রেসিপি-"বেগুন,টমেটো দিয়ে পোয়া মাছের রান্না"
হ্যালো বন্ধুরা,
বন্ধুরা আমার পোয়া মছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করার আগে উপকরণ গুলো নিয়ে দেখাবো।
উপকরণ প্রণালী | পরিমাণ সমূহ |
---|---|
পোয়া মাছ বড় সাইজের | ৮/১০ টুকরা |
পেঁয়াজ | ২ টা |
রসুন | ৩ কোয়া |
বেগুন মাঝারি সাইজের | ১ টি |
টমেটো | ২ টি |
মরিচের গুঁড়া | ৩ চামচ |
হলুদ গুঁড়া | দেড় চামচ |
ধনিয়ার গুঁড়া | ২ চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চামচ |
তেল | পরিমাণ মত |
লবণ | স্বাদমত |
আমি সব উপকরণ নিয়েছি। এবার রান্নাতে চলে যাব।
ধাপ-এক
প্রথমে আমি মছের আঁইশ ও ময়লা ফেলা দিয়ে মাছ সাইজ করে কেটে নিবো। মছটি সাইজে বড় ছিল। তাই আমি ৮ থেকে ১০ টুকরা নিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিয়েছি। ধুয়ে নেয়ার পর আমি মাছ গুলো এক সাইডে রেখে দিয়ে অন্য কাজ করে নিবো। এখন আমি অন্য ধাপে চলে যাব।
ধাপ-দুই
এই ধাপে এসে আমি সব উপকরণ নিয়েছি। এখানে আমি পেঁয়াজ, রসুন নিয়েছি। আমি এখানে নিয়েছি মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, ধনিয়া ও জিরার গুঁড়া নিয়েছি। বেগুন নিয়েছি কেটে একটি আর টমেটো নিয়েছি দুইটা। ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি।এখন সব উপকরণ হাতের কাছে রেখে রান্নায় চলে যাব।
ধাপ-তিন
রান্নার জন্য একটি পাত্র চুলায় বসায় দিবো। চুলার জাল মিডিয়াম আঁচে রাখতে হবে। রান্নার পাত্রটি গরম হয়ে আসলে পরিমাণ মত তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ আর রসুন পেস্ট দিয়ে দিয়েছি। নেড়েচেড়ে দিবো যাতে পুড়ে না যায়।মসলা ভাল করে কষিয়ে নিবো।
ধাপ-চার
পেঁয়াজ, রসুন কষা হয়ে গেলে তাতে মরিচ, হলুদ, জিরা ও ধন্যার গুঁড়া দিয়ে ভাল করে মিক্স করতে হবে। হালকা তেলে ভেজে পানি দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। সাথে স্বাদ মত লবণ ও দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-পাঁচ
এই ধাপে এসে মসলা কষা শেষ হলে মাছ দিয়ে দিবো। মাছ মসলাতে হালকা কষিয়ে সবজি দিয়ে দিতে হবে। এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমি টমেটো আর বেগুন দিয়ে দিয়েছি। সব গুলো দেওয়া শেষ হলে আবার একটু কষিয়ে পরিমাণ মত ঝোল দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-ছয়
এখন আমি পরিমাণ মত ঝোল দিয়ে দিয়েছি। ঝোল দেওয়ার পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। মাছ আর সবজি ভাল মত সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রাখতে হবে। প্রায় সিদ্ধ হয়ে এসেছে।পোয়া মাছের রেসিপি রান্না হয়ে গেছে। বেগুন, টমেটোর মিক্স পোয়া মাছ রান্না শেষ। এখন পরিবেশনের ধাপ।
ধাপ-সাত
বন্ধুরা এতক্ষণ আমার আজকের ব্লগিং বেগুন, টমেটো দিয়ে পোয়া মাছ রান্না দেখছেন। এখন আমি পরিবেশেনের জন্য একটা বড় বাটিতে নিয়েছি। দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। খেতে ও অনেক মজার হয়েছে।ধন্যবাদ সবাইকে সময় দিয়ে দেখার জন্য। আমার রেসিপি আপনাদের কাছে ভাল লেগেছে কিনা কমেন্টে জানাবেন।আপনাদের ভাল লাগা মানে হচ্ছে আমার কাজের প্রতি উৎসাহ বেড়ে যায়।
আমার আজকের রেসিপির ছবি ও রেসিপির তথ্যঃ
তথ্য গুলো সম্পূর্ণ আমার থেকে লিখেছি এবং ছবি গুলো আমার মোবাইলের ধারণ করা।
নিম্নে ক্যামেরার বর্ণানা দেওয়া হলো
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Wiko,T3 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
মডেল | W-V770 |
লোকেশন | নিজ বাসায় |
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ এর ভাই-বোনেরা আমার আজকের লেখা শেষ করছি। সবাই ভাল থাকবে, সুস্থ্য থাকবেন আশা করি।
আবার নতুন ব্লগিং নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধ্যন্যবাদ সবাইকে
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar।
আমি গান করতে আর গান শুনতে ভালবাসি। আমি লেখালিখি করতে পছন্দ করি।
আমার সবচেয়ে প্রিয় ভ্রমণে যাইতে। আর ছবি তুলতে ভালবাসি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগিং করতে আমার বেশী ভাল লাগে। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।
বাংলা আমার মাতৃভাষা,
আমি বাংলাকে ভালবাসি!
বাংলাতে গান গায়!
বাংলাতে মরণ যেন হয়!
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমার স্টিমিট এর যাত্রা যেন সফল হয়।
Cultivating some plant joy 💚🌱 with a resteemed!
বেগুন,টমেটো দিয়ে পোয়া মাছ রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে দারুন হয়েছিল।আপনার পোস্টের মাধ্যমে পোয়া মাছ চিনতে পারলাম।আমি আসলে অনেক মাছের নাম জানি কিন্তু কোনটা কি মাছ এটা বুঝতে পারিনা।দ্ধন্নবাদ আপনাকে আপু সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু পোয়া মাছ খেতে সুস্বাদু হয়।আমি ও আপনার মত অনেক মাছের নাম জানিনা ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ আপু সহযোগিতা করার জন্য।
বেগুন,টমেটো দিয়ে পোয়া মাছের রান্না রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন।আপনার রেসিপির পরিবেশন অনেক ভালো লেগেছে।
খুব সুন্দর মতামত দিয়েছেন ভাল লাগলো ভাইয়া।ধন্যবাদ
পোয়া মাছ বাজারে দেখেছি , আবার ফেরি করে বিক্রি করতে নিয়ে আসাও দেখেছি বেশ কয়েকবার। তবে কখনো খাই নি। খেতে কেমন সেটাও জানি না। আজকে আপনার রেসিপি পোস্টের মাধ্যমে দেখে বেশ ভালো লাগলো। তরকারির রং দেখে মনে হচ্ছে ঝাল হয়েছে বেশ। আমি তো ঝাল খেতে পারি না, তাই তরকারি দেখে প্রথমে ওই ব্যাপারটায় মাথায় এসেছে 😊
আসলেই ঠিক বলেছেন পোয়া মাছ টা অনেক পাওয়া যায়। খেতে খারাপ না ভাইয়া।একদিন খেয়ে দেখিয়েন ভাল লাগবে।
এলার্জির কারনে বেগুন খুব বেশি একটা খাওয়া হয়না। তবে পোয়া মাছ কিন্তু আমার অনেক পছন্দের একটি মাছ। যেহেতু পোয়া মাছ দিয়ে এই রেসিপিটি করা তাই এলার্জির প্রবলেম হলেও খেতেই হবে। সুস্বাদু রেসিপি এটি।
ভাইয়া আমার ও অনেক এলার্জি আছে।কিন্তু এসব মেনে চললে তো খাবার সব বাদ দিতে হবে😄😄তাই আগে খাওয়া পরের টা পরে।ধন্যবাদ
মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। বেগুন দিয়ে যে কোন তরকারী রান্না করলে বেশ ভালো লাগে। ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর করে মনের ভাব প্রকাশ করেছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
বেগুন টমেটো দিয়ে পোয়া মাছের রেসিপি আপনি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দর করে সবকিছু বর্ণনা তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন,খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সব সময় সহযোগিতা করার জন্য।
চমৎকার করে করেছেন আপনি আপনার বেগুন,টমেটো দিয়ে পোয়া মাছের রান্না। দেখতেও খুবই সুন্দর হয়েছে। তবে আপনার পোস্টে মনে হয় আপনি ভুল করেছেন। আপনার রেসিপি-র টাইটেলে বেনিফিশিয়ারি দেখছি না। পারলে সংশোধন করে নিয়েন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমি ভাইয়া টাইটেলে দিই না তবে এড করেছি।টাইটেলে না দিলে কি সমস্যা ভাইয়া?প্লিজ সহযোগিতা করবেন খুশি হবো🙏🙏🙏
বেগুন আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। কিন্তু বেগুন দিয়ে পোয়া মাছ রান্না আগে কখনো খাওয়া হয়নি। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছে। যে কোন মাছের সাথে টমেটো দিলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।