প্রিন্সেপ ঘাটে কাটানো কিছু মুহূর্ত

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমষ্কার,,

আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ভগবানের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন আশা করি। হ্যাঁ আমিও মোটামুটি ভালোই আছি। ৬-৭ দিনের ছোটাছুটিতে শরীরটা বেশ ক্লান্ত। একটানা কিছুদিন রেস্ট এর দরকার এখন। আজকে কি পোস্ট করব সেটা ভেবেই পাচ্ছিলাম না। সত্যি বলতে পোস্ট করার মত অনেক কিছুই রয়েছে। কিন্তু সেগুলো নিয়ে গুছিয়ে ওঠাটাই হচ্ছে না।

তারপর ভাবলাম একটা সুন্দর জায়গার কিছু ছবি সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেই । এখানকার ছবি আপনারা এর আগেও দেখেছেন। আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদা এবং বৌদি এই জায়গাতে যখন ঘুরতে গিয়েছিলেন তখন ছবিগুলো পোস্ট করেছিলেন। জায়গাটা কলকাতার অত্যন্ত দার্শনিক স্থানগুলোর একটি যেটা প্রিন্সেপ ঘাট নামে পরিচিত। এক কথায় মনমুগ্ধকর একটা পরিবেশ রয়েছে এই জায়গায়। যে যাবে তার মন ভালো হয়ে যাবে পুরোপুরি। বিকেলবেলা টা এখানে ঘোরাঘুরির জন্য একদম পারফেক্ট।

IMG_20220809_132152.jpg
Location

IMG_20220809_132046.jpg
Location

IMG20220810155748.jpg
Location

আমি যখন গিয়েছিলাম এখানে তখন দুপুরবেলা হবে। সারারাত জার্নি করে খাওয়া-দাওয়া ছাড়া ঘুরতে গিয়েছি প্রথমে এখানটা তেই। শরীর অনেক ক্লান্ত থাকলেও প্রিন্সেপ্ ঘাটে পৌঁছানোর সাথে সাথে মন একদম চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। বৃষ্টি হওয়ার জন্য রোদের কোন তীব্রতা ছিল না। মেঘলা আকাশে পুরোপুরি বিকালের ফিলটাই পেয়েছি।

IMG_20220809_132723.jpg
Location

IMG_20220809_133238.jpg
Location

প্রিন্সেপ ঘাট ব্রিটিশ যুগে তৈরি করা হয় হুগলি নদীর তীরে। যতদূর শুনলাম এটা নির্মিত হয় ১৮৪১ সালে। কলকাতার সবচেয়ে পুরোনো দার্শনিক স্থান গুলোর মধ্যে একটি হলো এই প্রিন্সেপ ঘাট। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী এখানে ঘুরতে আসেন। ছোট বড় সকলের ভীষণ পছন্দের একটি জায়গা। পাশেই রয়েছে একটি রেল স্টেশন। আর তা ঠিক উল্টো পাশেই রয়েছে মনোমুগ্ধকর সেই ঘাট। বিকেলবেলা হাঁটার জন্য সুন্দর একটা জায়গা। আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে প্রেম করার জন্য সবথেকে উত্তম জায়গা এটা।

IMG_20220809_133424.jpg
Location

IMG20220810153816.jpg
Location

নদীর ঘাটে অসংখ্য নৌকা বাধা আছে। কেউ চাইলে নৌকা ভাড়া করে ঘুরতে পারে। সত্যি বলতে নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে ওই ব্রিজটার দিকে তাকালে মন পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে। নদীর স্রোতের মিষ্টি বাতাস কখন অন্যদিকে আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে বুঝতেই পারব না। হাতে সময় খুব অল্প ছিল তাই বেশি দেরি করিনি। খুব তাড়াতাড়ি জায়গাটা ছেড়ে আসতে হয়েছিল।

এর পর অবশ্য আরেকবার গিয়েছিলাম প্রিন্সেপ ঘাটে। সেই গল্প অন্য দিন করব আবার। আমার মতে এই জায়গার সৌন্দর্য ছবি দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব না। নিজে সামনে দাঁড়িয়ে দেখলে যে অনুভূতি হবে তার কাছে এসব ছবি কিছুই না। যদি কেউ কখনো কলকাতা ঘুরতে যান তাহলে তাকে অবশ্যই বলব প্রিন্সেপ ঘাট একবার হলেও যেন দেখে আসে। বিকেলটা একদম পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।

Sort:  
 2 years ago 

ছবিগুলো দেখে জায়গাটা আমার কাছে চেনা চেনা লেগেছে ।তারপরে আপনি বললেন যে দাদা বৌদি এখানে অনেকবার ঘুরতে গিয়েছেন নামটাও পরিচিত প্রিন্সেস ঘাট ।খুব ভালো লাগলো ছবিগুলো দেখে ।সারাদিন ক্লান্ত শরীর নিয়ে আবার আপনি ঘুরতেও বের হয়েছেন আপনি পারেনও বটে। প্রেম করার জন্য জায়গাটা ভালো তাহলে তো আমার এখন মনে হচ্ছে প্রেম করে জায়গাটায় ঘুরতে যাই। খুব ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর করে ছবিগুলো তুলেছেন।

 2 years ago 

আপু, আসলে ঘুরতে ঘুরতে কিভাবে যে এনার্জি চলে আসছিল নিজেই জানি না 😅। শরীর মাঝে মাঝে কাপছিল। তবু ছুটে বেড়িয়েছিলাম । আপু অবশ্যই ঘুরে আসবেন একবার 😊। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

 2 years ago 

এত সুন্দর একটি জায়গায় গেলে ক্লান্তি তো দূর হয়ে যাবেই। তাছাড়া মেঘলা ওয়েদার থাকার কারণে আবহাওয়াটা মনে হয় আরো বেশি চমৎকার হয়েছিল। তা আপনার ছবিতেই সুন্দর ফুটে উঠেছে। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

এবার কলকাতা একদম ছুটে বেড়িয়েছিলাম আপু। খুব মজা করে এসেছি। অনেক ধন্যবাদ আপু। পাশে থাকবেন সব সময় 🙏

 2 years ago 

প্রিন্সেপ ঘাটে আমি আজ কখনো যায়নি তবে মনে হচ্ছে জায়গাটিতে যাওয়া উচিত আসলে জায়গাটি অনেক সুন্দর এবং আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জায়গাটিতে । ধন্যবাদ ভাই আপনার সময় গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। অনেক ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 66028.29
ETH 2694.36
USDT 1.00
SBD 2.89