পাহাড় ভ্রমণ ফটোগ্রাফি। প্রিয় shy-fox 10% beneficiar।
আজকে আমি @santa14 আপনাদের মাঝে আবারও চলে এলাম।আজকে আমি একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।সীতাকুণ্ড পাহাড় ভ্রমণ ফটোগ্রাফি।আসলে এই ফটোগ্রাফি গুলো অনেক আগে করেছিলাম। @rita135 আপুর বাসায় যখন গিয়েছিলাম তখন।তাই আজকে ভাবতে ভাবতে কি পোস্ট করবো। পরে মাথায় এলো কেননা পাহাড়ে ভ্রমণ করার ফটোগ্রাফি গুলো পোস্ট করা যাক।চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড এই পাহাড়ে কতো ছোট বেলার সৃতি ছড়িয়ে আছে বলে শেষ করা যাবে না।যে আপু মারা গেছে ওই আপুর সাথে একবার গিয়েছিলাম। তখন আপু নুপুর হারিয়ে যায় চোরাবালিতে পা আঁটকে গিয়ে।আর বেশির ভাগ সময় যাওয়া হতো পাহাড়ে একটা মাজার ছিলও।ওইখানে প্রতি শুক্রবারে বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। ওই বিরিয়ানি গুলোর মতো এখনো এমন বিরিয়ানি কখনো খাইনি।এতো মজার হতো মাশাআল্লাহ।আচ্ছা চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে শুরু করি আজকের পোস্ট ধাপে ধাপে।
এই পাহাড় টা আপুর বাসা থেকে খুব বেশি দূরে না।এক ঘন্টার রাস্তা বাসা থেকে। রেল স্টেশন পাড় হওয়ার পরে এই সুন্দর প্রকৃতি টা সামনে পড়ে। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। তবে এখানে নাকি কিসের ফ্যাক্টরি করছে তার জন্য বড় বড় পাহাড় কেটে ফেলছে তারা।আগে মতো এই জায়গা টা তেমন একটা পাহাড় নেই বললেই চলে।
এবার যতোই ভিতরের দিকে যাচ্ছি ততই যেনও প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুটে উঠছে।ভিতরে প্রবেশ পথেই দুই পাশে লেবু গাছ সব।এর পাশে টমেটো ক্ষেত করে রেখেছে।বেশ দারুণ মহূর্ত ছিলও পাখির কি সুন্দর কন্ঠের গান।
যতই ভিতরে দিকে যাচ্ছি ততই শান্তি লাগছে। মহান আল্লাহ তায়ালার কতো সুন্দর সৃষ্টি মাশাআল্লাহ।এমন পরিবেশ মন টা ভালো করে দেয়।
দূর থেকে ঝর্ণার পানি ভয়ে আসছে। কি ঠান্ডা পানি ছিলও।সবুজে ঘেড়া এই পাহাড় লাল মাটিতে কতো হাজার পাহাড়ি লেবু গাছ।
এরপর যতো দূর এগিয়ে যাবেন চোখের সামনে শুধু দেখতে পাবেন পাহাড়ি লেবু গাছ। মাশাআল্লাহ প্রতিটি গাছে এতো লেবু এসেছেন। এই লেবু গুলো বাজারে বিক্রি করে।
এইটা হলো আপুর ভাগিনা ওনার কাঁধের ব্যাগে করে আমরা খাবার নিয়ে এসেছিলাম।কারণ ভিতরে খাওয়ার জন্য কিছু পাওয়া যায় না।শুধু খেতে চাইলে শুধু লেবু খেতে পারবেন।যদিও আমরা লবণ মরিচ করে নিয়ে গিয়েছিলাম।লেবু খাওয়ার জন্য খেয়েছিলাম অনেক গুলো লেবু।
এইটা সেই জায়গা যার কথা বলছিলাম।পাহাড়ের উপরের যেই মাজার টা।যেই বড় গাছটা দেখা যাচ্ছে তার নিচেই মাজার টা।তবে অনেক বেশি উপরে। বিরিয়ানি রান্না হয় এই ছোট ঘরের মধ্যে। আর সামনেই অনেক উপরে মাজার টা। আমার মাথায় ঘুরায় তার জন্য উপরে উঠি নাই আমি। আর আপুরা সবাই উঠে।এখানে ঘুরাঘুরি শেষ করে বাসায় রওনা দিলাম।
আশা করি আমার আজকের পাহাড় ভ্রমণ ফটোগ্রাফি। আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে দয়া করে কমেন্ট করে জানাবেন।
ফটোগ্রাফি | পাহাড় ভ্রমণ। |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @santa14। |
ডিভাইস | oppo A54। |
লোকেশন | সোর্স |
আমার নাম শান্তা হাবিব। আব্বুর আদরের মেয়ে ছিলাম তাই আব্বুর নামের সাথে মিল রেখে আমার নাম।আমার স্টিমিট আইডি @santa14।আমি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখে জয়েন করেছি।আমি বাংলাদেশের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় থাকি।আমি একজন ছাএী ডিগ্রিতে পড়াশোনা করছি।আমি গান করতে অনেক বেশি ভালোবাসি।তার পাশাপাশি রান্না করতে আর নতুন কিছু শিখতে পছন্দ করি।ফটোগ্রাফি,আর্ট,ডাই করতে বেশি পছন্দ করি।ঘুরাঘুরি করতেও খুব ভালোবাসি যদিও তা বেশি হয়ে উঠে না।আমার বাংলা ব্লগ কে অনেক বেশি ভালবাসি কারণ এখানে নিজের মাতৃভাষায় লিখতে পারি।
আসলে পাহাড়ে ঘেরা এই সবুজ দৃশ্যের মধ্যে ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। আপনার বোনের বাসা থেকে এই পাহাড়টি বেশি দূরে নয়। মাত্র এক ঘন্টার রাস্তা আর এই পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্যময় মুহূর্ত আপনি উপভোগ করলেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। কি অপরূপ সুন্দরময় পাহাড়ের এই দৃশ্যগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
জি বেশ দারুণ উপভোগ করেছি।প্রকৃতির এই সুন্দর কার না মন কেঁড়ে নিবে না। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি প্রকৃতির গভীরে যত যাবেন ততই প্রকৃতি আপনাকে মুগ্ধ করবে। ঠিক তখন বোঝা যায় আসলে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি কতটা সুন্দর হতে পারে। সীতাকুণ্ড ভ্রমণের কিছু অংশ তুলে ধরেছেন। আপনার কাটানোর কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
পাহাড় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর যদি আমরা অনুভব করতে পারি। যেমন বলেছেন যত সামনে এগিয়েছি ততই সৌন্দর্য খুঁজে পেয়েছি। অচেনা জায়গা গুলো আরো যেন ভালোলাগা সৃষ্টি করে মনের মধ্যে। বড় গাছের নিচে মাজার রয়েছে। অবশ্যই এখান থেকে অনেক কিছু ধারণা পেয়েছেন।
জি ভাইয়া বেশ দারুণ একটি জায়গা মন ভরে যাবে এক নিমিষেই। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কখনো কোন পাহাড়ে এলাকায় আমার যাওয়া হয়নি। তবে খুব ইচ্ছা করে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে বেড়ানোর। আসলে সত্যি কথা বলতে এসব এলাকাগুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড় অঞ্চলগুলোতে অনেক সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে। এই সৌন্দর্য গুলো সত্যিই পর্যটকে বিমোহিত করে।পাহাড় ভ্রমণের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া সময় করে ঘুম আসবেন একবার। আসলে এমন জায়গা তে গিয়ে একটি দীর্ঘশ্বাস নিলে মনে হবে। এর চেয়ে মনে হয় শান্তি কোথাও নেই।
পাহাড় ভ্রমরের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আসলে এই পাহাড়ের ঘেরা সবুজ দৃশ্যের মধ্যে ভ্রমণ করার মুহূর্তটা অন্যরকম হয়ে থাকে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমারও ভ্রমণ করা খুব ইচ্ছা জাগলো।
হ্যা ভাইয়া ঘুরে আসবেন। কারণ প্রকৃতির এমন সুন্দর রূপ আপনার মন ভালো করে দিবে।
পাহাড়ি অঞ্চলে যাওয়ার সৌভাগ্য অনেক বার হয়েছে। আসলে মাঝে মাঝে নির্জন পাহাড়ে সময় কাটাতে পারলে ভালোই লাগে। আপনি অনেকদিন আগে আপুর বাসায় ঘুরতে গিয়ে সীতাকুণ্ড দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলেন। তারই স্মৃতি বিশেষ আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। যেটা আমরা উপভোগ করলাম অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
পাহাড় ভ্রমন করছেন দেখছি। রিতা আপুর বাসায় গিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আবারো আপনারা বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর সময় পেলেন। পাহাড় ভ্রমণ আমিও করেছিলাম ভীষণ ভালো লাগে আমার। পাহাড়ি সুন্দর্য আমাদের মনকে অনেক বিমোহিত করে। চোখের সামনে শুধু পাহাড়ে লেবু গাছ। বেশ কি দারুন লাগতেছে। কিছুটা জঙ্গল জঙ্গল মনে হচ্ছে প্রচন্ড। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
বড় বড় পাহাড় আর জঙ্গল এটাই মনে হয় প্রকৃতির সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া পাশে থেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
প্রকৃতি এমনিতেই অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। আমরা যখন প্রকৃতিতে ভ্রমণ করি তা তখন আমাদের অনেক ভালো লাগে। প্রকৃতি সবসময় তার সৌন্দর্যকে প্রকাশ করতে চায়৷ এভাবে প্রতিনিয়ত সৌন্দর্য প্রকাশ করতে করতে আমরা সেই প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করি। আপনিও সীতাকুন্ডের এই সুন্দর স্থানটি ভ্রমণ করে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই স্থানে আমি অনেক আগে গিয়েছিলাম। আজকে যেভাবে আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখলাম অনেকটাই ভালো লাগলো।
বাহ ভাইয়া তাহলে তো আপনার পরিচিত একটা জায়গা। ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
একদম। অনেকবার এই স্থানে যাওয়া হয়েছে৷
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের পাহাড় ভ্রমণ করেছেন এবং সেখান থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর পাহাড়ের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু। আসলেই আপু ছোটবেলার স্মৃতি যেখানে জড়িয়ে থাকে সেখানে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া। ছোট বেলার স্মৃতি মনে পরে যায়।আর ভিষণ ভালো লাগে আরও মন খারাপও হয়।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।