꧁ সাথী রান্না ঘরে "ইলিশ মাছের" মজাদার রেসিপিও গল্প"꧂☆
সকলকে শুভেচ্ছা । আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
💞ইলিশ মাছের ডিম ভুনা র রেসিপির মজার গল্প 💞
রেসিপি নিয়ে এলাম আজ,
সাথী রান্নাঘরে চলছে
তারি কারুকাজ,
সঙ্গে থাকবে সৃজনশীলতার
মজাদার সেই গল্প,
গল্প মাঝে খুঁজে পাবে
মহা অণুকল্প।
☆꧁ সাথী রান্না ঘরে "ইলিশ মাছের" মজাদার রেসিপির গল্প"꧂☆
ইলিশের ডিমের গল্প: স্নেহ ও স্বাদের পরশ
সিয়ামের কেনা ইলিশ মাছ আর আমার রান্নার এই বিশেষ মুহূর্ত যেন এক নতুন গল্পের শুরু। সিয়াম সেদিন বাজার থেকে নিয়ে এলো এক টাটকা ইলিশ মাছ, যার স্বাদ আর ঘ্রাণ যেন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ল। তার ছোট্ট একটা হাসি আমাকে জানান দিলো, সে কতটা ভালোবাসা দিয়ে এই মাছটি কিনেছে। মা হিসাবে আমি শুধু খুশি নয়, তার প্রতি গর্বিতও বটে।
রান্নাঘরে ঢুকে সেই ইলিশ মাছ কাটতে শুরু করলাম। কেমন যেন এক অদ্ভুত আনন্দে ভরে উঠল মন। সিয়ামের এই উপহার, তার পরিশ্রমে কেনা মাছ, যেন অন্যরকমের তৃপ্তি দিচ্ছিল। আমি ইলিশের বিশেষ ঝোল রান্না করলাম, পেঁয়াজ আর সরষে বাটা দিয়ে। পুরো রান্নাঘর মসলার গন্ধে ম-ম করতে লাগলো। মনে হল যেন সিয়ামের ভালোবাসা আর আমার রান্নার ছোঁয়া একসাথে মিলে গেছে।
জানতাম, এই খাবারের স্বাদ শুধু আমাদের রসনায় নয়, আমাদের ভালোবাসা ও বন্ধনের মর্মেও পৌঁছে যাবে। যখন খাবার টেবিলে ইলিশের ঝোলটা রাখলাম, সিয়াম খুশিতে চকচক করছিল। খেয়ে সে বলল, “মা, তোমার হাতের রান্না আসলেই অসাধারণ!”
এই কথাগুলো যেন আমাকে আরও অনেক তৃপ্তি দিল, কারণ এটি কেবল একটি খাবার নয়, আমাদের মা-ছেলের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের গল্প।
♥☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆♥
সাথী রান্নাঘরে আবারও সবাইকে স্বাগতম। আজ আমি নিয়ে এসেছি আপনাদের সকলের জন্য খুবই চমৎকার একটি রেসিপি। আর সেটা ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গিয়েছেন। বন্ধুরা আজ সাথী রান্নাঘরে থাকছে সুস্বাদু মজাদার ইলিশ মাছের সাথে ঝিঙার মজাদার রেসিপি।
☆꧁প্রয়োজনীয় উপকরন꧂☆
ইলিশ মাছ
ঝিঙা
সরিষা বাটা
আদা বাটা
রসুন বাটা
জিড়া গুঁড়া
লালমরিচের গুঁড়া
হলুদ
পেঁয়াজ
লবণ
তেল
- প্রথমে ভালোভাবে মাছ গুলো ভালো ভাবে ধুয়ে নিয়ে লবণ, হলুদ, লাল মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালো ভাবে মেখে নিবো।
- এবার পিঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও ঝিঙা গুলো ধুয়ে কেটে নেব।
- চুলার মধ্যে একটি করাইয়ে তেল গরম করে মাছ গুলো ভেজে নিবো।
- এবার ভাজা মাছ গুলো করায় থেকে তুলে রেখে ওই তেলের মধ্যে কাঁচামরিচ এবং পেয়াজগুলো ভালোভাবে ভেজে নিয়ে, মসলার সব উপকরণ গুলো দিয়ে ভালোভাবে কষে নেব।
- এবার সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে কোষে নেওয়ার পর ঝিঙ্গা গুলো দিয়ে হালকা কষে একটু পানি দেব সেদ্ধ হওয়ার জন্য। ঝিঙ্গা গুলো সিদ্ধ হওয়ার পর ভালোভাবে কষে হালকা পানি দেবো ঝোলের জন্য। ঝোল গুলো টগবগ করলে তখন মাছগুলো ছেড়ে দিয়ে 5 মিনিটের মতো রান্না করে নামিয়ে নেব।
- রান্না হয়ে গেল আমার সুস্বাদু মজাদার ইলিশ মাছের সাথে ঝিঙ্গা রেসিপি । ভীষণ লোভনীয় এই রেসিপিটি আমাদের পরিবারের সবাই ভীষণ পছন্দ করে। তবে,খেতে দারুন টেস্টি হয়েছিল।
তো বন্ধুরা আমার আজকের এই রেসিপিটি যদি, আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে, তবেই আমার সার্থকতা। আপনারা সকলেই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। টা টা,,
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: রেসিপি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
ইলিশ মাছের লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তৈরি করার রেসিপিটা দেখেই যেন লোভ লেগে যাচ্ছে। ইলিশ মাছ যদিও আমার ভালো লাগে না খুব একটা তারপরও আপনার রেসিপিটা দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।
এই প্রথম আপনার মুখে শুনলাম ইলিশ মাছ তেমন ভালো লাগেনা আপনার। আর আমি ইলিশ ছাড়া অন্য কোন মাছ খাই না। খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার একটি মাছ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু যেভাবে রান্নার বর্ণনা দিলেন তাতে তো আর বাসায় বসে থাকা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে আপনার বাসায় গিয়ে এবার ইলিশ মাছের রেসিপিটা খেতেই হবে। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে আপু রেসিপিটা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ইলিশ মাছের মজাদার রেসিপি শেয়ার।
বগুড়া থেকে নীলফামারী আসতে খুব বেশি সময় লাগে না। তিন থেকে চার ঘণ্টার রাস্তা। চলে আসুন একদিন। সবাই মিলে বেশ মজা করব সেই সাথে মজার মজার রান্না করে পিকনিকের মত করে খাব।
বাহ্! এককথায় দুর্দান্ত একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটা দেখতে আসলেই খুব লোভনীয় লাগছে। ইলিশ মাছের যেকোনো রেসিপি আমার খুব পছন্দ। তাছাড়া আপনি তো ঝিঙা এবং সরিষা বাটা দিয়ে ইলিশ মাছের এই মজাদার রেসিপিটা তৈরি করেছেন। তাই বুঝাই যাচ্ছে এই রেসিপিটা খেতে কতটা সুস্বাদু লেগেছিল। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ইলিশ মাছের রেসিপি আপনার কাছে দুর্দান্ত মনে হয়েছে জেনে খুশি হলাম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সিয়াম ভাইয়ার কেনা ইলিশ মাছ আপনি অনেক মজাদার ভাবে রান্না করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টা দেখেই তো আমার জিভে জল চলে আসলো সাথে সাথে। ইলিশ মাছ খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো একেবারেই নেই বললে চলে। এত মজাদার ভাবে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন ভাইয়া খেয়ে তো তৃপ্তি পাবেই। আর মায়ের হাতের রান্না বলে কথা, আলাদা একটা স্বাদ এমনিতেই থাকে। সিয়াম ভাইয়া এটা তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে শুনে ভালো লাগলো।
মাছের তরকারিটা সত্যিই দুর্দান্ত স্বাদের হয়েছিল।খেয়ে বেশ তৃপ্তি পেয়েছি। তাছাড়া ছেলের আয়ের টাকায় কেনা। এজন্যই তৃপ্তি টা একটু বেশি হয়েছে।
সিয়াম ভাইয়া অনেক পরিশ্রমী একজন মানুষ। আর সব সময় আপনার খেয়াল রাখে আপু। সিয়াম ভাইয়ের কেনা এই মাছ এত সুন্দর করে রান্না করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়েছি। ইলিশ মাছের খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। বেশ ভালো লেগেছে আমার।
এটা ঠিক যে সিয়াম আমার অনেক বেশি খেয়াল রাখে। এবং আমার পছন্দ মত খাবার গুলো আমাকে কিনে খাওয়ায়। তাছাড়া সুন্দর সুন্দর উপহারও দেয়।
ইলিশ মাছের মজাদার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার ইলিশ মাছের সুস্বাদু এই রেসিপির পরিবেশনটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইলিশ মাছের রেসিপি এর পরিবেশন টা যেমন সুন্দর হয়েছে। খেতেও দুর্দান্ত স্বাদের হয়েছিল।
সবাই মিলে ভীষণ মজা করে খেয়েছি।
বাহ একটু আগেই আমি ইলিশ মাছ খেয়ে আসলাম। আবার এখন আপনার ইলিশ মাছের মজাদার একটি রেসিপি দেখতে পাচ্ছি। যাই হোক আপনার তৈরি ইলিশ মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।মজাদার রেসিপিটি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
একদম ঠিক ধরেছেন ভাইয়া। এই মাছের রেসিপি খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। যা আজও জিভে লেগে আছে।
ছেলের কিনে আনা মাছ যখন মা রান্না করে অনেক আলাদা একটা অনুভুতি কাজ করে। তাছাড়া সন্তানের কাছে তার মায়ের হাতের যেকোনো রান্নাই বেস্ট লাগে। তারমধ্যে যদি এমন ইলিশের রেসিপি হয় তাহলে তো স্বাদের কোনো কমতিই থাকে না। আপু আপনি দারুন রান্না করতে পারেন। ইলিশ মাছের এমন লোভনীয় রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। তারমধ্যে আবার মা ছেলের গল্প শুনে মনটা ভরে গেলো। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ছেলের টাকায় কেনা মাছের রেসিপি সুস্বাদু না হয়ে কি পারে। আমি আগে আরও ভাল রান্না করতে পারতাম। এখন পারলেও অনেক কিছু রান্না করার সময় পাইনা।
ইলিশ মাছের" মজাদার রেসিপিও গল্প বাহ্ দারুন। আপনার রান্নার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক বেশি মজাদার হয়েছিলো। সিয়াম ভাই তো জমিয়ে তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে। আপনার রেসিপি দেখে এবং গল্প পড়ে ভালো লাগলো।
রেসিপি সাথে গল্প। সেক অন্যরকম অনুভূতি। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।