আমার অনুভূতি ||| লক্ষণ নির্ধারণ।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি সকলে সুস্থ আছেন এবং পরিবারের সকলকে নিয়ে অনেক আনন্দঘন সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে পরিবারসহ অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি।
আমি সব সময় আপনাদের মাঝে রেসিপি পোস্ট,ডাই পোস্ট, ফটোগ্রাফি পোস্ট, কবিতা এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন নিয়ে উপস্থিত হই।আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার একটি অনুভূতির গল্প শেয়ার করবো। জানিনা আমার এই গল্প আপনাদের কতটুকু ভালো লাগবে এবং কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে।কিন্তু সেটিকে আমি বড় করে দেখছি না। কারণ আমার মনে হয়েছে এই কথাগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা দরকার। তাই আপনাদের সামনে আমার গল্পটি শেয়ার করছি।
এই পৃথিবীতে আমরা যারা পড়ালেখা করি সকলের উদ্দেশ্য একটিই থাকে সেটি হল পড়ালেখা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করব, নিজের পায়ে দাঁড়াবো এবং অনেক বড় একটি চাকুরি করবো।আর লক্ষ্যের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে যদি লক্ষ্য আমাদের এটিই হয় তাহলে পড়ালেখার আকর্ষণটা ঠিক টাকার প্রতি যেমন আকর্ষণ ঠিক সে রকম আকর্ষণই হবে।
আর লেখাপড়ার উদ্দেশ্যটা যদি হয় নিজেকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার। তাহলে সেই লেখাপড়া আমাদের সব কাজে লাগবে।যেমন আমরা যখন কোন গল্প,উপন্যাস পড়ি তখন সেই পড়া থেকে আমাদের জীবনের অনেক ভুল ত্রুটি সম্পর্কে বুঝতে পারি এবং সেখান থেকে আমাদের সেই ভুলত্রুটি গুলোর সমাধান করতে পারি।
আমি যদি ভুল না বলে থাকি তাহলে আমরা যারা এখন লেখাপড়া করছি আর আমাদের বাপ-দাদার সময় যারা লেখাপড়া করেছেন।এই দুই ধরনের শিক্ষিত লোকজনদের যদি ব্যক্তিগত জীবন এবং তাদের সফলতার জীবন আমরা দেখি তাহলে আমরা অনেক বড় ধরনের একটি পার্থক্য খুঁজে পাবো।
তখনকার সময় যারা লেখাপড়া করেছেন তাদেরকে সবাই স্নেহ করতো এবং তারাও সবাইকে সম্মান করতো।আর এখনকার সময় শিক্ষার্থীরা যেমন বড়দের কে শ্রদ্ধা এবং সম্মান করে না ঠিক বড়রাও শিক্ষার্থীদেরকে স্নেহ করে না আগের মত।
তখনকার সময়ের শিক্ষিত লোকজন যদি কোন চাকুরি নাও করেছেন। কিন্তু তাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং তাদের সাংসারিক জীবনটাকে অনেক গুছিয়ে তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন।আর আমাদের পর্যায়ের বেকার সমাজ শুধু লাঞ্ছনা,বঞ্চনা নিশাগ্রস্ততাই সমাজকে দিতে পেরেছে অন্য কিছু দেওয়ার কোন শক্তি বা সামর্থ্য আমাদের এই শিক্ষিত বেকারদের নেই।
আর এই সকল পার্থক্য আমার কাছে মনে হয় পড়ালেখায় আমাদের লক্ষ্য ছিল না, যে নিজেকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলবো উদ্দেশ্য ছিল উপার্জনের।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- আমার অনুভূতি "লক্ষ নির্ধারণ"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপু বর্তমান আর আগের পড়াশোনার উদ্যেশটা দুই রকম। আগে তারা পড়াশোনা করেছে জ্ঞান অর্জন করার জন্য। আর আমরা পড়াশোনা করি টাকা ইনকামের জন্য। আগে যেমন পড়াশোনার গুরুত্ব ছিল ঠিক তেমনি শিক্ষিত মানুষের গুরুত্ব ছিল। আর এখন শিক্ষিতরা বেশি অপরাধে যুক্ত হয়। কারন তারা জ্ঞান অর্জন করে না। ধন্যবাদ আপু।
আপনার সাথে সহমত ভাই।