আমার অভিজ্ঞতা ||| বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রথম পর্ব।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি ভালো আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। যদিও আমি অসুস্থ তারপরও বলবো বিধাতা ভালো রেখেছেন।
আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ছোট গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন আমার কবিতা লিখতে অনেক ভালো লাগে। কবিতার পাশা পাশি এখন গল্প লিখতেও ভালো লাগে।তাইতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আজ একটি ছোট গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। এটি কোন ফান করার গল্প না এটি বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা।
হৃদয় ও মিশু তারা দুই ভাই বোন ছিল। বাবা মা ভাই বোন মোট চারজন নিয়ে তাদের সংসার।অনেক সুখে তাদের জীবন যাচ্ছিল।মিশু ছিল বড় বোন ও হৃদয় ছোট।দুই ভাই বোনের মধ্যেও ছিল প্রচন্ড মিল।তারা একজন আরেক জনকে ছাড়া কিছুই বুঝতো না।মিশু কোথাও ঘুরতে গেলে ভাইয়ের জন্য কিছু না কিছু একটা কিনে আনতো।আবার হৃদয়ও বাইরে কোথাও গেলে তার বোনের জন্য ও তার বাবা মা-র জন্য সাধ্যের ভিতরে যা হতো নিয়ে আসতো।
মিশুর বাবা একটি কোম্পানিতে চাকরি করতো।আর্থিক অবস্থা যে অনেক তা বললে ভুল হবে।কোন রকমে চলতো তাদের জীবন এবং মায়ের কিছু সহযোগিতায় তাদের সংসার চলতো।দেখতে দেখতে মিশু ও হৃদয় দুজনেই বড় হয়ে গেল।ছোট্ট মিশু ও হৃদয় আজ আর ছোট্ট নেই তারা দুজনেই স্কুল জীবন পার করে কলেজ জীবনের অধ্যায় শুরু করেছে।এভাবে কলেজে যাওয়া আসার পর এইচ এস সি রেজাল্টের পর অনার্সে ভর্তি হল।আর হৃদয় এসএসসি দিয়ে এইচএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছিল।হৃদয় অনেক ভালো একজন স্টুডেন্ট ছিল।
যখন তার মাথায় ঢুকলো তাকে জীবনে ভালো কিছু করতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তখন সে পড়ালেখা ছাড়া আর কিছুই বুঝতো না। হঠাৎ তার মা একদিন ঘুরতে যাবে তার বোনের বাসায় বলে প্রিপারেশন নিলো।কিন্তু হৃদয় কিছুতেই যাবে না।সে নানান অজুহাতে তার মাকে বলল আমাকে বাসায় পড়তে হবে,কোচিং করতে হবে,প্রাইভেট পড়তে হবে। এতো ঘুরলে পড়ালেখায় আমার ব্যাঘাত ঘটে যাবে। তার মা তাকে অনেক জোরাজোরির পর যখন হৃদয় যেতে চাইলো না তখন হৃদয়ের মা তার জন্য অনেক রকমের রান্না করে ফ্রিজ ভর্তি করে রেখে দিল। বিভিন্ন আইটেমের ও বিকালের নাস্তার জন্য কিছু খাবার বানিয়ে সেগুলোও ফ্রিজে রেখে দিল।কারণ মায়ের মন তো ছেলের যেন কোন কষ্ট না করতে হয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- আমার অভিজ্ঞতা "বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রথম পর্ব"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাটার প্রথম পর্ব পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ভাই বোনের মধ্যে যদি এরকম মিল থাকে তখন অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর করে আপনি এই গল্পটার প্রথম পর্ব তুলে ধরেছেন। এই গল্পটার পরবর্তী পর্বে কি হয়, আমার তো তা জানার জন্য অনেক বেশি আগ্রহ জেগেছে। আশা করছি পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন আপু। বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা অনেক সুন্দরভাবে এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন। ভাই বোনের ভালোবাসা তো এমনই হওয়া উচিত। এমন একটি পরিবার সবাই চায়। আশা করি পরবর্তী পর্বগুলোও খুব তাড়াতাড়ি পাব। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা আপু।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো পরবর্তীপর্ব লেখার আগ্রহ পেলাম।
হৃদয় এবং মিশু দুটি ভাই বোন তবে মা বাবাকে নিয়ে তাদের চারজনের সুখের পরিবার। ভাই বোন দুইজন একজনের জন্য একজন অনেক ভালোবাসা। তবে তাদের পড়ালেখ ভালো। বোনের বাসায় হৃদয় না যাওয়ার বায়না ধরে মাকে রাজি করিয়েছে। এবং মায়ের মন বলে কথায় তাই অনেক ধরনের রান্না করে ছেলের জন্য ফ্রিজে রাখল। তবে আপনার বাস্তব গল্পের মধ্যে এখনো কোনো জামিলা দেখতেছি না। বেশ সুখের সংসারে আছে। যাইহোক পরের পর্বে কি ঘটে সে অপেক্ষা রইলাম। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে দ্বিতীয় পর্বটি শেয়ার করবেন।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই বোনের সম্পর্ক এমনই হওয়া দরকার। একজনের জন্য একজন ব্যাকুল থাকবে। তবে আপনার বাস্তব গল্পের হৃদয় ও মিশু ভাই ও বোনের অনেক মিল। যদিও তাদের ফ্যামিলিতে মা-বাবা ছাড়া আর কেউ নেই। চারজনের সুখের সংসার। তবে এখন ভাই বোন দুটি বড় হয়ে গেছে। তবে যেভাবে হৃদয় বোনের বাসায় যেতে রাজি হচ্ছে না। মনে হয় এখানে অন্য কিছু হবে। যাইহোক আপনার গল্পের পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম। আশা করি গল্পটি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কাজ করার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গেল।
আমার কাছে বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে। তবে যাদের সাথে খারাপ কিছু হয় তাদের কথা শুনলে অনেক খারাপ লাগে। এই গল্পটাতে যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো কিছুই দেখা যায়নি, তাই বলতে পারব না কি হবে গল্পের শেষে। কিন্তু গল্পটার প্রথম পর্ব অনেক সুন্দর ভাবে পড়েছি। ভাই বোনের সম্পর্ক যদি এরকম হয় তাহলে অনেক ভালোই হয়। আসলে ভাই বোনের সম্পর্ক হচ্ছে অনেক মধুর। আর তেমনি হৃদয় এবং মিশুর সম্পর্কটাও এরকম।
সুন্দর মন্তব্য করে লেখার গতিকে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
বাস্তব জীবনের গল্প পড়তে সত্যিই খুব ভালো লাগে। এমন সুখী সংসার দেখলে মনটা ভরে যায়। ভাই বোনের এমন মধুর সম্পর্ক দেখলে প্রতিটি মা বাবা খুশি হয়। মিশু এবং হৃদয়ের বন্ডিংটা আসলেই দারুণ। প্রথম পর্ব পড়ে তো সবকিছু ভালোই মনে হচ্ছে। তবে পরবর্তীতে কি হবে সেটা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। আশা করি পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন। যাইহোক এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ এই পরিবারটি অনেক সুখী একটি পরিবার ছিল ভাই।