ভার্সিটির একটি প্রোগ্রাম || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৩১শে আগস্ট, বুধবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। প্রায় সময়ই আমাদের ভার্সিটিতে কোন না কোন প্রোগ্রাম হয়ে থাকে, সেরকমই একটি প্রোগ্রাম নিয়ে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করব আশা করি ভালো লাগবে।
প্রায় সময়ই আমাদের ভার্সিটিতে কোন না কোন প্রোগ্রাম হয়ে থাকে, আমাদের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট স্টুডেন্ট বেশি থাকলেও অন্য ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট বেশি একটিভ। যেমন ধরুন কিছুদিন পর পরই তাদের কোনো না কোনো একটি প্রোগ্রাম থাকে ক্যাম্পাসের মধ্যে, কোথাও ঘুরতে যাওয়া হই-হুল্লোড়, সে তুলনায় আমার ডিপার্টমেন্টের মানুষেরা বেশ বোরিং।
বেশিরভাগ মানুষই জব করছে কিংবা বিজনেস পরিবার নিয়ে তাদের ব্যস্ততা, তারা ঠিক ভাবে ছাত্র জীবনটাকে উপভোগ করতে পারছে না। যদিও সবাই আমার বয়সে বড় 😂 , সেক্ষেত্রে বলা যায় আমার ডিপার্টমেন্টে আমার বন্ধুবান্ধব খুব কম। অন্য ডিপার্টমেন্টে বন্ধুবান্ধব তৈরি করব তখন আবার আমার ডিপার্টমেন্টের মানুষেরা একটু মন খারাপ করে আমি তাদেরকে সময় না দিয়ে অন্য কাউকে সময় দিলে।
আমি চাই বন্ধুরা একটু ঘুরাঘুরি করবে সাংস্কৃতিক বিষয় সাথে সংযুক্ত থাকবে, কিন্তু আমার ডিপার্টমেন্টে তেমন কেউ নেই তাই মাঝে মাঝে অন্য ডিপার্টমেন্টের তাদের সাথে টুক-টাক কথা হয় বন্ধু বলা চলে না। হঠাৎই একজন বড় ভাই আমাকে ফোন করলেন তিনি বেশ অনেক বছর আগেই ভার্সিটি থেকে পাশ করে বেরিয়ে গেছেন, তিনি আমাকে বললেন ভার্সিটির প্রোগ্রামে মিউজিক করার জন্য।
এরপর ইনভারমেন্ট ডিপার্টমেন্টের একজন শিক্ষক আমাকে বেশ কয়েকবার ইনভাইট করে তাদের সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য। আমি তাদেরকে কথা দিলাম আমি আসবো। সেই শিক্ষক আমাকে একটি মিউজিক ঠিক করে দিলেন আমিও রাজি হলাম।
হুট করেই রাতের বেলা আরো কিছু ভাইয়েরা ফোন করলো বললো আমার নাকি দুটো মেয়ের সাথে ডুয়েট গানের কথা চলছে, আমি যেন কোনোভাবেই ডুয়েট গানে রাজি না হয়। আমি এমনিতেও রাজি হতাম না কিন্তু কেন তারাই এমন করল বিষয়টা পরে বুঝতে পেরেছি।
আমাকে জানানো হয়েছিল প্রোগ্রাম শুরু হবে সকাল দশটায়, আমি তাড়াহুড়ো করে ঘুম থেকে উঠে কোনভাবে দৌড়ে গেলাম ভার্সিটিতে, গিয়ে দেখি আমি ছাড়া কোন নেই, মনটাই খারাপ হয়ে গেল দারোয়ান মামা বলল ১০ টায় প্রোগ্রাম হলে সবাই দেখবেন ১২ টায় আসবে। আমার মন ভেঙে গেল 😓 এত কষ্ট করে আসলাম, হলরুমে আসার পরেই আমাকে একটা দায়িত্ব দেয়া হল মাইকে কথা বলার, সাউন্ড সিস্টেম সব ঠিক করা হচ্ছে আমার দায়িত্ব হ্যালো হ্যালো বল, এমনিতেই বিরক্ত লাগছে তার উপর হ্যালো হ্যালো করতে করতে ঘন্টাখানেক পায়।
আসলে খারাপ লাগার আরও একটি কারণ হচ্ছে চারপাশে যারা রয়েছে সবাই কোন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক কিংবা ছাত্র-ছাত্রী, আমার ডিপার্টমেন্টের কেউই নেই তাই নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে, আগেই বলেছিলাম অন্য ডিপার্টমেন্টে তেমন বন্ধু বানানো হয়নি, সাউন্ড সিস্টেম ঠিক করার পরে আমি বাইরে আসলাম চা খাওয়ার জন্য, কিছু সময় বাইরে কাটানোর পরে বারোটার দিকে আমি ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকি।
ভার্সিটিতে প্রায় বছরখানেক হয়ে গেছে কিন্তু এখনও আমি সকল শিক্ষক কে চিনি না শুধু আমার ডিপার্টমেন্ট ছাড়া, সামনের দিকে বসলাম আমি, এক টিচারকে আমার গানটি দুইবার শোনালাম তিনি ওকে বললে আমি একটু রিলাক্স থাকলাম। শুরু হয়ে গেল বক্তব্য, দু একজন টিচারের বক্তব্য সত্যি খুব ভালো লেগেছে তারা বেশ ভালো বক্তা, আর কয়েকজন টিচারের বক্তব্য শুনে ঘুম চলে এসেছিল।
এরপর শুরু হল আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অনুষ্ঠানের কিছু সময় পর জানতে পারলাম এই আপুর সাথে আমার একটি ডুয়েট গান করার কথা ছিল তিনি নিজেই প্রস্তাবনা দিয়েছিল , কিন্তু যেহেতু কিছু বড় ভাই চায়না আমরা ডুয়েট করি তাই আর করা হয়নি 😂😂 এমনিতেও প্রস্তুতি ছিল না আমি নিজেই না করে দিতাম। আপু খুব সুন্দর ভাবে সাজুগুজু করে এসেছিল যেন কোন বিয়ের প্রোগ্রাম। বেশ মজা হলো সেট গান পরিবেশন করলো কারোকিও মিউজিকের সাথে। পূর্বের কয়েকটি প্রোগ্রাম করার কারণে তার সাথে টুকটাক কথা হয়েছে আমার শুধু এতোটুকুই, আমি তার নাম জানি এবং সেও আমাকে বেশ ভালো করে চেনে।
দ্বিতীয়তে আমি চলে আসলাম, যেহেতু আমার কোন বন্ধু বান্ধব নেই তাই আমার ছবি তোলার মতো কেউ ছিলনা, ছবি বা ভিডিও অনেকেই করেছে কিন্তু তাদের কাছ থেকে পরবর্তীতে নেয়ার মত পরিস্থিতি ছিলো, আমার এই ছবিটি আমার ভার্সিটির অফিসিয়াল পেইজ থেকে পোস্ট করা হয়েছিল, তাই এরকম একটি ছবি আমি পেয়েছি তা না হলে মিউজিক করা অবস্থায় আমার তেমন কোনো ছবি নেই বললেই চলে।
এরপর কুইজের একটি ব্যবস্থা করা ছিল, আমি দুইটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতাম কিন্তু সাহস করে আর বলা হয়ে ওঠেনি, আমার মুখে উত্তর শুনে পাশের সিটে বসে থাকা এক আপু পুরস্কার জিতে নিল। পুরস্কার বিতরণ করা হলো বই, নিজের বই পড়া হয়না অন্য বই আর কিভাবে পড়বো 😂
প্রোগ্রাম শেষ হলে সবাইকে নাস্তা দেয়া হলো, দুপুর ২ টা বেজে গেছে, সবাই বন্ধু মহলের সবাইকে নিয়ে একেক জন একেক দিকে চলে গেল, যেহেতু আমার ডিপার্টমেন্টে আমি একা ছিলাম আমি আস্তে আস্তে রিলাক্স মুডে ক্যাম্পাস থেকে বের হলাম। তারপর দেখলাম সেই সুন্দরী আপু দাঁড়িয়ে আছে সাথে তার বন্ধু।
আপু আমাকে ডাক দিলো কেমন আছি ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাইল, আপু আমাকে বলল চলো দুপুরে লাঞ্চ করে আসি একসাথে, আমি বললাম না আপু আমার একটু কাজ আছে বাসায় যেতে হবে, তারপর আপু ভার্সিটির সাথে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ছবি তুলল, এবং আমাকে বলল তার সাথে সেলফি তে আসার জন্য। তারপর কয়েকটি সেলফি তোলা হলো। তারপর আমি তাদেরকে বিদায় জানিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
ফটোগ্রাফার | @sajjadsohan |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/juggler.extension.surcharge |
ডিভাইস | Xiaomi Redmi Note 10 Pro Max , iphone 13 pro max & Canon DSLR |
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাহ সুন্দরী আপু তো আসলেই সুন্দরী দেখা যায়। ভালো একটি দিন কাটিয়েছো বন্ধু। শুভেচ্ছা রইলো।
নজর দিয়ে লাভ নাই বন্ধু ভার্সিটির অনেক বড় বড় নেতারা রয়েছে, তারা আগে থেকেই আপুকে নিয়ে অনেক সিরিয়াস 😂