রাজশাহী ট্রাভেলিং এর ১ম দিন || 10% Beneficiaries

এর আগেও অনেকবার ঘুরতে গিয়েছি তবে এবারের ঘুরতে যাওয়াটা ছিল একটু ভিন্ন। অনেক মানুষের কাছ থেকে শুনেছি ব্যবসায়ের কাজে ঢাকার বাহিরে যাচ্ছে। আমি তখন স্বপ্ন দেখতাম যে নিজের একটা প্রতিষ্ঠান থাকবে যার জন্য আমি ঢাকার বাইরে যাব। আজ হয়তো আমার সেই স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে। আমি আসলে অনলাইনে ব্যবসা করে থাকি। তবে সব সময় নিজের ব্যবসার কাজের জন্য কোয়ালিটির দিকে খুব বেশি নজর দিয়ে এসেছি। আমার হঠাৎ মাথায় একটা চিন্তা আসলো যেহেতু এখন শীতকাল আর এই শীতে কমবেশি সবাই পিঠা তৈরি করে বাসায়। আর আমরা সবাই জানি যে পিঠা তৈরি করতে খেজুরের গুড় সবাই ব্যবহার করে থাকে। তাই আমি চিন্তা করলাম যে আমি খেজুরের অরজিনাল গুড় সবার হাতে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করব।

আমার এর আগে এত দূরের পথে কখনো ট্রেনে চড়ে যাওয়া হয়নি। এবার তাও হয়ে গেল। কিন্তু মজার বেপার হচ্ছে টিকেট পাই নাই। পরে টিকেট ছাড়াই ট্রেন এ উঠার পরিকল্পনা করে ফেলি। এবার আমরা যখন ট্রেনে উঠবো তার আগে টিকিট চেক করছিল। কিন্তু আমাদের কাছে তো টিকিট নেই 🤫।আমরা ৪ জন ছিলাম এক সাথে। হুট করেই বড় ভাই বলে ফেলে ভাইয়া টিকিট অন লাইনে কেটেছি। তখন বলেছে আচ্ছা ঠিক আছে হাহহাহাহহা।

কোন মতে ভিতরে তো গেলাম কিন্তু সিট যে নেই। কি আর করবো 4 জন মিলে লুডু তে গেম খেলা শুরু করে দিলাম। আর ফাকে ফাকে আমি ডিস্কোর্ডে সময় দিলাম। কিছু সময় পর আরেকটা মজার বিষয় হয়ে গেল। সেটা হচ্ছে কিচেন এর দায়িত্ববান একজন বলতেছে টিকিট কই? আমরা বললাম পাই নাই 🤓। বলতাছে 12 শত টাকা দিন ব্যাবস্থা হয়ে যাবে🤓। আমরা 1000 টাকা দিলাম। কিন্তু একটু পরে টিটি এসে বলতেছে আপনাদের টিকিট কই? আমরা বলে দিলাম এই ভাবে এই হয়েছে। বলল ডাক দিন উনাকে। আমাদেকে কোন বাজে কিছু বলে নাই। শুধু বলেছে আপনারা ছাত্র মানুষ এগুলা করেন কেন? এত ভালো ব্যাবহার কেন করেছেন জানেন? কারন আমাদের সাথে যেই বড় ভাই ছিলেন তিনি বাংলাদেশ এর বেশ জনপ্রিয় মানুষ। এই ট্রেন এর পরিচালক ওই ভাইকে অনেক সম্মান করে। আর সেই বিষয় টি ওই টিটি একবার দেখেছিল। বড় বিষয় হচ্ছে আমাদের সাথের ভাই অন্যের পরিচয় দিয়ে চলতে লাইক করে না।

এত সময় সিট নেই কি করবো। একটা সময় নিচেই বসে পরি। আসলে ৪ জন এক সাথে ছিলাম তাই সময় টা ভালোই গিয়েছে। খুব গল্প করি সবাই। তবে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে বাস এর চাইতে ট্রেন টা বেস্ট। এদিকে সেদিকে যাওয়া যায়। হাটা চলাও করা যায়। খারাপ না সব দিক থেকেই বেস্ট।

সব মিলিয়ে সময়টা কেটে যায়। কাল হয়ে যায় আমি চলে আসছি রাজশাহীতে। আসার পর যে ভাইয়ের কাছে এসেছি তার অফিসে উঠলাম। অফিসে বসেই আমার এই ছবিটি তুলেছি। আলহামদুলিল্লাহ সব মিলিয়ে রাজশাহীতে আসোনা আমার কাছে বেশ মজার এবং আনন্দদায়ক ছিল। ইনশাল্লাহ পরবর্তীতে আমি যে কাজের উদ্দেশ্যে এসেছি তা নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আপনারা সবাই আমার পাশে থাকবেন আমাকে সাপোর্ট করে যাবেন।