DIY প্রোজেক্ট-ও সৃষ্টিশীলতার গল্প ||~~ 🌻🌻
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
DIY প্রোজেক্ট-ও সৃষ্টিশীলতার গল্প
বন্ধুরা আজ আমি কঠিন পরিস্থিতির মাঝে সৃষ্টিশীলতার গল্প নিয়ে হাজির হলাম।
নিভা তার ছোট্ট গ্রামের এক কোণে একটি ছোট্ট ঘরে বসবাস করতো। সে ছিলো একজন ক্লে শিল্পী। ক্লে দিয়ে সে বিভিন্ন ধরনের ফুল, পাখি, এবং অন্যান্য নান্দনিক সামগ্রী তৈরি করত। তার শিল্পকর্ম ছিলো তার জীবন, কিন্তু সূর্যমুখী ফুল বানানোর প্রতি তার একটি বিশেষ দুর্বলতা ছিলো।
একদিন, গ্রামে একটি বড় ধরনের ঝড়ের পর, নিভা তার সৃষ্টিকর্মগুলো নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিল। ঝড়ের সময় ঘরের অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার ছিলো, তার সূর্যমুখী ফুলগুলো ঠিকই ছিলো। নিভা দেখলো, ঝড়ের পরে, তার সূর্যমুখী ফুলগুলো যেন আরও সুন্দরভাবে তার ঘরকে আলোকিত করছে। যেন ঝড়ের প্রতিকূলতার পরেও তারা আরও দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
এই দৃশ্য দেখে নিভার মনে একটি নতুন চিন্তা উদয় হলো। সে বুঝতে পারলো, জীবনেও ঝড় আসবে, বিপদ আসবে, কিন্তু তাকে ঠিক সূর্যমুখী ফুলের মতোই দৃঢ় এবং স্থির থাকতে হবে। সূর্যমুখী যেমন সবসময় সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, তেমনই নিভাও প্রতিটি বিপদে আশার আলো খুঁজে বের করতে শিখলো।
নিভা এবার থেকে আরও বেশি সূর্যমুখী ফুল বানাতে শুরু করলো। সে ভাবলো, যতোবার সে এই ফুলগুলো তৈরি করবে, ততবার সে তার নিজের জীবন এবং আশার প্রতীক হিসেবে এগুলোকে ব্যবহার করবে। নিভার এই সূর্যমুখী ফুলগুলো একসময় তার গ্রাম এবং তার আশপাশের গ্রামেও বিখ্যাত হয়ে উঠলো। লোকজন তার কাছে এসে এই ফুলগুলো কিনে নিয়ে যেতো, তাদের নিজেদের জীবনের প্রতীক হিসেবে।
নিভা বুঝলো, জীবনের প্রতিটি ঝড়ের পরেই আসে একটি নতুন সূচনা। আর এই সূর্যমুখী ফুলগুলো হলো সেই নতুন সূচনা এবং আশার প্রতীক। নিভার এই সূর্যমুখী ফুলগুলো যেন তার জীবনেরই এক প্রতিচ্ছবি, যা প্রতিটি বাঁধাকে জয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি এনে দেয়।
এভাবে নিভা তার জীবনকে সূর্যমুখীর আলোতে আলোকিত করে রাখলো এবং তার সূর্যমুখী ফুলগুলো প্রতিটি মানুষের জীবনে আশার আলো ছড়িয়ে দিতে থাকলো।
DIY প্রোজেক্ট-ও সূর্যমুখী ফুল |~~
☆꧁ DIY প্রোজেক্ট- ক্লে দিয়ে সূর্যিমুখী ফুল꧂
ক্লে
কাচি
স্কেল
চুরি
কাঠি
আঠা
প্রথমে চকলেট কালারের ক্লে দিয়ে গোল করে নিলাম। এরপর স্কেলের সাহায্যে এরকম সেভ করে নিলাম।
এবার চারটি ফুলের জন্য চকলেট কালারের ক্লে দিয়ে সূর্যমুখী ফুলের ভেতরের অংশটা তৈরি করে নিলাম। এবং ফুল বানানোর জন্য হলুদ গোল গোল করে নিলাম।
এবার ঠিক এভাবেই ফুলগুলো তৈরি করে নিলাম।
এবার চারটি কাঠের মধ্যে সবুজ রঙের দিয়ে গাছ ও পাতা তৈরি করলাম।
এবার একটি চুরির মধ্যে সবুজ কাপড় ভিজিয়ে আগেই ডিজাইন করে রেখেছিলাম। সেখানে একটি লাল রঙের রঙিন কাগজ আঠা দিয়ে লাগিয়ে সুন্দর করে গাছগুলোর স্থান তৈরি করে নিয়ে সূর্যমুখী গাছগুলো আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিলাম।
তৈরি হয়ে গেল খুব সুন্দর মনোরম সূর্যমুখী ফুলের গাছ। এটি চাইলে আপনি আপনার দেয়ালে কিংবা পড়ার টেবিলে সাজিয়ে রাখতে পারেন।
বন্ধুরা আশা করছি আমার আজকের এই প্রজেক্টটিও আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। অনেক অনেক শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায়। টা টা 🌻
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: ডাই প্রজেক্ট
কমিউনিটি :
আপনার ডাই প্রজেক্ট গুলোর সাথে থাকা গল্প গুলো পড়তে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। আজকের গল্পটাও ভীষণ সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে গল্পের চরিত্রের নিভা নামটা খুবই সুন্দর। এটা ঠিক ঝড়ের পরেই নতুন কিছুর সূচনা হয়। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট পড়ে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডাই প্রজেক্ট এবং রেসিপিগুলোর সাথে আমি চেষ্টা করি নিয়মিত গল্প লেখার জন্য। অর্থাৎ আপনাদেরকে একটু ভিন্নতা দেয়ার চেষ্টা করি এই আর কি। আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম।
আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে যেমন ভালো লাগলো তেমনি আপনার তৈরি করা ফুলগুলো দেখে ভালো লাগলো। সত্যিই আপু আপনার প্রতিভা আমাকে সব সময় মুগ্ধ করে। অসাধারণ হয়েছে আপু। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
আপনার প্রতিভা গুলো আমাকে বেশ মুগ্ধ করে। সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
ক্লে দিয়ে সূর্যমুখী ফুল তৈরি করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। আসলে ক্লে দিয়ে যেকোনো জিনিস তৈরি করলে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে । ক্লে দিয়ে যেকোনো জিনিস তৈরি করতে বেশ দক্ষতার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকারভাবে ক্লে দিয়ে সূর্যমুখী ফুল তৈরি করেছেন বেশ অসাধারণ হয়েছে। নিশ্চয় আপনার প্রশংসা করতে হয়। এত সুন্দর ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ক্লে দিয়ে বানানো সূর্যমুখী ফুলগুলো আপনার কাছে দুর্দান্ত মনে হয়েছে জেনে,অনেক বেশি ভালো লাগলো। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার ডাই প্রজেক্ট এর পাশাপাশি খুব সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন। আর গল্পের লেখাগুলো পড়ে অসম্ভব ভালো লেগেছে। সত্যি আপু জীবনে কোন ঝড় আসলে থেমে না থেকে সাহসের সাথে এগিয়ে যেতে হবে। আর এই সাহস মানুষের জীবনে আশার আলো ছড়িয়ে দিতে পারে। আপনার সূর্যমুখী ডাই প্রজেক্টটিও অসাধারণ হয়েছে আপু। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।
আমি চেষ্টা করি রেসিপি কিংবা ডাই প্রজেক্ট এর সাথে সুন্দর সুন্দর গল্প তৈরি করতে। আর এরকম রূপক গল্প লিখতে আমার কাছে দারুন লাগে। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে সুস্বাগতম আপু 🥰
ক্লে দিয়ে কিছু বানাতে যেমন আমার ভালো লাগে ঠিক তেমনি কেউ কিছু বানালেও অনেক ভালো লাগে দেখতে।আপনি চমৎকার সুন্দর সূর্যমুখী বানিয়েছেন। খুব সুন্দর লাগছে সূর্যমুখী গুলো।ধাপে ধাপে ক্লে দিয়ে সূর্যমুখী বানানো পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা ঠিক ক্লে দিয়ে অনেক কিছুই বানাতে খুব ভালো লাগে বিশেষ করে সূর্যমুখী ফুলটা কিন্তু অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। 🌻🌻
ক্লে দিয়ে খুবই সুন্দর করে আপনি সূর্যমুখী ফুল তৈরি করেছেন। এবং তৈরি করার প্রতিটি ধাপও আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে। ক্লে দিয়ে কোন কিছু তৈরি করলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে আর আমার কাছে ক্লে দিয়ে তৈরি জিনিসগুলো ও অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কাজ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে সূর্যমুখী ফুল আমি খুব বেশি পছন্দ করি। তাই ক্লে দিয়ে এটি বানানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার কাছে দারুণ লেগেছিল ফুল গুলো দেখতে। এত চমৎকার সূর্যমুখী ফুল বানাতে পেরে আমি নিজেও অনেক খুশি। চমৎকার মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।