।।"কেনিয়া থেকে আসা কিছু উপহার পাওয়ার অনুভূতি"।। ১০% বেনিফিসিয়ারি প্রিয় Shy-fox কে
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসীরা!
সবাইকে আসালামুআলাইকুম/আদাব/নমস্কার!!
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar। শুরুতে সবাইকে অভিনন্দন ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।প্রতিদিনের মত আমি আজও হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের সাথে আমার ভালো লাগা-মন্দ লাগা বিষয় শেয়ার করার জন্য।প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগিং করতে আমার খুবই ভাল লাগে।ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে পোষ্টের গুণগত মান ও সৃজনশীলতা বজায় রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।আমার পোস্ট আপনাদের কেমন লাগে আমি জানিনা।কিন্তু আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করি আপনাদেরকে ভাল কিছু দেওয়ার জন্য।সেই সুবাদে আমি আজ আপনাদের সাথে আমার একটা ভাল লাগার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি।
"আমার ভাল লাগার অনুভূতির গল্প"
বন্ধুরা,আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে বিষয় নিয়ে,সেটা হচ্ছে কিছুদিন আগে কেনিয়া থেকে আগত অল্প কিছু উপহার স্বরূপ পেয়ে থাকি। তবে বিষয়টা হচ্ছে উপহার কতটুকু? কি পরিমান ?কে দিল সেটা বড় কথা নয়! আমার কথা হচ্ছে কেউ একজন যখন ভালোবেসে, সম্মান করে, মানবিকতার খাতিরে কিছু একটা দেই তাহলে সেটা অনেক ভালোলাগার/অনুভূতির কাজ করে।আমার হিসেবে জিনিসটা কম দামের হোক বা বেশী দামের হোক সেটা ম্যাটার করে না।সেটা দুই টাকার জিনিস হোক তারপরও আমার জন্য অনেক মূল্যবান একটা জিনিস।কারণ যিনি দিবেন তিনি অন্তর থেকে ভালোবেসে দিবেন।যার সামর্থ যতটুকু, যার দেবার ক্ষমতা যতটুকু সেই তাহা ভালোবেসে দেয়।
এবার মূল কথায় আসি।কিছুদিন আগে আমার হাজবেন্ডের অফিসের বিগ বস ছুটিতে গেছিল কেনিয়াতে।উনি কেনিয়া থেকে এসেছেন বাংলাদেশের কক্সবাজারে।নিজের পরিবারের কাছে ছুটি কাটিয়ে আবার বাংলাদেশে ফিরে এলেন।তখন সবার জন্য নিশ্চয়ই কিছু না কিছু আনছেন।অফিসের মধ্যে ২০০ অব্দি স্টাপ আছেন।নিশ্চয়ই যাদেরকে ভালো লাগে সবার জন্য নিয়ে এসেছে কিছু না কিছু।
একদিন বিকেলে আমার হাজবেন্ড অফিস থেকে আসার পরে অফিসের ব্যাগ থেকে আমাকে একটা চকলেট বক্স এবং একটা চায়ের বক্স এবং একটা চাবির রিং দেয়।আমি জিজ্ঞেস করলাম কে দিয়েছেন। উনি বললেন আমার অফিসের বিগ বস ছুটিতে গেছিলেন।উনি এসেছেন।বস আসার পরে আমাকে এগুলো দিছেন তোমাদের জন্য।আমার সত্যি অনেক ভালো লাগলো।শুনেছি কেনিয়ার চা নাকি অনেক ভালো।বাচ্চারা চকলেট নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিলো।আর আমি চায়ের প্যাকেট টা খুলে দেখলাম দেখে মনে হল যে কোয়ালিটি পূর্ণ একটি চা।
তাই আমি আর দেরি না করে চুলায় গরম পানি বাসায় দিলাম।সিদ্ধ হলে পানি নামায় ফেলে কাপ নিয়ে টি ব্যাগ গরম পানির মধ্যে দিয়ে দিলাম।দেখতে চমৎকার একটা কালার আসলো।দেখেই আমি অনেক এক্সাইটেড।চারের মধ্যে দুধ এবং চিনি মিশিয়ে যা দেখলাম সত্যিই বিশ্বাস করা যায় না।চায়ের কালারটা একদম গোল্ডেন কালার হয়ে গেছিল।যা আমি আপনাদেরকে ছবির মাধ্যমে শেয়ার করেছি। আমার ফটোগ্রাফির চেয়ে আরো অনেক সুন্দর ছিল।সত্যিই স্বাদে ও ছিল অতুলনীয় একটি চা।
গরম গরম চায়ের স্বাদ অনুভব করতে লাগলাম।চায়ের স্বাদ এবং কালার কোনটার কমতি ছিল না।অনেক টেস্টি ছিল।
তখন আমি আমার হাসবেন্ড কে বললাম,আমি যে চা খাচ্ছি,আমার যে অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে আমি কি এই চা এখানে পাব? তখন উনি বললেন অবশ্যই পেতে পারে। তখন আমি বললাম ঠিক আছে সমস্যা নেই, তাহলে আমি খাওয়া শুরু করলাম।শেষ হয়ে গেলে যেন আমার এরকম আর একটা প্যাকেট লাগবে।
বন্ধুরা, আসলেই ব্যাপারটা হচ্ছে উপহার ছোট-বড় সেটা কোন ব্যাপার না। আসলেই কেউ যখন ভালোবেসে কোন একটা জিনিস পাঠায় অনেক ভালো লাগে।সেই অনুভূতিটা আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে আমার শেয়ার করা আজকের অনুভূতিটা।ধন্যবাদ সবাইকে আমার অনুভূতিটা সময় দিয়ে পড়ার জন্য।আজ এই পর্যন্ত।
ফটোগ্রাফিতে ব্যবহৃত ডিভাইসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমূহ
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
লোকেশন | বাসা কক্সবাজার |
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।তাই আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
উপহারে থাকে ভালোবাসার ছোঁয়া। তাই ছোট-বড়, দামী-সস্তা কিছুই ম্যাটার করে না। চায়ের রংটা বেশ স্বচ্ছ মনে হচ্ছে। দামী চায়ের এটাই গুণ।কেনিয়ার চা যখন তখন হয়তো দামটা বেশী হতে পারে। Lindt চকলেট ভীষণ সুস্বাদু। আমাদের এখানেও পাওয়া যায় তবে এতগুলো ফ্লেভার আমি খাই নি। শুধু ডার্ক চকলেট এবং মিল্ক চকলেট খেয়েছি।বেশ সুস্বাদু।
চকলেট গুলো অনেক মজার ছিল।তবে চায়ের কথা আর কি বলব, যেমন কালার তেমন স্বাদ।শেষ হয়ে গেলে আমাকে এটা মার্কেটে গিয়ে খুঁজে দেখতে হবে পাব কিনা।
হা হা হা। খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল।তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম চায়ের কালার টা।
আসলে আপু ছোট হোক কিংবা বড় কারো কাছ থেকে কোন গিফট পেলে ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে টাকা আসলে গিফটের মূল্যটা কখনো নির্ধারণ করা যায় না। বিশেষ করে আপনার হাজবেন্ডের অফিসের বিগ বস গিফট গুলো দিয়েছে এটা তো আরো বেশি ভালো লাগলো। চকলেট দেখে বাচ্চারা তো টানাটানি করবেই। আর সত্যিই চা টা দেখেই মনে হচ্ছে ভীষণ দারুন হয়েছে। মনে হচ্ছে যদি একটু চায়ে চুমুক দিতে পারতাম।
আপু চায়ের কথা কি আর বলব। আমার নেশায় পরিণত হয়ে গেছে। শেষ হয়ে গেলে আমাকে আবার খুঁজে নিতে হবে এই চা।খেতে আসেন আপনাকে বাসায় চাইয়ে দাওয়াত দিলাম।
সত্যি কতাবলতে আপু উপহারতো উপহারি ছোট-বড়, দামী-সস্তা এগুলো কোনো বিষয় না।ভালোবেসে যে যেটা দেই আপন মনে গ্রহণ করতে হয়। আপনার পোষ্ট অনেক সুন্দর ছিলো।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দিয়ে সহযোগিতা করে পাশে থাকার জন্য।
উপহার সব সময় মানুষ এর মন কে খুশি রাখি।তাও আবার
সদুর কেনিয়া থেকে এসেছে শুনেই ভাল লাগছে।আপনার অনুভুতি বুঝতে পারছি দারুন উপস্থপনা করেছেন শুভ কামনা আপু ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।