|| ম্যাসেনজোর ট্যুর | পর্ব-০৪ ||

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করি সকলে ভালো আছেন। ভগবানের আশীর্বাদে আমিও ভাল আছি।

IMG_20220830_224432.jpg

IMG_20220830_224003.jpg

আমার শেষ পোস্টে আমি আমার মেসেঞ্জার যাওয়ার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম, আজকে তার পরের কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
বাড়ি থেকে রওনা দেওয়া শুরু করে হোটেল পৌঁছানো পর্যন্ত প্রথম দিন যা যা ঘটেছে সবই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। আজকে আপনাদের সঙ্গে আমার ট্যুরের দ্বিতীয় দিনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব।

দ্বিতীয় দিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই খুব সুন্দর একটি আবহাওয়া পেলাম । আকাশে বেশ মেঘ করে রয়েছে হালকা ঝিরঝির বৃষ্টি হচ্ছে কখনো সখনো আর বেশ হাওয়া দিচ্ছে । যথেষ্ট ঠান্ডা একটি ওয়েদার ছিল । বেডরুম থেকে বেরিয়ে হোটেলের বাইরে যখন গিয়ে বসলাম অসাধারণ একটি দৃশ্য দেখতে পেলাম ।

IMG_20220830_223912.jpg

বলুন তো এত সুন্দর একটি দৃশ্য দিয়ে যদি সকালটা শুরু হয় কার না মনটা ভালো হয়ে যায়। তো যাই হোক,আমরা প্ল্যান করেছিলাম দ্বিতীয় দিন ড্যামটি ঘুরে দেখব এবং তার আশেপাশে একটি টিলা মতন আছে সেটাও ঘুরে দেখব।
তো প্ল্যান মতন আমরা সকালবেলা তিনভাই মিলে স্নান করে রেডি হয়ে একসাথে ব্রেকফাস্ট করে ড্যামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম। আমাদের হোটেল থেকে ড্যামটির দূরত্ব মোটামুটি দের থেকে দু কিলোমিটার মতন। আমরা সেই পথটি হেঁটে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। মিনিট হাটার পরে আমরা ড্যামের সামনে চলে এলাম।

IMG_20220830_224036.jpg

IMG_20220830_224127.jpg

আপনারা অনেকেই হয়তো এই ম্যাসেনজোর বাঁধটি সম্পর্কে জানেন। যারা জানেন না তাদের উদ্দেশ্যের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে দিচ্ছি।

ম্যাসেনজোর বাঁধ হল ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দুমকা জেলার কাছে অবস্থিত। এই বাঁধটি ময়ূরাক্ষী নদীর উপর তৈরি হয়েছে।মূলত জলবিদ্যুৎ উৎপাদন এর জন্যে এই বাঁধটি তৈরি করা। ময়ূরাক্ষী নদী জুড়ে ম্যাসাঞ্জোর বাঁধটি 1955 সালে চালু করা হয়েছিল। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেস্টার বি পিয়ারসন উদ্বোধন করেছিলেন।
এই বাধে মোট ৩২টি গেট আছে,যেগুলো অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকে,কিছু কিছু সময় খুলে দেওয়া হয়। এই বাঁধের হাইট ৪৭ মিটার আর জল ধারণের ক্যাপাসিটি ৫৪৯.১৩ মিলিয়ন কিউবিক মিটার।

IMG_20220830_224413.jpg

IMG_20220830_224108.jpg

আমরা যখন ড্যামের গেট দিয়ে প্রবেশ করলাম দেখলাম ভেতরের বেশ ভিড় ছিল। তার প্রথম কারণ সেটা ছিল রবিবার আর তারপরের দিন সোমবার ছিল ১৫ ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস এর ছুটি। এই দু-তিন দিনের একটা ছুটিকে কাজে লাগিয়ে সবাই সেখানে ঘুরতে গেছে আমাদেরই মত। ড্যামের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দুদিকে অসাধারণ কিছু দৃশ্য দেখতে পেলাম। ডানদিকের অংশটুকুতে শুধু জল আর জল তার গভীরতা বেশ খানিকটা সেটা বোঝা যাচ্ছিল। এবং তার দুই পাশে অল্প বিস্তার জঙ্গল এবং পাহাড়। আর ড্যামের বাঁ দিকটা ছিল একদমই কম গভীরতাযুক্ত অংশ ও বেশ কিছু পাথর সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল সেখানকার মাটির রং লাল হওয়ার কারণে পাথরগুলিকে দূর থেকে দেখে খানিকটা কমলা রঙের মনে হচ্ছিল। এরও দুইপাশে জঙ্গল পাহাড় দিয়ে ঘেরা।এখানে কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে আমরা আমাদের পরের গন্তব্যের উদ্দেশে রৌনান দিই।সেই অংশ টুকু আগামী পর্বে শেয়ার করবো।আজ এখানেই শেষ করছি।

PXL_20220814_110408329.jpg

@samratsaha

দিন14th August,2022
ক্যামেরা পরিচিতিPOCO M3
Locationম্যাসেনজোর ড্যাম,ঝাড়খণ্ড
Sort:  
 2 years ago 

ম্যাসেনজোর বাঁধ নিয়ে একদম নতুন করে জানলাম। এটা নিয়ে বিন্দুমাত্র কোন আইডিয়া ছিল না আমার। বেশ ভালো লাগলো আর দেখার কৌতুহল টাও বেড়ে গেল। যেখানে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় সেই জায়গাটায় কি গিয়েছিলে? আমার তো মন বলছে ওখানে জলের স্রোত আর শব্দ একদম পাগল করে দেবে।

 2 years ago (edited)

হ্যাঁ দাদা তুমি ঠিকই বলেছো।বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্থানে জলের স্রোত এবং শব্দ প্রচন্ড।কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেখানে যেতে পারিনি, কারণ সেখানে জনসাধারণের প্রবেশের অনুমতি নেই।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 65910.66
ETH 2696.65
USDT 1.00
SBD 2.88