আমার অনুভূতি গল্প ||| বদলে গেল জীবন শেষ পর্ব।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা রাখি বাংলার এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা পরিবারসহ অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন সুস্থভাবে।আমিও আপনাদের দোয়ায় পরিবারসহ অনেক ভালো আছি এবং সবার সঙ্গে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে আমার সেই "বদলে গেল জীবন" গল্পটির শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হতে চলেছি।জানিনা আমার গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তবে চেষ্টা করছি ভালো কিছু লেখার এবং ভালো কিছু উপস্থাপন করার।আপনারা যে ভাবে সহযোগিতা এবং উৎসাহ মূলক মন্তব্য করছেন। তাতে কাজ করার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে যাচ্ছে এবং লেখার প্রতি আগ্রহটা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। তাই আপনাদের সামনে আরো কিছু সুন্দর গল্প নিয়ে আগামীতে হাজির হব ইন-সা-আল্লাহ।তাই আজকে আর কথা না বাড়িয়ে চলেন আমার "বদলে গেল জীবন" গল্পটির বাকি অংশে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
এর মাঝেই নিলা নীরব কে বলল আপনার সাথে কথা আছে নীরব বললো বলেন এখানে কিন্তু নিলা বললো একটু দূরে চলেন বলে একটু এগোতেই নিলা নিরবকে তার ভালো লাগার কথাটি জানিয়ে দেয়।নিরবও নীলাকে দেখে চোখ ফিরাতে পারল না কারণ নীলা দেখতে অনেক সুন্দর ও স্মার্ট ছিল।এভাবে কেটে গেল আরো কিছু সময়।একটি পর্যায়ে যখন নীলার বিয়ের চাপ এলো তখন তার পরিবারে কে নিলা নীরবের কথা তুলে ধরে।নীলার বাবা-মা কিছুতে মেনে নিল না তাদের ভালোবাসা।নিলার বাবা নিলাকে অনেক বুঝালো এই বলে যে নিরবের বাবা একজন কৃষক।ছোট বেলা থেকে মানুষের কাজ করে খেত আর সেই বাড়িতে আমার মেয়ে যাবে কখনই হতে পারে না।
এদিকে নিলাকে গ্রামের বাড়িতে আসা একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছে এবং বাইরেও তাকে একা ছাড়ে না।নিলার বাবা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে অনেক অপমান করেছে নিরবের বাবাকে কৃষক, ছোটলোক, গরিব এবং লোভী বলে।নিরব এসব সহ্য করতে পারছিল না।তাই সে নিজেকে নতুন ভাবে গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিরব তার বাবা মাকে প্রচন্ড ভালবাসে।তার বাবা মার অপমান যেন কিছুতেই তার মাথা থেকে যাচ্ছিল না।
তাই সে লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি ছোট্ট ব্যবসা শুরু করল।যতই দিন যাচ্ছিল তার বিজনেসের ততই উন্নতি হচ্ছিল।একদিন অনার্সের রেজাল্ট হলো সেই রেজাল্টও ভালো হলো।
কিছুদিন পর নিরবের একটি চাকরিও হলো। তাদের কষ্টের দিনগুলো আর নেই বদলে যায় তাদের দিন। নিলাকে তার বাবা অন্য একটি ছেলের কাছে বিয়ে দিয়ে দেন যদিও পরিপূর্ণ সুখী না তার ভালোবাসার মানুষটিকে ছাড়া।কিছু দিন পর নিলা সেই স্বামীকে যখন সহ্য করতে পারছিল না। সে চলে এলো তার বাবার বাসায়।বাসায় এসে একাই জীবন যাপন করছে আর ব্যবসা ও চাকরির সুবাদে নিরবের বদলে গেল জীবন।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- অনুভূতির গল্প "বদলে গেল জীবন"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আসলে আপু, এই সব এত শত সামাজিক স্টাটাসের কথা চিন্তা না করলে হয়তো গল্পটা অন্যরকম হতো। আমাদের ভালোর জন্যই সমাজ, তা যেন আমাদের উপর বার্ডেন না হয়ে উঠতে পারে, এই ব্যবস্থা টাও আমাদের করতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি, সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।
আসলে এই গল্পটার আগের পর্ব যদিও পড়া হয়নি তবে আজকের পর্বটা অনেক সুন্দর ছিল। ব্যবসা এবং চাকরির কারণে নীরবের জীবনটা বদলে গিয়েছে, আর অন্যদিকে নীলার বিয়ে হলেও সে তার স্বামীকে ছেড়ে চলে এসেছে এবং নিজে একা জীবন যাপন করছে দেখছি। আসলে কিছু বলবে কিন্তু এভাবে দুইটি মানুষের ভালোবাসা ভেঙে দিলে সুখী হওয়া যায় না। নীলা কিন্তু এখন সুখী হতে পারেনি অন্য একটা ছেলের সঙ্গে। তাইতো সে চলে এসেছে। অনেক সুন্দর করে লিখেছেন পুরোটা।
আমার গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আসলে বেশিরভাগ ভালোবাসার সম্পর্কটা ফ্যামিলির কাছে হেরে যায়। অনেক সময় দেখা যায় এই সমস্যাটার জন্য অনেক আত্মহত্যা করছে। আসলে এভাবে দুইটা জীবন নষ্ট করে দেওয়া উচিত না। তাদেরকে যদি মেনে নেওয়া হয় তখন জীবনটা আর নষ্ট হয় না। এখানে কিন্তু নিলার জীবনটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার সাথে তার বিয়ে হয়েছিল তার সাথে সে সুখী হতে পারেনি। অন্যদিকে নিরব তার সবকিছু নিয়ে ব্যস্ত এখন।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
বেশিরভাগ ভালোবাসার মানুষ লাস্ট পর্যন্ত অনেক কষ্ট পেয়ে থাকে।নিলা নিজে নিরবকে অনেক পছন্দ করে। অথচ নিলার ফ্যামিলি নিরবের ফ্যামিলিকে অপমান করেছে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে। যদিও নিরব ব্যবসা করে পড়ালেখা করে ভালো পজিশনে চলে গেলেন। আর নীলা তার বাবার পছন্দ ছেলেকে বিয়ে করে সুখী হয়নি লাস্ট পর্যন্ত বাবার বাড়িতে আসলো। ফ্যামিলির কারণে অনেক সময় অনেক ভালোবাসা অকালে হারিয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে শেষ পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গল্পটি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
আমার অনেক ভালো লাগলো গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে।