার রেসিপি দারুন হয়েছে আপু।এই পিঠাগুলো সবাই পছন্দ করে। গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। দারুন একটি রেসিপি তৈরির পদ্ধতি সবার মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
হ্যাঁ সবার পছন্দের পিঠা পাটিসাপটা। গরম গরম পিঠা খেতে সত্যই খুব ভালো লাগে।
আপু পাটিসাপটা পিঠা গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আসলে আপু পিঠার ভিতরে ক্ষীর মজা হলে পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি দেখছি শীতের আগেই মজার পিঠা খেয়ে ফেলেন। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু মনে হচ্ছিল পিঠা বানাই পারি কি না আগে কখনো বানাইনি,তাই খুব যত্নে বানিয়েছি পিঠা গুলো।ধন্যবাদ
পাটিসাপটা পিঠা দেখলে আমার খেতে ইচ্ছে করে। আসলে শুধু পাটিসাপটা পিঠা না, যে কোন রকমের পিঠা দেখলে জিভে জল চলে আসে। আমি সব রকমের পিঠা খেতে ভালোবাসি। যার মধ্যে পাটিসাপটা পিঠাও রয়েছে। আপনি অনেক মজাদার ভাবে এই পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। নিশ্চয়ই এই পিঠাগুলো খুব মজা করে খাওয়া হয়েছিল। মাঝে মাঝে মজাদার পিঠা তৈরি করে আমাদেরকেও দাওয়াত দিবেন।
পাটিসাপটা পিঠা সবার প্রিয় একটা পিঠা।এই তো সামনে শীত আসচে,আরো মজার মজার পিঠা বানিয়ে খাওয়া হবে। অগ্রীম দাওয়াত রইলো।